জরুরি বিভাগেও মিলবে সিটিস্ক্যান সেবা চমেক হাসপাতাল। দৈনিক পূর্বকোনের শিরোনাম এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-নতুন সিটিস্ক্যান মেশিন পেল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল । মেশিনটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থাপনের কাজ চলছে। যাতে সেখানেও সেবা পেতে পারেন রোগীরা। এতদিন হাসপাতালে একটিমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন দিয়ে কাজ চলছিল। মেশিনটি বারবার বিকল হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হতো রোগীদের। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন মেশিন চালু হলে রোগীদের সেবা বাড়বে। জানা গেছে, জাপানের সাবেক হিটাচি ব্র্যান্ডের বর্তমানে ফুজি ফিল্মের নতুন মেশিনটি সরবরাহ করে মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক প্রতিষ্ঠান। প্রায় আট কোটি টাকা মূল্যের নতুন সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চমেক হাস পাতালে একমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন দিয়ে কাজ চলছিল। কিন্তু মেশিনটি বারবার বিকল হওয়ায় রোগী-চিকিৎসকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিকবার চিঠি দেয়। সর্বশেষ চট্টগ্রামে সফরে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেও বিষয়টি জানতে পারেন। ২য় পৃষ্ঠার ৫ম ক. অত্যাধুনিক মেশিনটি গত শুক্রবার হাসপাতালে নতুন সিটিস্ক্যান মেশিন সংযোজন হচ্ছে চমেক আনা হয়। হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নতুন মেশিনটি চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন বলেন, ‘নতুন সিটিস্ক্যান মেশিন চমেক হাসপাতালে এসেছে। সেটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থাপনের কাজ চলছে। এটি চালু হলে রোগীরা সহজেই সেবা পাবেন।’ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গড়ে ৩০ থেকে ৫০ জনের সিটিস্ক্যান সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। পরীক্ষা ভেদে মাত্র ২ থেকে ৪ হাজার টাকায় এ সেবা গ্রহণ করতে পারে রোগীরা। যা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা। এতদিন একটি মেশিন বারবার বিকল হওয়ার কারণে বেসরকারি ল্যাবে ছুটতে হতো রোগীদের। এতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এবং দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাদের। নতুন মেশিনটি চালু হলে রোগীরা সহজেই সেবা পাবে।
চবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় ছাত্রলীগের হামলা কোটা সংস্কার দাবি। দৈনিক পূর্বকোনের শিরোনাম এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-চবি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের কয়েক দফা মারধর করা হয়েছে। এ সময় এক আন্দোলনকারীকে ব্যাট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফিকে মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আহত আন্দোলনকারীর নাম মাহবুব রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। তাকে মারধর করা ছাত্রলীগ কর্মীর নাম নাইম আরাফাত। নাইম বোটানি ডিপার্টমেন্টের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের কর্মী, থাকেন শাহজালাল হলে। গতকাল সোমবার আড়াইটার ট্রেনে আন্দোলনকারীরা শহরে যেতে চাইলে শাটল বন্ধ করে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা কোটা আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফিকে আটকে রেখে জেরা শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে মারধর করতে করতে মিছিলসহ প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। এদিকে, রাফিকে ছাত্রলীগ প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাচ্ছে- এমন খবরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কয়েকজন প্রক্টর অফিসের দিকে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে শহীদ মিনারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগ। এ সময় ব্যাট দিয়ে মেরে মাহবুব রহমানের মাথা ফাটিয়ে দেন ছাত্রলীগকর্মী নাইম আরাফাত। এছাড়া প্রক্টর অফিসে রাফির বিরুদ্ধে কোটা আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ আনেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা রাফির মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ভর্তি বাতিলের দাবি জানান। প্রক্টর অফিসে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, কোটা আন্দোলন আমরাও সমর্থন করেছিলাম। আমরা যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছি। কিন্তু তারা কালকে নিজেদের রাজাকার দাবি করে স্লোগান দিয়েছে। আমরা চবি ক্যাম্পাসে কোন রাজাকার বরদাশত করবো না।শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা পার্থ প্রতিম বড়ুয়া বলেন, আমরা হামলা সমর্থন করি না। কেউ যদি অতি উৎসাহী হয়ে হামলা করে বলে আমরা প্রমাণ পাই তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাফিকে উদ্ধার করতে আসা এক ছাত্রী বলেন, আমরা যৌক্তিক আন্দোলন করতে এসেছি। কিন্তু আমাদের ভাইকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের কয়েকজনকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে উপাচার্য প্রক্টররা আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ভুক্তভোগী রাফি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশের একজন নাগরিককে কেউ জোর করে তুলে আনতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। চবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম আন্দোলনকারীদের বলেন, আমাদেরকে ইউজিসি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীরা আদালতের রায় মেনে যেন ক্লাসে ফিরে যায়। তোমরা যৌক্তিক দাবিতে আদালতে আইনি লড়াই করবে। কিন্তু ভোগান্তি সৃষ্টি করে কোন আন্দোলন যেন শিক্ষার্থীরা না করে। যদি তোমরা আদালতের রায় মেনে নাও তাহলে আমরা তোমাদের পাশে আছি। অন্যথায় আমরা তোমাদের পাশে নেই। ছাত্রলীগের হামলাকারীদের ব্যাপারে প্রক্টর বলেন, কারা হামলা করেছে আমরা জানি না। যদি কোন লিখিত অভিযোগ আসে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
লাঠিপেটায় সমাধানের সুযোগ নেই : কোটা আন্দোলন নিয়ে খসরু। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপরে ছাত্রলীগের পিটুনির নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল সোমবার বিকালে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, “সকলে কিন্তু আজকে একটা ন্যায়সঙ্গত সমাধান খোঁজার অপেক্ষা করছে। সেটা না করে যদি আপনি লাঠিপেটা করেন, আপনি “মিথ্যা মামলা’ দেন তাহলে তো সমাধান পাওয়ার সুযোগ নেই।’ খবর বিডিনিউজের। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারীদের ওপরে ছাত্রলীগের যে হামলা, তাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ করছি।’ মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে সরাসরি কিছু না বলে তিনি বলেন, ‘দেশটা কোনো গোষ্ঠীর হতে পারে না। আজকে তাদের প্রতিবাদ তো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে… দেশ তো গোষ্ঠীর হতে পারে না, দেশ সকলের জন্য ।“রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘ওরা (আন্দোলনকারীরা) বলছে, ‘চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ । আপনি যখন অধিকার চাইবেন, কেউ কেউ বলে ষড়যন্ত্র করছে, কেউ কেউ বলে বিএনপি উসকানি দিচ্ছে, কেউ কেউ বলে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের শক্তি, কেউ কেউ বলে রাজাকার। এ সমস্ত কথা বলে, এগুলোকে ‘মূলধন করে অনেকদিন জাতিকে তাদের সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এগুলোকে আর ‘মূলধন’ করার সুযোগ নাই। নতুন প্রজন্মের কাছে এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা কিছু নাই। এসবকে মূলধন করে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সুযোগ কারো নেই। নতুন প্রজন্ম সেই বক্তব্যটাই দিচ্ছে, সেজন্য তারা আন্দোলন করছে।’ ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’ এই স্লোগান শিক্ষার্থীরা দেয়নি দাবি করে আমীর খসরু দাবি করেন, এই স্লোগানের শেষে তারা বলেছে, ‘কে বলেছে, কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার। রাজাকার রাজাকার পর্যন্ত বলে অর্ধেক স্লোগান দিলে হবে না, শ্লোগানটা পুরোটা বলতে হবে। পুরো স্লোগানটা যদি মাথায় রেখে আমার মনে হয় কেউ কোনো সমস্যা দেখতে পারছে না। আরো স্লোগান আছে আমি সেটা এখানে বলতে চাচ্ছি না।’
মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসিতে মাদক মামলা ১২ হাজার ছাড়াল। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- চট্টগ্রামের মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসিতে বিচারাধীন মাদকের মামলা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। আদালতের চলতি বছরের ২য় ত্রৈমাসিক ফৌজদারি মামলার শ্রেণীগত পরিসংখ্যান বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসিতে নতুন মামলা যুক্ত হওয়ার চেয়ে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা অনেক কম। ২৭৯টি মামলা নিষ্পত্তির সময়কালে অর্থাৎ গত এপ্রিলের শুরু থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসিতে মাদকের নতুন মামলা যুক্ত হয়েছে ৪৬৩টি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসিতে নগরীর ১৬ থানা থেকে মামলা আসে। এসব মামলা বিচারের জন্য আদালত রয়েছে মাত্র আটটি।অথচ প্রয়োজন ১৬ থানার জন্য ১৬টি আদালত। মূলত আদালতের সংখ্যা কম হওয়ায় মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসিতে ১২ হাজারের উপর বিচারাধীন মাদকের মামলা জমা হয়েছে। একই কারণে নতুন মামলা যোগ হওয়ার চেয়ে নিষ্পত্তির সংখ্যাও কম দেখা যাচ্ছে। মাদকসহ আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, থানা থেকে যে হারে আদালতে মামলা যুক্ত হচ্ছে সে হারে নিষ্পত্তির সংখ্যা বাড়াতে হলে আদালতের সংখ্যা বাড়াতেই হবে।
আদালত থেকে প্রাপ্ত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসিতে (বিচারিক ফাইল) গত এপ্রিলের শুরুতে বিচারাধীন মাদকের মামলা ছিল ১২ হাজার ৭৫৯টি। জুনের শেষ পর্যন্ত বিচারের জন্য নতুন যোগ হয় ৫১২টি। সবমিলে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ হাজার ২৭১ টি। এ সময় নিষ্পত্তি হয় ২৭৯ টি। অবশিষ্ট থাকে ১২ হাজার ৯৯২ টি মামলা। উক্ত ১২ হাজার ৯৯২ টি মাদকের মামলা–ই বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসির আমলী ফাইলে দেখা যায়, আমলী ফাইলে এপ্রিলের শুরুতে মাদক মামলা ছিল ৩৯৮টি। নতুন দায়ের হয় ৪৬৩ টি। বদলি হয় ৪৪১টি। জুনের শেষে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯০টি।
আদালতের পরিসংখ্যান বিষয়ক প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসিতে মামলা যোগ হয়েছে ৪৬৩টি। বিপরীতে নিষ্পত্তি মাত্র ২৭৯টি। তিন মাসে নিষ্পত্তির চেয়ে ১৮৪ টি মামলা বেশি দায়ের হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো উঠে আসে, মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসিতে (বিচারিক ফাইল) মাদকের মামলা–ই সবচেয়ে বেশি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। এরপরে রয়েছে যৌতুকের মামলা। আদালতটিতে ২ হাজার ১৮৩ টি যৌতুকের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে আমলী ফাইলে সবচেয়ে বেশি বিচারাধীন মামলা রয়েছে এন আই অ্যাক্টের মামলা। এ সংখ্যা ৪ হাজার ৬৫৭ টি। এর পরের অবস্থান যৌতুকের মামলা। আমলী ফাইলে মোট ১ হাজার ৬৪৯ টি যৌতুকের মামলা রয়েছে। মটরযান মামলা বিচারাধীন রয়েছে ৮৫৭ টি। এছাড়া নারী শিশু মামলা রয়েছে ৫২৮ টি। আদালতসূত্র জানায়, মাদকের প্রায় ১৩ হাজারসহ মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেসিতে বর্তমানে ৫৫ হাজারের বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে বলেন, মামলার আনুপাতিক হারে নিষ্পত্তি অনেক কম। নিষ্পত্তি কম হওয়ায় আদালতে দিন দিন মামলা বাড়ছেই। নিষ্পত্তি বাড়াতে হলে অবশ্যই আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এর বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ১৬ থানার জন্য মাত্র আটজন ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে, তা অনেক কম। এই আটজন ম্যাজিস্ট্রেটের অনেক কাজ। তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিতে হয়। সিআর মামলা আমল গ্রহণ করতে হয়। দেখা যায়, সাক্ষীরা নিয়মিত হাজির হয় না। এসব বিষয়ও গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। আদালতের সংখ্যা বাড়ানো হলে এবং সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা নিশ্চিত করতে পারলে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে।
চাটগাঁর চোখ