সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ওরা আবার ফিরতে চায় জীবিকায়

ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্যোগ না নিলে আমার ডেডবডি হয়তো দেশে আসত, আমি আসতে পারতাম না। বৃদ্ধ বাবা-মাকে শেষ দেখাও দেখতে পেতাম না। আজ যে আমি এদেশে বাবা-মায়ের বুকে ফিরে এসেছি সেটা একমাত্র প্রফেসর ইউনূস স্যারের জন্যই সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় আমিরাতের কড়া কানুন ভেদ করে আমাদের দেশে ফেরা সম্ভব হতো না। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

বিশ্বের অন্যতম গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্যোগ না নিলে আমার ডেডবডি হয়তো দেশে আসত, আমি আসতে পারতাম না। বৃদ্ধ বাবা-মাকে শেষ দেখাও দেখতে পেতাম না। আজ যে আমি এদেশে বাবা-মায়ের বুকে ফিরে এসেছি সেটা একমাত্র প্রফেসর ইউনূস স্যারের জন্যই সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় আমিরাতের কড়া কানুন ভেদ করে আমাদের দেশে ফেরা সম্ভব হতো না। উনি না হলে আমরা পচে মরতাম। এভাবে বলছিলেন আমিরাতের কারাগার থেকে সাধারণ ক্ষমা পেয়ে দেশে ফেরা সাইদুল হক। আমিরাতের ধনাঢ্য এই ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। অন্যদের মতো তাদের পাসপোর্টেও ‘নো এন্ট্রি’ সিল দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছেন। ‘নো এন্ট্রি সিল দেওয়া হলে তারা আর আরব আমিরাতে ফিরে যেতে পারবেন না। অথচ ওখানে তার স্ত্রী-সন্তান এবং কয়েক কোটি টাকার সম্পদ রেখে আসতে হয়েছে।

সাইদুল হক দুঃখ করে বলেন, ১৫ দিন আগে আমার একটি কন্যাসন্তান হয়েছে। আমার বাচ্চাটিকে আমি কোলে নিতে পারিনি। এক কাপড়ে এবং স্যান্ডেল পরে দেশে এসেছি। তবুও সান্ত্বনা এই যে, বাবা-মায়ের বুকে ফিরে আসতে পেরেছি। গতকাল রোববার নগরীর রহমান নগরের

বাসভবনে বসে সাইদুল আজাদীকে বলেন, আমাদের জন্য ড. ইউনূস যা করেছেন তার ঋণ এই জীবনে শোধ করা সম্ভব নয়। তার জন্য শুধু অন্তর থেকে দোয়া করছি। এখন যদি তিনি উদ্যোগ নেন, ‘নো এন্ট্রি’র অভিশাপ যেন আমাদের পাসপোর্টে না পড়ে তার ব্যবস্থা করলে আমাদের শেষ রক্ষা হয়। আমাদের বিশ্বাস, প্রফেসর ইউনূস সাহেব চাইলেই সেটা সম্ভব।

সাইদুল হক কারাগারের স্মৃতি বর্ণনা করে বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে আমরা মিছিল করেছিলাম। অনেকেই মিছিলে ছিলেন। আমাদের আটক করা হয়। আটকের পর আমাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে ৩২ জনকে রাখা হয়েছিল। অন্য কোনো নির্যাতন না করলেও ছোট্ট একটি রুমে একসঙ্গে ৩২ জনের বসবাস আমাদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।

২২ বছর ধরে আমিরাতে বসবাস এবং ব্যবসা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমিরাতের কানুন খুবই কড়া। আমাদের যখন বিভিন্ন মেয়াদের জেল দেওয়া হলো, তখন আমরা নিশ্চিত ছিলাম সাজা শেষ হওয়ার আগে মুক্তি জুটছে না। তিনি বলেন, মা-বাবার দোয়া ছিল, আল্লাহর রহমত ছিল। প্রফেসর ইউনূস ক্ষমতায় বসার পর আমাদের মুক্ত করার ব্যবস্থা করলেন। তিনি উদ্যোগ না নিলে অন্য কারো পক্ষে আমাদের মুক্ত করা সম্ভব ছিল না। প্রফেসর ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতাই তাদের মুক্তির পথ সুগম করেছে করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমাদেরকে আবার সেখানে ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থাও একমাত্র তিনি করতে পারেন।

পূর্ব রাউজানের হরিশখাইন পাড়ার আবদুল আজিজ মুন্সি বাড়ির সাইদুল হক আমিরাতে ব্যবসা করেন। ২০১০ সাল থেকে গত ১৪ বছর পরিবার নিয়ে বসবাস করেন সেখানে। তিনি বলেন, ওখানে আমার স্ত্রী এবং তিন সন্তান রয়েছে। আমার বড় মেয়ে ইন্ডিয়ান স্কুলে ক্লাস সেভেনে পড়ে। ছেলে ক্লাস ওয়ানে পড়ে, বয়স ৭ বছর। ১৫ দিন আগে আরেকটি মেয়ে হয়েছে। ওকে কোলেও নিতে পারিনি।

আরব আমিরাতের আল আইনে দুটি স্টিল ওয়ার্কশপ, গাড়ি এবং ফ্ল্যাটের ব্যবসা থাকার কথা উল্লেখ করে সাইদুল বলেন, আমাকে সবকিছু ফেলে আসতে হয়েছে। যদি ফিরে যেতে না পারি তাহলে আমার সবকিছুই শেষ হয়ে যাবে।

হাটহাজারীর তিন প্রবাসীর কথা : হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, আমিরাতের কারাগার থেকে বিশেষ ক্ষমায় মুক্তি পাওয়া হাটহাজারীর তিন প্রবাসী ঘরে গিয়ে দেখা যায়, স্বজন ফিরে আসায় তিন বাড়িতেই ঈদের আনন্দ চলছে। শনিবার রাতে তারা নিজ বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকে স্বজনেরা আনন্দে আত্মহারা। গতকাল ভোর থেকে প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন দলে দলে তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন।

হাটহাজারীর ৩ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চতরপাড় এলাকার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের পুত্র মেহেরাজ উদ্দীন রাসেল (২৪) জানান, তিনি আমিরাতের সারজাহ এলাকায় একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে চাকরি করতেন। তিন বছর আগে আমিরাতে যান ।

সাত মাস পূর্বে ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে যান। ১৯ জুলাই কর্মস্থল থেকে বাসায় এসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের রক্ত দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং বেশ কিছু বাংলাদেশি রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হলে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করে। আটকের পর তাদেরকে আবুধাবির হালু হাজতা কারাগারে নিয়ে যায়। প্রথম দিন তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তারা ভাবতে পারেননি আন্দোলনকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করলে তাদের এই করুণ পরিণতি হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্যোগ না নিলে আমাদের মুক্তি পাওয়া কোনোদিনই সম্ভব হতো না। এই সহযোগিতার জন্য তিনি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি পুনরায় যাতে সেখানে যেতে পারেন তার ব্যবস্থা করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান । মো. হারুন (৪৪) বলছিলেন কীভাবে কী হয়েছিল। ৮ নং মেখল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রহমত কাজী বাড়ির মৃত শরীফ উদ্দিনের পুত্র মো. হারুন পুলিশের হাতে আটক হওয়ার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, দেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে নিজ কর্মস্থল আল-আইনের সানাইয়া এলাকায় ফিরে যাই। সেখানে ছোটখাটো ঠিকাদারির কাজ করি।

১৯ জুলাই মাগরিবের পর প্রবাসী কিছু বাংলাদেশি জড়ো হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করলে পুলিশ আসার সাথে সাথে সবাই যে যার মতো নিরাপদ স্থানে সরে যাই। পরে রাত তিনটার দিকে হারুনের মোবাইলে আরব আমিরাতের সিআইডি ফোন করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে তা দেখেন তিনি। পরে সকালে পুনরায় ফোন আসে একই নম্বর থেকে। কথা হলে সিআইডি পরিচয় দিয়ে তাকে অফিসে যেতে বলেন। অফিসে গেলে নাম-ঠিকানা জেনে বিদায় দেয়।

২১ জুলাই তাকে পুনরায় সিআইডি অফিসে যেতে বলে। ওইদিন গেলে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে গিয়ে একই অপরাধে আটক আরো কয়েকজন বাংলাদেশির সাথে দেখা হয়। পরে আরব আমিরাতের আইন বিরোধী কাজ করার অপরাধে তার দশ বছর সাজা হয়। খবরটি শোনার পর জেলে সবাই কান্নাকাটি করে।

তিনি বলেন, ওই জেলে আসা এক সৌদি নাগরিকের কাছে দেশে সরকার পতনের খবর পাই। ওই ব্যক্তি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনুস তাদের মুক্ত করার জন্য কাজ করছেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন, আমরা সবাই দ্রুত মুক্ত হয়ে যাব। তার কথাই সত্যি হয়েছে। আমাদের দেশের গর্ব ড. ইউনুস স্যার আমাদের নতুন জীবন দিয়েছেন। আমরা তার কাছে চির কৃ তজ্ঞ। এই ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারব না।

হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের প্রবাসী জাহাঙ্গীর বলেন, সেদিন আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। আমাকেও ১০ বছরের সাজা দিয়েছিল আমিরাত সরকার। যদি ডু. ইউনুস স্যার আমাদের মুক্ত করার ব্যবস্থা না করতেন তাহলে আমার জীবন থেকে দশটি বছর হারিয়ে যেত। উল্লেখ্য, ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ মিছিল করার অপরাধে ৫৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করে দেশটির পুলিশ। দেশটিতে বিক্ষোভ করা অবৈধ হওয়ায় তাদেরকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। তখন টেলিফোনে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের মুক্তির অনুরোধ জানিয়েছিলেন ড. ইউনূস। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ৩ সেপ্টেম্বর সকালে কারাবন্দি ৫৭ বাংলাদেশির সাজা মওকুফ করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। মুক্তি পাওয়ার পর শনিবার রাতে ৫৭ জনের মধ্যে ১২ জন দেশে ফিরে আসেন। এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবার বাড়ি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ।


নগরের প্রধান সড়কে আজ থেকে ব্যাটারি রিকশা নিষিদ্ধ

সকল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা অটোসহ এই ধরনের সকল অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোসহ এই ধরনের সকল অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে।

গতকাল সিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অবৈধ যানবাহন আটকসহ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এই উদ্যোগে সহায়তা করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।


আজ থেকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল

ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর দাতারা ২০২৪- ২০২৫ কর বছরের রিটার্ন আজ সোমবার থেকে অনলাইনে দাখিল করতে পারবেন। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর দাতারা ২০২৪- ২০২৫ কর বছরের রিটার্ন আজ সোমবার থেকে অনলাইনে দাখিল করতে পারবেন। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে বলা হয়, অনলাইন রিটার্ন দাখিলের জন্য ই-রিটার্ন পদ্ধতির আপগ্রেডেশনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর (আজ) হতে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেমটি করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। খবর বিডিনিউজের। ই-রিটার্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা নিজের রিটার্ন তৈরি, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল অথবা অফলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে অনলাইন ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে কর পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া রিটার্ন দাখিলের তাৎক্ষণিক প্রমাণ প্রাপ্তি, আয়কর পরিশোধ সনদ ও টিআইএন সনদ, আগের বছর দাখিল করা ই-রিটার্নের কপি, রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রিন্ট বা ডাউনলোডের সুবিধা আছে। ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর দাতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.etaxnbr.gov.bd) নিজের তথ্য ব্যবহার করে নিবন্ধন শেষে এসব সুবিধা পাবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এর আগে ২০২৩-২০২৪ কর বছরে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা ই- রিটার্ন দাখিল করেন।


চট্টলদরদী মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরীর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

চট্টলদরদী মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য ওই বছরের সেপ্টেম্বর মক্কা গমন করেন। মক্কায় পৌঁছার পরদিন সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিকেলে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জিয়াদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

আধুনিক সংবাদপত্রের পথিকৃৎ, দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরীর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ । ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) তিনি পবিত্র মক্কা নগরীর জিয়াদ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ১২ সেপ্টেম্বর ফজরের নামাজের পর মসজিদুল হারামে নামাজে জানাজাশেষে সকাল ৯টায় মক্কার সরায়ে মকবরায় তাঁকে দাফন করা হয়।

চট্টলদরদী মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মক্কা গমন করেন। মক্কায় পৌঁছার পরদিন সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিকেলে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জিয়াদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। ১৯২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাউজানের ঢেউয়া হাজিপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর থেকেই গ্রামীণ ধুলামাটি-প্রকৃতিপ্রভা আকর্ষণ করেছে মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরীকে। প্রকৃতির কাজে তাঁর জীবনের সহজপাঠ বলে কোমল, সৎ ও উদ্যমী ছিলেন তিনি।

মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সংবাদপত্র শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অবদান রাখেন। ১৯৮৬ সালে তিনি আধুনিক সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বকোণ প্রকাশ করেন। পূর্বকোণ তাঁকে নিয়ে আসে কর্মজগতের এক নতুন অধ্যায়ে। ১৯৯২ সাল থেকেই ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্পের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ডেইরি ও পোল্ট্রি ফার্ম এসোসিয়েশনের আমৃত্যু সভাপতিও ছিলেন। তাঁর কর্মউদ্যোগের ফলে চট্টগ্রামে সুফল পায় চারশ’ খামার। চট্টগ্রামে প্রথম গবাদি পশুমেলারও উদ্যোক্তা তিনি। ডেইরি শিল্পের বিকাশে চট্টগ্রামে প্রথম তাঁর নেতৃত্বে রুগ্ন গরু নিয়ে মিছিল হয়।

তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আগমনস্থল নিজ বাড়িতে কবির স্মৃতিচিহ্ন রক্ষা, নজরুল মেলা এবং নজরুল পাঠাগারও স্থাপন করেন। বিআইটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ধারাবাহিক সংগ্রামেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি সবসময় চট্টগ্রামের উন্নয়নে সোচ্চার ছিলেন। কৃষি সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। চট্টগ্রামে ভেটেরিনারি কলেজ ও পরবর্তীতে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত করার ক্ষেত্রেও তিনি অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।


চবিতে উপাচার্য নিয়োগে দিন সময় দিলেন শিক্ষার্থীরা

স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা স্বৈরাচারের দালাল ভিসিকে পদত্যাগে বাধ্য করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা এরপর থেকে সেশনজটে পড়তে যাচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের নিয়োগের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুইদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, “স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা স্বৈরাচারের দালাল ভিসিকে পদত্যাগে বাধ্য করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা এরপর থেকে সেশনজটে পড়তে যাচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিন । তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।’ খবর সারাবাংলার।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একজন ভিসি চাই, যিনি শিক্ষাবান্ধব, শিক্ষার্থীবান্ধব এবং গবেষক হবেন। আমরা এমন একজন ভিসি চাই যিনি শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নিবেন, সুখ-দুঃখের এবং আমাদের সঙ্গী হবেন বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের হিসেবে গড়ে তুলবেন। আমরা দুইদিনের আলটিমেটাম দিলাম। এসময়ের মধ্যে ভিসি নিয়োগ না দিলে আমরা কঠোর অবস্থানে যাবো।’ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের পদত্যাগ করেন ।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর