পুকুরে ডুবে পাঁচ শিশুর মৃত্যু। দৈনিক পূর্বকোনের শিরোনাম এটি। চট্টগ্রামে গত কয়েক দিনে পানিতে ডুবে শতাধিক নানা বয়সী শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বেঘোরে এরকম শিশু মৃত্যুর খবর এখনো প্রায় প্রতিদিনই আসছে। বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে পৃথক ঘটনায় পুকুরে ডুবে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-বাঁশখালী : উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে পুকুরে ডুবে নেহা মনি (৪) ও শিব্রাতুমিম (৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বেলা ১২টা ও বিকাল ৫টায় পৃথক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মোছাম্মৎ নেহা মনি ছৈয়দুর রহমান ও মোসাম্মৎ শিব্রার্তুমিম জাফরুল ইসলামের মেয়ে। জানা যায়, ছনুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুই
পরিবার ও প্রতিবেশীরা খোঁজ করতে গিয়ে পানিতে ভাসমান অবস্থা পায়। তাদের উদ্ধার করে বাঁশ- খালীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাঙ্গুনিয়া : খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রুহি আকতার (৮)। সে উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউনিয়নের লিচুবাগান এলাকার মো. মঞ্জুর ছেলে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে নামে রুহি। একপর্যায়ে তাকে দেখতে না পেয়ে পুকুরে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা পুকুরে নেমে শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করে। দ্রুত তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন।
কুতুবদিয়া : পুকুরে ডুবে ইসরাত জাহান নামে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে বড়ঘোপ রোমাইপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার আব্দুল মালেকের কন্যা। নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, শনিবার ইসরাত জাহান বাড়ির উঠানে খেলছিল । পরে সবার অজান্তে পুকুরে পড়ে যায়। পরে ভাসমান অবস্থায় পুকুরে তার সন্ধান মেলে । এ সময় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মহেশখালী : পুকুরে ডুবে মো. সোহাগ নামে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকেলে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোহাগ ওই গ্রামের বাদশাহ মিয়ার ছেলে। তাকে উদ্ধার করে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আছেন ভারতে টিকা দিচ্ছেন দেশে! পান্না রানী দাশ সাতকানিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন পান্না রানী দাশ। অথচ সর্বশেষ চলতি জুলাই মাসের অগ্রিম মাসিক কর্মপরিকল্পনার তালিকায় নাম জমা দিয়েছেন তিনি। যার অনুমোদন দিয়েছেন খোদ সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। তবে শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের নজরে আসলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- কাগজে কলমে সাতকানিয়ায় নিয়মিত শিশুদের টিকা দিচ্ছেন তিনি। সামলাচ্ছেন অফিসের কাজ- কর্ম। মাসিক পরিকল্পনার তালিকায় রয়েছে নামও। অথচ বাস্তবে গত পাঁচ মাস ধরে কর্মস্থলেই নেই তিনি। ছুটি না নিয়েই অবস্থান করছেন ভারতে। এই কর্মকর্তার নাম পান্না রানী দাশ। সাতকানিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে রয়েছেন তিনি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন পান্না রানী দাশ। অথচ সর্বশেষ চলতি জুলাই মাসের অগ্রিম মাসিক কর্মপরিকল্পনার তালিকায় নাম জমা দিয়েছেন তিনি। যার অনুমোদন দিয়েছেন খোদ সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে পান্না রানী দাশ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও বিষয়টি গোপন রেখেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তবে শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের নজরে আসলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার বর্তমানে ভারতে অবস্থান করলেও বহির্গমনের জন্য অনুমোদন দূরের কথা, আবেদনও করেননি এ সরকারি কর্মচারী। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া তিনি কীভাবে বিদেশ গেলেন, বিদেশ যাওয়ার পরও কীভাবে মাসিক অগ্রিম কর্মপরিকল্পনায় তার নাম জমা দিচ্ছেন- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনাও।
পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কে এম আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পান্না রানী দাশ ফেব্রুয়ারিতে ৩০ দিনের অর্জিত ছুটির আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয় । কিন্তু ছুটি শেষে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেননি। একাধিকবার শোকজ করা হলেও তার জবাব পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি শুনেছি, তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তিনি কীভাবে ভারতে গেলেন তা জানা নেই ।
নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পরিবারিক কারণে অর্জিত ছুটি মঞ্জুরের জন্য সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন পান্না রানী দাশ। যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে ১৭ ফেব্রুয়ারি। আবেদনপত্রটি স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ইনচার্জ ২০ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষর করে ‘ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হইল’ বলে অগ্রবর্তী করেন। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৩ দিন আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি অন্য এক অফিস আদেশে ছুটি মঞ্জুর করেন। শুধু তাই নয়, সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জমা দেয়া অগ্রিম মাসিক কর্মপরিকল্পনার তালিকাও জমা দিয়েছেন পান্না রানী দাশ। যা অনুমোদন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
অগ্রিম মাসিক কর্মপরিকল্পনায় নাম থাকার বিষয়টি অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কে এম আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কাগজে উনার নাম থাকলেও পান্না রানী দাশের পরিবর্তে অন্যরা কাজ করছেন। তবে তার বেতন বন্ধ রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জুলাই চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠির প্রেক্ষিতে পান্না রানীর অনিয়মের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সিভিল সার্জনের চিঠিতে বলা হয়, বিনা অনুমতিতে বিগত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন পান্না রানী দাশ। নিম্ন স্বাক্ষরকারী অবগত হন যে, উক্ত কর্মচারী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতে অবস্থান করছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায় ।
নথি পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় তিনি কোনো ধরনের ছুটি মঞ্জুর ব্যতিরেকে বিদেশে অবস্থান করছেন। বিষয়টি বিধিসম্মত নয়। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে স্বাস্থ্য পরিদর্শক পান্না রানী দাশের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। যে কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, বিদেশ যাওয়ার ছুটি দেয়ার অধিকার সিভিল সার্জনেরও নেই। কিন্তু কীভাবে ছুটি ছাড়াই ওই কর্মচারী ভারতে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া অনুপস্থিত থাকার পরও প্রক্সি দিয়ে কাজ চলছে, এটি আরও বড় অপরাধ। বিষয়টি এতদিন ইউএইচএফপিও আমাকে অবহিতও করেননি । এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারও গাফিলতি থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দীর্ঘ বিরতির পর ইউনিট সম্মেলন, শুরুতে বিরোধ। মোহরার তিনটি ইউনিটে আওয়ামী লীগের কর্মীসভা ঘিরে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সভা, বিক্ষোভ। পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ডেও হট্টগোল, সভা পণ্ড। এসংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নগরীর সকল অসমাপ্ত ইউনিট আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নগরীর সকল ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন সম্পন্ন করার নির্দেশনা রয়েছে।
সর্বশেষ গত ৪ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এ নির্দেশনা দেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নগরীর চান্দগাঁও থানার ৫ নং মোহরা ওয়ার্ডের ক, খ ও গ ইউনিট আওয়ামী লীগের কর্মীসভা ঘিরে পাল্টাপাল্টি সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। এছাড়া গতকাল দুই পক্ষের হট্টগোলে পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাও পণ্ড হয়ে যায়। দীর্ঘ বিরতির পর মোহরা ওয়ার্ডের ক, খ ও গু ইউনিটের কর্মীসভা করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশকে (নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও স্থানীয় এমপি আবদুচ ছালামের অনুসারী) বাদ দিয়ে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা সভা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা।
একাংশের নেতারা ১২ জুলাই সন্ধ্যায় মোহরা ওয়ার্ডের গ ইউনিটের কর্মীসভা আহ্বান করেন। সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশকে বাদ দেওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সভাস্থলে বিক্ষোভ করেছেন এই অংশের নেতাকর্মীরা। দুই পক্ষের মধ্যে বিশৃক্সখলা সৃষ্টি হতে পারে-এমন আশঙ্কায় চান্দগাঁও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করায়। এ সময় পুলিশ স্থানীয় কাউন্সিলর কাজী নূরুল আমিনকে বলেন বিক্ষোভকারীদের বাইরে নিয়ে যেতে। কাজী নূরুল আমিন বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের নিয়ে চলে আসেন। উল্লেখ্য, চান্দগাঁও আওয়ামী লীগের সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক হলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এই থানার সকল ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটির কর্মীসভা থেকে শুরু করে প্রস্তুতি সভা এবং সর্বশেষ সম্মেলন করার দায়িত্ব তার। একইসাথে স্থানীয় এমপি হিসেবে প্রতিটি সভা এবং সম্মেলনে আবদুচ ছালামের থাকার কথা। অথচ একটি গ্রুপ দুই শীর্ষ নেতা এবং তাদের অনুসারীদের বাদ দিয়ে কর্মীসভা করে সম্মেলন করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য কাউন্সিলর কাজী নূরুল আমিন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ওলিদ চৌধুরী।
অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেছেন মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ হোসেন খান মাসুক। তিনি বলেন, যারা প্রতিবাদ করছেন তারা মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক অনুমোদিত কমিটির কেউ না। আর তারা তো গত সপ্তাহে আমাদেরকে বাদ দিয়ে নিজেরা ৩ ইউনিটের সম্মেলন প্রস্তুতির সভা করেছেন।
ক ও খ ইউনিটের কর্মীসভা ঘিরে পাল্টাপাল্টি : শুক্রবারের রেশ না কাটতেই গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় মোহরা ওয়ার্ডের ক ইউনিট এবং সন্ধ্যা ৭টায় খ ইউনিটের সভা আহ্বান করা হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশকে বাদ দিয়ে। এই ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রেজাউল করিম চৌধুরী এবং আবদুচ ছালামের অনুসারীরা।
গ ইউনিটের মতো গতকাল সন্ধ্যায় মোহরা ৫ নং ওয়ার্ডের ক ও খ ইউনিট আওয়ামী লীগের কর্মীসভা আহ্বান করেন আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা। গ ইউনিটের মতো ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশকে বাদ দিয়ে ক ও খ ইউনিটের কর্মীসভা আহ্বান করায় এই কর্মীসভা বাতিলের দাবিতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন রেজাউল ও ছালামের অনুসারীরা। এই অংশের নেতাকর্মীদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অবৈধ কর্মীসভা আহ্বানের প্রতিবাদে খ ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উসমান গণির সভাপতিত্বে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিকাল ৫টায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য এস এম আনোয়ার মির্জা, মো. ফারুক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী নূরুল আমিন, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সেকান্দর চৌধুরী, হাজী আবু তাহের, ওলিল চৌধুরী, জমির উদ্দিন, হাসান মুরাদ চৌধুরী, আবুল কাশেম, আবুল কাশেম বাদশা, হানিফ খান, পংকজ চৌধুরী, তাপস চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিবু প্রসাদ, ক ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আজম খান, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন বিটু, জামশেদ চৌধুরী, রিদুয়ান, নূরুল আবছার, পারভেজ, তসলিম, কফিল উদ্দিন, মো. ইসহাক, আরজু, খোকন, মামুনুর রশিদ, মো. হোসেন প্রমুখ।
যারা প্রতিবাদ করছেন তারা বৈধ কমিটির কেউ না : মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ হোসেন খান মাসুক বলেন, যারা প্রতিবাদ করছেন তারা তো মহানগর আওয়ামী লীগ অনুমোদিত কমিটির কেউ না। মহানগর আওয়ামী লীগের গত ২০ জুনের বর্ধিত সভায় যারা দাওয়াত পেয়েছিলেন তারাই বৈধ কমিটি। আমরা তো বৈধ কমিটি হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় গিয়েছি। যারা প্রতিবাদ করছেন তারা ইউনিট কমিটি করে গত সপ্তাহে তিন ইউনিটের সম্মেলন প্রস্তুতির সভাও করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের থানার সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক রেজাউল করিম চৌধুরী আমাদেরকে বলেছেন সবাইকে নিয়ে সমন্বয় করে সভা করার জন্য। তিনি আমাদের পক্ষের ৩ জন এবং ওদের পক্ষের ৩ জনকে নিয়ে সমন্বয় করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ গত সপ্তাহে আমাদের ৩ জনকে বাদ দিয়ে তিন ইউনিটের সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা করেছে। আমাদেরকে বাদ দিয়ে সভা করায় আমাদের পক্ষের নেতাকর্মীরা আমাদের চাপ দিয়েছেন কর্মীসভা করার জন্য। আমরা বিষয়টি মেয়র সাহেবকে জানিয়েছি। আমরা তিন ইউনিটের কর্মীসভা শেষ করেছি। এখন সম্মেলনের জন্য মেয়র রেজাউল করিম ভাইয়ের সাথে দেখা করব ।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার গ ইউনিটের কর্মীসভা করেছি। আজ (গতকাল) বিকাল ৫টায় খ ইউনিটের সভা অনুষ্ঠিত হয় এল খান উচ্চ বিদ্যালয়ে। সন্ধ্যা ৭টায় ক ইউনিটের কর্মীসভা করেছি। সভায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ হোসেন খান মাসুক, যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দিনসহ ক ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী চৌধুরী দুলাল, সাধারণ সম্পাদক রফিক এলাহী, খ ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার বাবু, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ডেও হট্টগোল, সভা পণ্ড : ২৯ নং পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে ওয়ার্কিং কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু দুই গ্রুপের হট্টগোলে তা পণ্ড হয়ে গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আলী বক্স এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর গোলাম মো. জোবায়ের সভা আহ্বান করেন। এ সময় কমিটির সহসভাপতি মো. আবছার উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ, শাহীন সরোয়ার, ইকবাল হোসেন, সাজ্জাদ হোসেনসহ একাংশের নেতারা ইউনিট কমিটির সমস্যা নিরসন না করে সম্মেলন করা যাবে না বলে প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। তবে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পায় । শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভার কাজ শেষ হয় ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইসহাক, ওয়ার্ডের সিনিয়ার সহসভাপতি হাজী শওকত আলী, নুরুল আবসার, আফসার উদ্দিন, হাজী আবদুল হামিদ, হাজী দানু মিয়া, শাহীন সরওয়ার, মো. আলী, মো. ইকবাল হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন ও নূরে আলমগীর চৌধুরী।
চাটগাঁর চোখ/ এইচডি