মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে পাহাড়ে বসতি স্থাপনকারীদের সরাতে ৭ দিন সময়

গতকাল সকালে নগরীর আকবর শাহ উত্তর লেকসিটি, হারবাতলী, শাপলা ও লতিফপুর এলাকার অন্তত ১৫টি পাহাড় কাটার পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

চট্টগ্রামে পাহাড়ে বসতি স্থাপনকারীদের সাত দিনের মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সকালে নগরীর আকবর শাহ উত্তর লেকসিটি, হারবাতলী, শাপলা ও লতিফপুর এলাকার অন্তত ১৫টি পাহাড় কাটার পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারি বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া বিশ্বের জীববৈচিত্র রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাস করা হয়েছে।

এসব বিবেচনা করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কোনো ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোনো পাহাড় ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না। যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন, তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে।

গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপর চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকায় রাতের আঁধারে পাহাড় কাটার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে আকবর শাহ এলাকা অন্যতম। এদিকে পাহাড় ছাড়াও আকবর শাহ থানাধীন কালিরছড়া খাল ভরাট করে নির্মিত স্থাপনাও পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত সচিব।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, অতিরিক্ত সচিবের পরিদর্শনের সময় দুজনকে আটক করে জরিমানা করা হয়। একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপরজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাহাড় কাটার সময়েই তাদের আটক করা হয়। আটক দুজনের হাতে তখন কোদাল ও কাস্তে ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জায়গার মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, কালীরছড়া খাল থেকে দখলদারদের উচ্ছেদপূর্বক খালের অংশ দখলমুক্ত করা, উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন, যেসব পাহাড় কেটে গত কয়েকদিন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো ম্যাজিস্ট্রেসি অভিযান দিয়ে উচ্ছেদ ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব।

পরিদর্শনকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. রেজাউল করিম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক হাসান হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর পরিচালক সোনিয়া সুলতানা, চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান, কাট্টলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী, আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মামুন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইয়াত তাহরীম সৌরভ, সহকারী পরিচালক মো. হাসান আহম্মদ ও পরিদর্শক রুম্পা সিদকারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে অধিদপ্তরের আরেকটি টিম নগরের খুলশীতে পাহাড় কাটার সময় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানার কথা জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অধিদপ্তর জানায়, জরিমানার পাশাপাশি মামলাও দায়ের করা হয়।


এক মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হবে কোটি টাকা

ভুয়া বিলে আত্মসাতকৃত কোটি টাকা অভিযুক্ত সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এক মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের হিসাব শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে ২০২৩ সালে ভুয়া বিলে আত্মসাতকৃত কোটি টাকা অভিযুক্ত সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এক মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে মেসার্স দি কসমোপলিটন কর্পোরেশনের নামে ভুয়া বিলে ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার একটি চেক পাস করে রেলের হিসার শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন।

আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ার পর ঘটনার তদন্তে রেলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব কর্মকর্তা জয়শ্রী মজুমদারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তদন্তে অনেক সময় নেওয়া হয়।

অবশেষে ‘রেলের হিসার শাখার সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন’ উল্লেখ করে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শেষ পর্যন্ত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে ভুয়া বিল-ভাউচারে কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অর্থদণ্ড ভোগ করতে হচ্ছে সাত কর্মকর্তা- কর্মচারীকে।

আত্মসাৎ হওয়া পুরো টাকা পরিশোধ করতে হবে তাদের। এজন্য তাদের এক মাসের সময় দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২৯ আগস্ট সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম এবং অর্থদণ্ডের টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা সার্বিক (পূর্ব) মো. সাইদুর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি (স্মারক নম্বর-৪৩) জারি করা হয়। সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারী হলেন এও/এম/টিএ মো. মামুন হোসেন, পাহাড়তলী কারখানার (ডিএফএ) প্রতিস্থাপন ও সংস্থাপন শাখার হিসাবরক্ষক সৈয়দ সাইফুর রহমান, সিআরবির (পদ্ধতি) ডিএফএর অডিটর পবন কুমার পালিত, টিএ/প্রশাসন/এও মো. আবু নাসের, সিআরবির (সিপিবি) হিসাবরক্ষক শিমুল বেগম, চট্টগ্রামের (ডিএফএ) জুনিয়র অডিটর ইকবাল মো. রেজাউল করিম ও সিআরবির (বিঅ্যান্ডবি) অফিস সহায়ক মো. মাকসুদুর রহমান ।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মো. মামুন হোসেনকে সরকারের ক্ষতিসাধন টাকার মধ্যে ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ লাখ ৩৮ হাজার, সৈয়দ সাইফুর রহমানকে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার, পবন কুমার পালিতকে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার, মো. আবু নাসেরকে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০, শিমুল বেগমকে ৯ লাখ ৬৯ হাজার, ইকবাল মো. রেজাউল করিমকে ৮ লাখ ৭২ হাজার ১০০ ও মো. মাকসুদুর রহমানকে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৪০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব টাকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


জলাবদ্ধতায় স্নুইস গেট নিয়ে শঙ্কা

একদিকে এখন পর্যন্ত ৪১টি স্লইস গেটের মধ্যে ১৮টির কাজ শেষ না হওয়া, অন্যদিকে নির্মিত স্লইস গেট পরিচালনার জন্য জনবল না থাকা; এই দুই কারণে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে সুইস গেট নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। একদিকে এখন পর্যন্ত ৪১টি স্লইস গেটের মধ্যে ১৮টির কাজ শেষ না হওয়া, অন্যদিকে নির্মিত স্লইস গেট পরিচালনার জন্য জনবল না থাকা; এই দুই কারণে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জোয়ারের সময় খালে পানি প্রবেশ আটকে দিতে গেট বন্ধ করে দেয়া এবং বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণের উদ্দেশ্যে পাম্প বসানো হচ্ছে।

তিন সংস্থার মোট ৪১টি স্লইস গেটের মধ্যে এখন পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ২৩টি।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড- এই তিন সংস্থা চট্টগ্রাম নগরীতে মোট ৪১টি স্লইস গেট নির্মাণ করছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৪১টি সুইস গেটের মধ্যে ১৮টি স্লইস গেট নির্মাণ করছে সিডিএ।

১৮টি সুইস গেটের মধ্যে ৬টি স্লইস গেট নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড। ২৩টি সুইস গেট নির্মাণ করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক নির্মাণাধীন ৬টি স্লইস গেটের মধ্যে ৫টি স্লইস গেটের নির্মাণকাজ শেষ।

বাকি একটির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। তবে এসব স্লইস গেট পরিচালনায় বিভিন্ন সময় জনবল চেয়ে চিঠি দিলেও এখনও জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সিডিএ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড আলাদা আলাদা তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

সব সংস্থার কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সহনীয় থাকবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীতে ৪১টি রেগুলেটর নির্মাণ করছে তিনটি সংস্থা। রেগুলেটরের মধ্যে আমরা (জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প) মাত্র ৬টি রেগুলেটর নির্মাণ করছি। যা মোট রেগুলেটরের মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশের মতো। ৬টির মধ্যে আমাদের ৫টি রেগুলেটর নির্মাণকাজ শেষ।

একটি রেগুলেটর সংশোধিত ডিপিপিতে অর্থাৎ গতবছর যুক্ত হয়েছে। সেই রেগুলেটরের নির্মাণকাজও আমরা শুরু করেছি। জনবল সংকট নিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, মহেশ খাল, কলাবাগিচা, মরিয়মবিবি, ফিরিঙ্গিবাজার ও টেকপাড়া খালে সুইস গেট নির্মাণ শেষে সুইস গেটগুলোর কার্যক্রম চলছে।

তবে এখনও সেখানে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। ঠিকাদারদের লোকবল দিয়ে সুইস গেটগুলো ওঠানামা করা হচ্ছে। এসব স্নুইস গেট ও পাম্প অপারেট করার জন্য দক্ষ জনবলের প্রয়োজন।


নতুন করে ৮ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকেছে দেশে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মিয়ানমার থেকে নতুন করে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে নীতিগতভাবে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হবে না। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে নতুন করে প্রায় ৮ হাজার

রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে নীতিগতভাবে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হবে না। বলেও জানান তিনি।

৩ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। খবর বাংলানিউজের।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে গেছে। সীমান্তের বিষয়টা যদিও আমার না কিন্তু ঢুকে পড়লে তখন আমাদের হয়ে যায়। এটা নিয়ে আগামী দুই- তিনদিনের মধ্যে সিরিয়াস আলোচনা হবে মন্ত্রিপরিষদে এবং এটা কীভাবে ঠেকানো যায় আমাদের চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, এটা যথা সম্ভব আটকানোর চেষ্টা করা হবে। আর আমরা নীতিগতভাবে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবো না।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত সিল করা হয়েছে কি-না বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ অ্যাক্টিভ না? এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো সীমান্ত সিল করা কঠিন। আমরা এটা স্বীকার করি। তবে বিভিন্ন সোর্স কাজ করে স্থানীয় লোকজনের স্বার্থ জড়িত আছে, সব মিলিয়ে এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

এখানে অনেকগুলো সোর্স কাজ করে তার মধ্যে কিছু দুর্নীতিও জড়িত হয়। আমাদের চেষ্টা করতে হবে আটকানোর। আমার এটা নিয়ে হয়ত কাল-পরশুর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। বিশ্লেষক হিসেবে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল করতে হলে আরকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগের কথা বলেছেন।

তবে বর্তমান সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে তৌহিদ হোসেনের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, আমি এখনো তাই মনে করি। তবে বিষয়টা ব্যক্তিগতভাবে আমার একার না। সরকারিভাবে এটা কতটুকু সম্ভবৃআমার কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আপনারা আশা করবেন না। কারণ,আমি যখন মুক্ত মানুষ ছিলাম তখন যে ভাষায় কথা বলতে পেরেছি, এখন আমি যদি কোনো কথা বলি খেয়াল রাখতে হবে আমি প্রতিনিধিত্ব করি সরকারের।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর