বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

কাপ্তাই হ্রদে মিলে ৮১ প্রজাতির মাছ

দেশ স্বাধীন পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিন ভাগে বিভক্তির পর কাপ্তাই উপজেলাটি রাঙামাটি জেলার মধ্যে পড়েমূলত ষাটের দশকে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রধান লক্ষ্য হলেও সুবিশাল কাপ্তাই হ্রদ ক্রমাগত পরিণত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের মৎস্য ভাণ্ডারেএটি দৈনিক আজাদীর খবর

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

১৯৬০ সালের দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার কাপ্তাইয়ে খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দেওয়ার ফলে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় ৩৫৬ বর্গমাইলের কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ। দেশ স্বাধীন ও পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিন ভাগে বিভক্তির পর কাপ্তাই উপজেলাটি রাঙামাটি জেলার মধ্যে পড়ে। মূলত ষাটের দশকে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রধান লক্ষ্য হলেও সুবিশাল কাপ্তাই হ্রদ ক্রমাগত পরিণত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের মৎস্য ভাণ্ডারে। রাঙামাটির আট ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত কাপ্তাই হ্রদ এখন দেশের স্বাদু পানির কৃত্রিম জলাধারের মধ্যে সর্ববৃহত্ত। সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত দেড় দশকে কাপ্তাই হ্রদে ৬ প্রজাতির মাছ বেড়েছে। ২০০৬ সালে হ্রদে ৭৫ প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও ২০২২ সালের গবেষণায় ৮১ প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব মিলেছে।

কাপ্তাই হ্রদের মাছের প্রজাতি ও বাস্তুতন্ত্র দিয়ে গবেষণা করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)। বিএফআরআই এর রাঙামাটি নদী উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিএম শাহিনুর রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়া এক গবেষণায় দেখা গেছে কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ৮১ প্রজাতির মাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৭২ প্রজাতির দেশী ও ৯ প্রজাতির বিদেশি মাছ রয়েছে; বিদেশি প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকারক সাকার মাউথ ক্যাটফিশও বিএফআরআই-এর ২০০৬ সালের তথ্যে বলা হয়েছিল, কাপ্তাই হ্রদে ৭৫ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৬৭ প্রজাতি দেশি ও ৮ প্রজাতি রয়েছে বিদেশি। সে হিসাবে গত দশকে মোট প্রজাতি বেড়েছে ছয়টি। এর মধ্যে পাঁচটি দেশি ও একটি বিদেশী (সাকার)। বিএফআরআইয়ের গবেষকরা বলছেন, রাঙামাটি সদর, বরকল, কাপ্তাই, লংগদু ও খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলা থেকে মাছের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে ১০ প্রকারের জাল ও ছয়টি পদ্ধতি মাছ শিকার করা হয়ে থাকে। কাপ্তাই হ্রদে ছোট প্রজাতির মাছের আধিক্য বেশি। হ্রদে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটে ছোট (স্থানীয়) প্রজাতির মাছের। হ্রদের মাছের ৯৫ শতাংশ কেচকি, চাপিলা, মলা। বিদেশি ৯ প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে গ্রাসকার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড কার্প, কার্পিও, থাই সরপুটি, থাই পাঙাশ, মোজাম্বিকা তেলাপিয়া, নাইলোটিকা তেলাপিয়া, সাকার মাউথ ক্যাটফিশ।

অ্যাকুরিয়ামে শোভাবর্ধনের রাখা ক্ষতিকর সাকার মাউথ ক্যাটফিশ পাওয়া যাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদে। যা কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য প্রজনন ও বৃদ্ধির জন্য ক্ষতির কারণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জেলার লংগদুসহ অন্যান্য উপজেলায় বিদেশি প্রজাতির এই মাছটি পাওয়া যেতে শুরু করে। গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে কোনো এক সময় এই প্রজাতির মাছটি অ্যাকুরিয়ামে শোভার জন্য আনা হলেও পরবর্তীতে সেটি মানুষের অসচেনতায় জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কাপ্তাই হ্রদে এই মাছ পাওয়ার কারণ হতে পারে কেউ অ্যাকুরিয়ামের মাছ হ্রদে ফেলেছে। পরবর্তীতে এটি হ্রদে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখনও সাকার মাউথ ক্যাটফিশ কাপ্তাই হ্রদে খুব বেশি পাওয়া যায় না।

রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবে, রাঙামাটির রাজস্থলী ও কাউখালী ছাড়া বাকি আট উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা এবং মহালছড়ি উপজেলা মিলে কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২৭ হাজারের অধিক নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন।


পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের অবিলম্বে উচ্ছেদ করা হবে

পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করতে যারা সহযোগিতা উৎসাহিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ফৌজদারি মামলা করা হবেখাস ব্যক্তিগত পাহাড়ের কোন ধরনের ক্ষতি করা যাবে নাঅবৈধ বসতি উচ্ছেদসহ স্থায়ীভাবে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে হবেএটি দৈনিক আজাদীর খবর

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

সরকারি-বেসরকারি পাহাড়, পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের অবিলম্বে উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পাহাড় ব্যবস্থা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। এছাড়া ওইসব অবৈধ বসবাসকারীদের পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৯তম সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা মতে সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করতে যারা সহযোগিতা উৎসাহিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলা করা হবে। খাস ও ব্যক্তিগত পাহাড়ের কোন ধরনের ক্ষতি করা যাবে না। অবৈধ বসতি উচ্ছেদসহ স্থায়ীভাবে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে আন্তঃদপ্তর আলোচনা করে উচ্ছেদ পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের নির্দেশনা দেন তিনি। পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদসহ পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিছিন্নকরণ কার্যক্রমের অগ্রগতি কতটুকু তা পনের দিন পর পর প্রতিবেদন আকারে জানাতে হবে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্দেশনা দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকারি, ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন সংস্থার পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মালিকানাধীন পাহাড় থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করার পর যাতে বেদখল না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, সিটি করপোরেশনের সিইও শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) তানভীর আল নাসীফ, সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার নিস্কৃতি চাকমা, বিজিবির কর্মকর্তা মেজর মো. আমিরুল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবদূত মজুমদার, ডিজিএফআই’র উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিন, র‍্যাবের এএসপি মো. নাসির উদ্দিন, জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মনীষ দাশ, রেলওয়ের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগর পরিচালক সোনিয়া সুলতানা, অঞ্চল পরিচালক মো. হাছান হাছিবুর রহমান, বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার, সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আবু ঈসা আনছারী, নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদ বিন আনোয়ার, চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী রানা চৌধুরী, পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী এএফএম নুর উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত কান্তি দে, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছানা উল্লাহ, ওয়াসার সহকারী সচিব মোহাম্মদ বাবুল আলম ও রেড ক্রিসেন্টের দুর্যোগ বিষয়ক কর্মকর্তা মো. রকিবুল ইসলাম। এছাড়া সংশ্লিষ্ট আরো অনেকে সভায় উপস্থিত ছিলেন।


চসিকের ১১ সহকারী প্রকৌশলীর মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল শিটের হদিস মিলছে না

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) নিয়োগ দেওয়া ১১ জন সহকারী প্রকৌশলীর মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল শিট মেধা তালিকার হদিস মিলছে নানিয়োগ না পাওয়া এক প্রার্থীবৈষম্যের স্বীকারদাবি করার পর ফলাফল সংশ্লিষ্ট নথির (ফলাফল মেধা তালিকা) খোঁজ করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাএটি দৈনিক আজাদীর খবর

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) নিয়োগ দেওয়া ১১ জন সহকারী প্রকৌশলীর মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল শিট ও মেধা তালিকার হদিস মিলছে না। নিয়োগ না পাওয়া এক প্রার্থী ‘বৈষম্যের স্বীকার’ দাবি করার পর ফলাফল সংশ্লিষ্ট নথির (ফলাফল ও মেধা তালিকা) খোঁজ করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু সচিবালয় শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মচারী এসব নথি দিতে পারেননি। এমনকি পরীক্ষা সংক্রান্ত ফাইলেও সংরক্ষিত নেই মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল ও মেধা তালিকা। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সংস্থাটিতে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা সেটা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়। এ অবস্থায় চসিকের তৎকালীন সচিব (বর্তমানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক) খালেদ মাহমুদকে তলব করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত হয়ে তাকে মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল শিট না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

খালেদ মাহমুদকে তলব করার বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, একজন পরীক্ষার্থী নিয়োগের বিষয়টি পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে উনাকে আসতে বলেছি। চসিক সূত্রে জানা গেছে, সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা এবং ১৭ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১১ জন প্রকৌশলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সিভিলে পুরকৌশলে ৫ জন, যান্ত্রিকে ৩ জন এবং বিদ্যুৎ শাখায় নিয়োগ দেওয়া ৩ জন প্রকৌশলী ।

এদিকে গত ৮ আগস্ট অনুপম আজিম দৃষ্টি নামে বিদ্যুৎ বিভাগের এক সহকারী প্রকৌশলী প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষার সকল পরীক্ষার্থীর ফল পুনঃনিরীক্ষণ করার দাবি করেন। তার দাবি, তিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষাও আশানুরূপ ভালো হয়েছে। তাই তিনি নিয়োগ পাওয়া নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।

লিখিত অভিযোগে অনুপম বলেন, ‘যাচাই কমিটির সুপারিশের আলোকে প্রদত্ত নিয়োগে আমাকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। মেধাক্রম বিবেচনা না করে আমার চেয়ে কম মেধাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। প্রদত্ত নিয়োগে আমি কোটা বৈষম্যের শিকার হয়েছি। প্রকৃতভাবে মেধা অনুসরণ করে নিয়োগ প্রদান হলে আমি নিয়োগপ্রাপ্ত হতাম বলে দৃঢ় বিশ্বাস।’

এদিকে নিয়োগ নিয়ে এ প্রার্থী প্রশ্ন তোলার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশনা দেয় চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে। তাই ফল পুনঃনিরীক্ষণের উদ্যোগ নেন প্রধান নির্বাহী। এর অংশ হিসেবে পরীক্ষার যাবতীয় তথ্যের তালাশ করেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চসিকের সচিবালয় শাখার এক কর্মচারী আজাদীকে বলেন, তৎকালীন সচিব খালেদ মাহমুদ ওই নিয়োগের ফলাফল ও মেধা তালিকার নথি সংশ্লিষ্ট শাখায় বুঝিয়ে দেননি। প্রধান নির্বাহীর নির্দেশনার পর মেয়র দপ্তরে অনেক খোঁজ করে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায় যায়নি।

এ বিষয়ে খালেদ মাহমুদকে তলব করে যে অফিস আদেশ করা হয় সেখানে উল্লেখ করা হয়, চসিকের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত সহকারী প্রকৌশলী পদে লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করা হয়। এ বিষয়ে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পদের একজন পরীক্ষার্থী মেয়র বরাবরে আবেদন করেন। এ বিষয়ে সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস হতেও চসিকের কার্যক্রম জানতে চাওয়া হয়েছে। পরীক্ষার মার্কশিট এবং মেধা তালিকা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওই পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল তাদের দেওয়া হয়নি বলে জানায়।

ওই অফিস আদেশে বলা হয়, দাপ্তরিক প্রধান হিসেবে কাগজপত্র সংরক্ষণ করা তার (খালেদ মাহমুদ) কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়। নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন করলে মেধা তালিকা নথিতে থাকা আবশ্যিক হলেও নথিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানার জন্য চসিকের সাবেক সচিব খালেদ মাহমুদকে কল দিলেও রিসিভ করেননি।


কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ ডজন নেতার

গত ১০ দিন ধরে কমিটি নেই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপিরকমিটিতে পদ পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপে আছেন নেতারাইতোমধ্যে অনেকে আগামীর কমিটিতে পদ নিশ্চিত করতে ঢাকায় অবস্থান করছেনএটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

গত ১০ দিন ধরে কমিটি নেই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির । কমিটিতে পদ পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপে আছেন নেতারা। ইতোমধ্যে অনেকে আগামীর কমিটিতে পদ নিশ্চিত করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

সূত্র জানায়, এস আলমের গাড়িকাণ্ডের পর গত পহেলা সেপ্টেম্বর বিলুপ্ত করা হয় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। একইসাথে পরবর্তী কমিটি ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ জেলা বিএনপির নামে কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো যাবে না বলেও কেন্দ্রে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। একইদিন অপর এক চিঠিতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম এবং কর্ণফুলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মামুন মিয়ার দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা

হয় । দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এই চিঠির পর জেলা কমিটিতে পদ-পদবি পেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এক ডজনের মতো নেতা। অনেকে আবার ঢাকায় গিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে ঘোষণা হতে পারে দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি। এ কমিটিতে আহ্বায়ক পদে নাম শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতার।

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, সাবেক সহ-সভাপতি ইদ্রিছ মিয়া, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা কমিটির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আজিজুল হক, জেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন । অপরদিকে সদস্য সচিব পদে আলোচনায় আছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, সাবেক যুগ্ম- আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোছাইনী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আসহাব উদ্দিন চৌধুরী। এদিকে নতুন আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীন দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘আগামী কিছু দিনের মধ্যে ঘোষণা হতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। তবে এ মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর ৬৫ সদস্যের দক্ষিণ জেলা বিএনপির সর্বশেষ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় । নতুন এ কমিটিতে নগর বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান আহ্বায়ক ও বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছিল। এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালের ২০ মার্চ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছিল। ওই কমিটিতে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতি ও অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাধারণ সম্পাদক করা হয়।


ফেরত গেছে কালুরঘাট রেল সড়ক সেতু প্রকল্প

উন্নয়ন প্রকল্পের নামে টাকা খরচের লাগাম টেনে ধরা শুরু করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়এরইমধ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ১৩টি প্রস্তাবসংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় এমনিতেই বেঁচে গেছে এমপিদের জন্য থোক বরাদ্দের প্রায় হাজার কোটি টাকাভাবা হচ্ছে মেগা অবকাঠামোর বিকল্প অর্থায়ন নিয়েওএটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।  পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল উন্নয়ন হয়েছে এদেশে। অবকাঠামো উন্নয়নে দেড় দশকে কয়েক লাখ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এখন দৃশ্যমান অনেক মেগা স্ট্রাকচার, সুবিধাও পাচ্ছে জনগণ। তবে বেশিরভাগ প্রকল্পে খরচের পরিমাণ নিয়ে ছিল প্রশ্ন।

উন্নয়ন প্রকল্পের নামে টাকা খরচের লাগাম টেনে ধরা শুরু করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ১৩টি প্রস্তাব। সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় এমনিতেই বেঁচে গেছে এমপিদের জন্য থোক বরাদ্দের প্রায় হাজার কোটি টাকা। ভাবা হচ্ছে মেগা অবকাঠামোর বিকল্প অর্থায়ন নিয়েও। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থ সাশ্রয়ে যৌক্তিক কারণেই কাটছাট হতে পারে উন্নয়ন বাজেট। পরামর্শ- নজর দিতে হবে অনুন্নয়ন ব্যারোও। জানা গেছে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ফেরত পাঠানো প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে তিলমারী নদীবন্দর, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন, কালুরঘাটে রেল ও সড়ক সেতু, রংপুর সিটি করপোরেশনের সড়ক উন্নয়ন ও ফরিদপুর বরিশাল- কুয়াকাটা মহাসড়ক ফোর দেন করতে ভূমি অধিগ্রহণ। ফেরত পাঠানোর পাশপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট, চট্টগ্রাম- দোহাজারী জুয়েলগেজ রেলরুট এবং মেট্রোরেল লাইন ওয়ান ও ফাইভ প্রকল্পের খরচ। দায়িত্ব নিয়েই, সংকোচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এমনকি বাস্তবায়নাধীন কম প্রয়োজনীয় প্রকল্পও বন্ধ করার পক্ষে খোলাসা করেন নিজের অবস্থান। মেগা প্রকল্পের সমালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহ বলেছেন, ঠিকাদারদের স্বার্থে বড় (মেগা প্রকল্প নেয়া হয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নেয়া হয়নি। এটা (মেগা প্রকল্প) নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এগুলো নিয়ে এ নাকি এব না।

১৯ আগস্ট পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মেগা প্রকল্প বা বড় প্রকল্পের বিষয়ে কোনো নীতি নেই। এগুলো নির্ভর করবে করবে কোন পর্যায়ে আছে। প্রকল্পের বিষয়ে সময় একটা বড় বিষয় । এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এগুলো নিয়ে এগুব নাকি এগুব না। কিছু খরচ হয়ে গেলেই প্রকল্প শেষ করতে হবে বিষয়টা এমন না। কিন্তু যৌক্তিক অর্থনৈতিক বিবেচনা হলো- কত খরচ করেছি তা না, বাকি কাজ করতে কত লাগবে এটা বড় বিষয় । পুরো প্রকল্প থেকে কত সুবিধা পাব এটাই বিষয়। প্রকল্পে লাভ- ক্ষতি দেখতে হবে। কিছু খরচ হয়ে গেছেই বলেই মানসিক চাপ থাকবে, প্রকল্প শেষ করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। এটা অর্থনীতির যুক্তিতে চলে না।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির বিষয়ে আবার নতুন করে বলতে হবে না । এটা বন্ধে আমরা কাজ করছি। আমরা কিছু কাজ করব। বড় প্রকল্পে নকশা কেন সংশোধন করা হলো এটা আমরা ক্ষতিয়ে দেখব। ভবিষ্যতে যাতে ভুল না করি এটা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করব। তিনি আরো বলেন, ব্যয় সংকোচনে উন্নয়ন ব্যয় কমানোর বড় জায়গা। প্রকল্প যাচাই করা জরুরি। প্রকল্পে বিশৃঙ্খলা আছে। অনেক বড় প্রকল্পে সমস্যা আছে। প্রকল্প রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে এটা স্কুটিনি করে ছাটাই করতে হবে। চলমান থাকলে রাখতে হবে বিষয়টি এমন নয়। প্রকল্পে বিশৃঙ্খলা আছে। নকশা, ব্যয়, সময়সীমা নিয়ে অনিয়ম আছে। অনেক প্রকল্পে দুর্নীতি আছে যা কম খরচে হতে পারত, কিন্তু নকশার কারণে ত্রুটি আছে। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে প্রকল্পে বেশি খরচ হয়। অনেক প্রকল্প আছে, কেন আছে জানি না। দেশীয় ঠিকাদার আছে সেগুলো বাদ দেয়া হবে। প্রকল্প ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর