শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কে এই ৪০০ কোটি টাকার পিয়ন?

সংবাদ বিশ্লেষণ

কে এই ৪০০ কোটি টাকার পিয়ন? ছিলেন শেখ হাসিনার বাসার পিয়ন। পরবর্তীতে হয়েছেন কয়েকশো কোটি টাকার মালিক! সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় উঠে আসে তার প্রসঙ্গ। এরপরই তাকে পিয়নকে নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-নিজের বাসার কাজের লোক ৪০০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে কে এই ৪০০ কোটি টাকার মালিক পিয়ন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীর । তার বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল থানাধীন খিলপাড়া ইউনিয়নে। বাবা মৃত রহমত উল্ল্যাহ । জাহাঙ্গীর একসময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকার সময় সুধা সদনে কাজ করতেন। সে সময় সুধাসদনে আসা ব্যক্তিদের পানি এগিয়ে দেওয়ার কারণে তার নাম হয় পানি জাহাঙ্গীর। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি তার ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাটখিলের সেই জাহাঙ্গীর প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে কাজ করলেও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিতেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে নানা তদবির করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন তিনি। তিনি নোয়াখালী ও রাজধানী ঢাকায় বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। সঙ্গে নিয়ে ঘুরতেন লাইসেন্সকৃত পিস্তল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করছেন এমন অভিযোগে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রয়োজনে নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিতেও বলা হয়।

সূত্র জানায়, কোটি কোটি টাকার সম্পদ কামানোর পর রীতিমতো রাজনৈতিক মাঠে নেমে যান পিয়ন জাহাঙ্গীর। চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতির পদও বাগিয়ে নেন। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য নমিনেশন তুলেছিলেন। পরে নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান। তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী-১ আসনের নৌকার প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহীমের বিরোধিতা করে তাকে হারানোর পাঁয়তারার অভিযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী পরিচয় দিয়ে এই কাজ করার সময় তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় একাধিক প্লট-ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন জাহাঙ্গীর। ধানমন্ডিতে স্ত্রীর নামে আড়াই হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এছাড়া নোয়াখালীর মাইজদী শহরের হরি নারায়ণপুরে তার আটু তুলা একটি বাড়ি রয়েছে। সেটিও তার স্ত্রীর নামে। সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য তিনি নোয়াখালীতে বিপুল অর্থও খরচ করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিশাল বহর নিয়ে তিনি সভা-সমাবেশ করতেন। এসব সভা-সমাবেশের জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে নিজের এলাকায় দাওয়াত করে নিয়ে যেতেন তিনি। যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করতেন।

আরও জানা যায়, ধানমন্ডিতে আলিশান ফ্ল্যাট ছাড়াও রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও নিউমার্কেটে দুটি দোকান রয়েছে তার। ঢাকার মিরপুরে একটি সাততলা ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় জাহাঙ্গীর কৃষিখাত থেকে তার প্রতি বছর আয় ৪ লাখ টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে সাড়ে ১১ লাখ টাকা আয়, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে ৯ লাখ টাকা আয়, চাকরি থেকে ৬ লাখ ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা আয়ের তথ্য জানান । হলফনামার হিসাব অনুযায়ী বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকার আয়ের কথা জানিয়েছেন।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, জাহাঙ্গীরের নিজের নামে আড়াই কোটি টাকা ও স্ত্রীর নামে ব্যাংকে প্রায় সোয়া এক কোটি টাকা ছিল। ডিপিএস ছিল পৌনে তিন লাখ টাকা, এফিডিআর ছিল সোয়া এক কোটি টাকা। স্ত্রীর নামে কিনেছেন গাড়ি। বিভিন্ন কোম্পানিতে কোটি টাকার শেয়ারও রয়েছে। এছাড়া একটি অংশীদারি প্রতিষ্ঠানে তার ছয় কোটি টাকার বিনিয়োগও রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে কাজ করার সময় ব্যক্তিগত পরিচয় দিয়ে তদবির, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অপকর্ম করে বেড়িয়েছেন জাহাঙ্গীর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচয় ব্যবহার করে গাজীপুরের ইপিজেড এলাকার ঝুট ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি।
বিপুল সম্পদের বিষয়ে জানতে একাধিকবার জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিকাল পর্যন্ত তার মোবাইল খোলা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর তিনি মোবাইল বন্ধ করে গা ঢাকা দেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, জাহাঙ্গীর বুঝতে পেরেছেন যেকোনও সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে, এজন্য যেভাবেই হোক উপায়ে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন।

তিস্তা প্রকল্পে ভারতকেই চান প্রধানমন্ত্রী। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিস্তা প্রকল্প ভারতের করা উচিত। রোববার গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনার প্রকল্প ভারতেরই করা উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে তিনি কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, তিস্তা প্রজেক্টটা আমাদের করতে হবে। চীনও আমাদের কাছে কিছু অফার দিয়েছিল। তাদের ফিজিলিবিটি স্টাডি করেছে। ইন্ডিয়াও আমাদের কাছে অফার দিয়েছে। ইন্ডিয়াও ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে। এটা করার পরে, যেটা আমাদের জন্য যুক্তিযুক্ত হবে, আমরা সেটা নেব। পরে অবশ্য শেখ হাসিনা ভারতের প্রস্তাবের পক্ষে থাকার কথা তুলে ধরেন। বলেন, চীন তো রেডি। কিন্তু আমি চাচ্ছি যে এটা ইন্ডিয়া করে দিক। এই প্রজেক্টটা করলে এই প্রজেক্টটার জন্য যা দরকার, ইন্ডিয়া দিতেই থাকবে। ঠিক আছে? যা সাফ সাফ কথা, রাখা ঢাকা নাই। খবর বিডিনিউজের।

ভারতের প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ তিস্তার পানিটা ইন্ডিয়াই আটকে রেখেছে। কাজেই তাদের কাছ থেকে আমাদের যদি আদায় করতে হয়, প্রজেক্টের কাজ তাদেরই করা উচিত। তারা প্রজেক্ট করে আমাদের যা প্রয়োজন তারা দেবে। এটা তো একটা ডিপ্লোমেসি। এখানে আর কোনো দ্বিধা থাকার তো কথা নয়। তিস্তা প্রকল্প বহু যুগের প্রকল্প জানিয়ে তিনি বলেন, আমার যতটুকু মনে পড়ে, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে (১৯৫৪ সালে) ছিল, আওয়ামী লীগের ইশতেহারে অনেকবার ছিল। গত জুনের শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় তিস্তা মহাপরিকল্পনায় দেশটি যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখায়। এর অংশ হিসাবে ভারতের একটি কারিগরি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে বলে শেখ হাসিনার সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানান ভারতীয় সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদী।

শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ ছয় মাস স্থগিত। দৈনিক পূর্বকোনের শিরোনাম এটি। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য হ্যান্ডলিং কাজের জন্য শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগের আলোচিত টেন্ডার অবশেষে স্থগিত করা হয়েছে। একটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত থেকে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত রেখে রুল জারি করে। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- এবার চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে আসা বিদেশি জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের অপারেটর তালিকাভুক্তির টেন্ডার ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। গত বুধবার হাইকোর্টর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক এর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের রেগুলেশন ও আইন পরিবর্তন করে এই কাজে অভিজ্ঞতা থাকার বিষয়টি বাতিল করার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে নানা অভিযোগের পরও ২০২৩ সালে ২৩টি শিপ হ্যান্ডলিং কাজের অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরের লাইসেন্স দিয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এবার তাদেরকে শিপ
জানা যায়, আগামী দুই বছরের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে, কুতুবদিয়া, সিসিজে, টিএসপি, সাইলো, রিভারমুরিং, কাফকো, সিই- উএফএল ও অন্যান্য বিশেষায়িত জেটিতে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্তির টেন্ডার আহ্বান করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত ৫ জুনের সেই টেন্ডারে শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘যে সমস্ত শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর/স্টিভিডোরের ২০২৩ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স আপটুডেট আছে এবং যে সকল প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে ও ২০২৩ সাল পর্যন্ত আপটুডেট আছে সে সকল প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারবেন’ অভিযোগ উঠে, চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়নি। এমনকি ২০২৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান’ উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ গতবছর অনিয়মের মাধ্যমে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল তাদের তালিকাভুক্তির জন্যই এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদায়ী চেয়ারম্যানের বদলি আদেশ জারি হয় ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল । তিনি এক প্রকার তড়িঘড়ি করেই মাত্র ১৮ দিনের মাথায় ২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল কোন গেজেট নোটিফিকেশন, পিপিআর, টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই এবং পেপার বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কাজে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর লাইসেন্স ইস্যু করেন।

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই ২৩টি অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে কোন প্রকার আলাপ- আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য প্রযোজ্য ‘রেগুলেশন ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগাং পোর্ট (কার্গো এন্ড কনটেইনার), ২০০১ এর প্রবিধান সংশোধন করার জন্য উদ্যোগ নেয়। যদিও ওই সংশোধন ও সংযোজন বিষয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা হলে হাইকোর্ট চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এক রায়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন মতবিনিময় সভার আয়োজন না করেই একতরফাভাবে পুনরায় চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি এস.আর.ও. জারির মাধ্যমে ‘রেগুলেশন ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগাং পোর্ট (কার্গো এন্ড কনটেইনার), ২০০১ সংশোধন করেছেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের কাজে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ১৩টি স্টিভিডোরিং প্রতিষ্ঠান এখনো কর্মহীন অবস্থায় আছে, যেখানে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত অর্থাৎ ৩২টি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর বর্তমানে কর্মরত এবং বর্তমান সরকার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিবেচনা করে বন্দর পরিচালনার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিচ্ছে, সেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের কাজে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের বরাবরে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর লাইসেন্স ইস্যু করা এবং ওই ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য একতরফাভাবে ‘রেগুলেশন ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগাং পোর্ট (কার্গো এন্ড কনটেইনার), ২০০১ এর পরিবর্তন আনা কোন শুভ লক্ষণ নয়।

চাটগাঁর চোখ/ এইচডি

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর