রেলপথ-সড়ক পথ অবরোধ নগরজুড়ে যানজট-ভোগান্তি। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। শুধুৃ সড়ক পথ নয় রেলপথও অবরোধ করা হয়। যার কারনে প্রায় ৮টা ঘন্টা চট্টগ্রামের সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এসব ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়ে। এতে ১০টি ট্রেনের সূচিতে ‘বিপর্যয়’ দেখা দেয় । এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম- কক্সবাজারসহ অভ্যন্তরীণ রুটে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১০টি ট্রেন আটকা পড়েছিল। প্রায় ৮টা ঘন্টা চট্টগ্রামের সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এসব ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়ে। এতে ১০টি ট্রেনের সূচিতে ‘বিপর্যয়’ দেখা দেয় । গতকাল বুধবার সকাল ১১টা দেওয়ানহাটে রেলপথ অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দুপুরের পর তারা দেওয়ানহাট সড়ক পথ অবরোধ করেন।
অবরোধ চলাকালে নগরীর টাইগারপাস থেকে আগ্রাবাদ সড়ক, অপরদিকে লালখান বাজার সড়ক, টাইগারপাস আমবাগান সড়ক, টাইগারপাস স্টেশন রোড়-নিউমার্কেট সড়কসহ বিশাল এলাকা জুড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় দীর্ঘ যানজটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষদের। এতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও কক্সবাজার এবং নাজিরহাটগামী ১০টি ট্রেন আটকা পড়ে। এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে চড়ে দেওয়ান হাটে আসেন
কোটাবিরোধী আন্দোলন চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটসহ অভ্যন্তরীণ রুটে আটকা পড়ে ১০টি ট্রেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয়েছে গন্তব্যে চবির শিক্ষার্থীরা। ট্রেন থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যে ট্রেনে করে এসেছেন-সেই ট্রেনটি আটকে দেন। পরে পুলিশ প্রহরায় ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন চলে যায়। এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় দুপুর পর্যন্ত সড়ক পথ অবরোধ করেননি শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১টা ১০মিনিটে নগরের টাইগারপাস মোড়ে সড়ক অবরোধের মধ্যে দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয় । এর ফুলে নগরের ব্যস্ততম সড়ক টাইগারপাস দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চারদিকে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। অনেকে বাধ্য হয়ে ভিন্ন পথ ব্যবহার করেন। কেউবা পায়ে হেঁটেই কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দেন। সন্ধা সাতটায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেল স্টেশন এবং দেওয়ানহাট ব্রিজের নিচে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে দেওয়ানহাট ব্রিজের নিচে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেওয়ায় কোনো ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে যেতে বা স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে শিক্ষার্থীরা লাইন থেকে অবরোধ তুলে চলে যাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে বিলম্ব সূচির ট্রেনগুলো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছাড়তে শুরু করে। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, ছাত্রদের কোটা বিরোধী অবরোধে আজকে (গতকাল বুধবার) সকাল ১০টার পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত (সন্ধ্যা পৌনে ৭টা) চট্টগ্রাম- ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, নাজিরহাট রুটের ১০টি ট্রেন আটকা ছিল। এই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামে কোনো ট্রেন আসতে পারেনি এবং ছেড়ে যেতেও পারেনি। কক্সবাজার এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, মহানগর গোধুলী, সোনার বাংলা, চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস, ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস, নাজিরহাটগামী লোকাল ট্রেনসহ ১০টি ট্রেন আটকে ছিল। আন্দোলনকারীরা রেললাইন থেকে সরে যাওয়ার পর সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে আমরা আস্তে আস্তে ট্রেন গুলো চালাতে শুরু করি। তিনি বলেন, প্রথমে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়া হয় এবং এর পরপরই কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ঢাকা থেকে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস। এরপর পর্যায়ক্রমে ঢাকাগামী সোনার বাংলা, গোধূলী, মহানগর ও চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেসসহ সব ট্রেন ছাড়া হয় আস্তে আস্তে ।
ঝাদের চবি প্রতিনিধি জানান, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামসহ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষিত তরুণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা থেকে সারা দেশ প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়ক ও রেলপথে বিভিন্ন গন্তব্যের রুটে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সরকারি চাকরির সব গ্রেডে সকল প্রকার কোটা বাতিল করে সংবিধানে থাকা অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের এক দফা দাবিতে সারা দেশের মত চট্টগ্রামেও সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা।
“বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের মত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামেও আন্দোলন চলছে। বেলা ১১টা থেকে দেওয়ানহাট ব্রিজের নিচে রেললাইনে এবং টাইগার পাস মোড়ে অবস্থান নেন চবি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। তারা রেললাইনের ওপর বসে বিভিন্ন স্লোগান দেন। দিনভর সড়কে অবস্থান নেওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আন্দোলনকারীরা দেওয়ানহাট ব্রিজ এবং টাইগার পাস থেকে সরে মিছিল নিয়ে নগরীর নিউ মার্কেটের দিকে চলে যায় । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা এ আন্দোলনে যোগ দেন। সরকারি চাকরিতে সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানান তারা। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, মেধাবীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। কোটা বৈষম্যের কারণে মেধাবীদের জন্য সকল রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আমরা মেধাবী দ্বারা পরিচালিত একটি স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই ।
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাদে অন্য কোনো কোটা রাখা উচিত না। সব মিলিয়ে কোটা ৫ শতাংশ রাখতে হবে। উচ্চ আদালত আজকে যে রায় দিয়েছেন, সেটির প্রতি তারা সম্মান জানান, কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা পথ থেকে যাবেন না।
কারখানা স্থাপনে ড্রিল করতে গিয়ে ফুটো হলো জাতীয় গ্রিডের পাইপলাইন। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। কারখানা স্থাপনে ড্রিল করতে গিয়ে ফুটো হলো জাতীয় গ্রিডের পাইপলাইন চীনা ইকোনমিক জোনের কারখানা স্থাপনে ড্রিল করতে গিয়ে ফুটো করে ফেলা হয়েছে জাতীয় গ্যাস গ্রিডের আনোয়ারা–ফৌজদারহাটের ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- চট্টগ্রামে কমেছে গ্যাসের চাপ, মহেশখালী থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ চীনা ইকোনমিক জোনের কারখানা স্থাপনে ড্রিল করতে গিয়ে ফুটো করে ফেলা হয়েছে জাতীয় গ্যাস গ্রিডের আনোয়ারা-ফৌজদারহাটের ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন। এতে করে ঢাকায় এলএনজি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামেও এলএনজি সরবরাহে প্রভাব পড়েছে। এতে করে গ্যাসের চাপ কিছুটা কমে গেছে। আজকের মধ্যে ন্যাশনাল গ্রিড মেরামত করা হলে এলএনজি সরবরাহে কিছুটা গতি আসবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, মহেশখালী থেকে আনোয়ারা-ফৌজদারহাট হয়ে ন্যাশনাল গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ দেয়া হয়। আমদানিকৃত এই এলএনজির উপর চট্টগ্রাম পুরোপুরি এবং ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ বহুলাংশে নির্ভর করে। দেশের গ্যাস চাহিদার অন্তত ৩০ শতাংশের যোগান দেয়া হয় আমদানিকৃত এলএনজি দিয়ে। আনোয়ারা এলাকার চীনা ইকোনমিক জোনের একটি কারখানা স্থাপনের ড্রিল করতে গিয়ে আনোয়ারা- ফৌজদারহাট ন্যাশনাল গ্রিড লাইন ফুটো হয়ে যায়। এতে বিপুল পরিমাণ এলএনজি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মহেশখালী থেকে ঢাকায় এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। একটি বাল্ব বন্ধ করে পরবর্তীতে গ্যাস বের হয়ে যাওয়া ঠেকানো হলেও লাইনটি গতরাত পর্যন্ত মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
এতে করে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ন্যাশনাল গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে চট্টগ্রামে গতকাল ২৫৪ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ দেয়া হয়েছে। ফুটো হয়ে যাওয়া ন্যাশনাল গ্রিডের আগ দিয়ে আলাদা লাইনে চট্টগ্রামে গ্যাস আসার ফলে চট্টগ্রাম কোন রকমে রক্ষা পেয়েছে। গতকাল প্রাপ্ত ২৫৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মধ্যে বহুজাতিক সার কারখানা কাফকোতে ৪২ মিলিয়ন ঘনফুট, বন্ধ হয়ে থাকা সিইউএফএল সার কারখানায় ৬ মিলিয়ন ঘনফুট, শিকলবাহা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেয়া হয়। বাকি গ্যাস দিয়ে চট্টগ্রামের প্রায় ৬ লাখ আবাসিক গ্রাহক, ৬০টিরও বেশি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন এবং বাণিজ্যিক এবং শিল্প গ্রাহকের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করা হয়। গ্যাসের প্রবাহ কম থাকায় চট্টগ্রামেও চাপ কমে যায়। এতে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, চীনা ইকোনমিক জোনে ন্যাশনাল গ্রিড ফুটো হয়ে যাওয়ায় এলএনজি সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। আজকের মধ্যে ন্যাশনাল গ্রিড ঠিকঠাক করা হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
জন্মনিয়ন্ত্রণে শহরের চেয়ে গ্রামের নারীরা এগিয়ে। দৈনিক পূর্বকোনের শিরোনাম এটি। দেশে আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে এগিয়ে আছেন নারীরা। তারমধ্যে মুখে খাওয়া বড়ি গ্রহণের হারই বেশি। নারীদের মধ্যে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীরাই বেশি আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করেন। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের নারীরা এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ (এসভিআরএস) এক জরিপের তথ্যমতে গ্রামের নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন শহরের চেয়ে ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। আবার দেশে আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে এগিয়ে আছেন নারীরা। তারমধ্যে মুখে খাওয়া বড়ি গ্রহণের হারই বেশি। নারীদের মধ্যে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীরাই বেশি আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করেন। সর্বাধিক ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশ নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে মুখে খাওয়ার বড়ি গ্রহণ
করেন।
এসভিআরএস জরিপে দেখা যায়, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণের মাত্রা ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। যে পদ্ধতিটি গ্রামাঞ্চলে ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ নারী গ্রহণ করেন এবং শহরাঞ্চলে গ্রহণ করে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। এছাড়া বর্তমানে বিবাহিত নারীদের মধ্যে ৬১ দশমিক ০ শতাংশ নারী আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেন। এর বিপরীতে মাত্র ১ দশমিক ১ শতাংশ নারী সনাতন পদ্ধতি গ্রহণ করছেন ।
নগরীর একাধিক নারীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, খাবার বড়ির গ্রহণে সুবিধা বেশি। সহজলভ্য, শারীরিভাবে কোনো অসুস্থতাবোধ হয় না । আবার চাইলেই যখন ইচ্ছে ওষুধ বন্ধ করা যায়। দামেও কম। ইনজেশন বা অন্য পদ্ধতিগুলো শারীরিকভাবে নানা জটিলতা দেখা দেয়। আবার কষ্টসাধ্য বলেও অনেকে উল্লেখ করেন। জরিপে দেখা যায়, নারীদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে খাওয়ার বড়ি। দ্বিতীয় পছন্দে রয়েছে ইনজেকশন । ইনজেকশন গ্রহণকারীর অনুপাত ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। তিন নম্বর পছন্দের তালিকায় রয়েছে কনডম। যা ৬ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ব্যবহার করেন।
সব ধরনের পদ্ধতির মধ্যে মাত্র ০ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি গ্রহণ করেন এবং ১ দশমিক ১ শতাংশ কপার টি গ্রহণ করেন। এছাড়া ২ শতাংশ নারী বন্ধ্যাত্বকরণ অন্যান্যসহ অন্যান্য পদ্ধতি গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেন । এরমধ্যে অল্প বয়সীরা আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেশি গ্রহণ করে। করোনা পরবর্তী সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির উপকরণ কিছুটা কমলেও এখন আবার বেড়েছে। তবে বিতরণ কার্যক্রম শহরের চেয়ে উপজেলা পর্যায়ে বেশি। কারণ শহরের নাগরিকরা এখন সচেতন। তারা ফ্রি উপকরণের ওপর নির্ভর করে না। তাই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় বিতরণ কার্যক্রম বেশি।
নগর-উপজেলায় নতুন ৪ আবাসিক। দৈনিক পূর্বকোনের শিরোনাম এটি। পরিকল্পনায় থাকা চারটির মধ্যে পতেঙ্গার বে- পার্ল হাউজিংয়ের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, সবচেয়ে বড় আবাসিক এলাকা হবে আনোয়ারার বঙ্গবন্ধু টানেল প্রান্তে । আনোয়ারাসহ নগরীর আশপাশের উপজেলাগুলোকে মাস্টারপ্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পিত। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- নগরী ও উপজেলায় নতুন করে চারটি আবাসিক এলাকা করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃ ‘পক্ষ (সিডিএ)। এই চারটি আবাসিকের মধ্যে দুটি হবে নগরীর পতেঙ্গা এবং চান্দগাঁও ও বাকলিয়া থানাধীন হামিদচর এলাকায়। বাকি দুটি হবে সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর এবং বঙ্গবন্ধু টানেল সড়কের আনোয়ারা প্রান্তে কালাবিবির দিঘির মোড় এলাকায়। এ চারটি প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড় আবাসিকটি হবে আনোয়ারার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রান্তে। ১৫৭ একর জায়গায় আনোয়ারার কালাবিবি দিঘি এলাকায় আবাসিক প্রকল্প গড়ার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ডিপিপি প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে । আনোয়ারাসহ নগরীর আশপাশের উপজেলাগুলোকে মাস্টারপ্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পিত আবাসিক করার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পাবিদরা।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, নগরীর পতেঙ্গায় ৩৪৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বে-পার্ল হাউজিং’ আবাসিক প্রকল্পের ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যান (ডিপিপি) সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি। সম্প্রতি প্রকল্পটির ডিপিপি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রেরণও করা হয়েছে। মোট তিনটি পর্যায়ে প্রায় ৬০ একর জায়গায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় সিডিএ। প্রায় ২০ একর জায়গায় প্রথম পর্যায়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ । একইভাবে সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায়ও একটি আবাসিকের উদ্যোগ নিয়েছে সিডিএ। সেখানে জায়গা নির্বাচনের জন্য কাজ চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রকল্পের ডিপিপি প্রস্তুত হয়নি। কিছুদিনের মধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি প্রস্তুতের কাজ শুরু হবে জানা যায়।
অন্যদিকে নগরীর চাদগাঁও থানাধীন সিডিএ’র রিং রোড় সংলগ্ন হামিদচর এলাকায় ২০ একর জায়গায় আবাসিক করতে সম্ভাব্যতা যাচাই এবং একইসাথে ডিপিপি প্রস্তুতের কাজ চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ডিপিপি প্রস্তুতের কাজ শেষ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ চারটি আবাসিক প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড় আবাসিক হবে বঙ্গবন্ধু টানেল সড়কের আনোয়ারা প্রান্তে কালাবিবির দিঘির মোড় এলাকায়। সেখানে প্রায় ১৫৭ একর জায়গায় আবাসিক প্রকল্প গড়ার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ডিপিপি প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে। মূলত ওয়ান সিটি টু টাউন কনসেপ্ট থেকে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক নিয়াজ মো. মামুন ।
বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার কমিটির (বাস্থই) চেয়ারম্যান ও সিডিএ’র বোর্ড সদস্য স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, আনোয়ারাসহ নগরীর আশপাশের উপজেলাগুলোকে অবশ্যই পরিকল্পনার আওতায় আনতে হবে। উপজেলাকে মাস্টারপ্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পিত আবাসিক করার এখনই উপযুক্ত সময়। নগরীতে যে পরিমাণ লোকসংখ্যা বাড়ছে সেই অনুযায়ী নগর বিস্তৃত করার বিকল্প নেই আমাদের। জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, পরিকল্পিতভাবে নগরকে বিস্তৃত করার বিকল্প নেই।
নগরীর বাইরে আমরা আশপাশের উপজেলাগুলোতেও আবাসিকের পরিকল্পনা করছি। সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এমন জায়গায় আমরা আবাসিক এলাকা করতে চাই।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৮ সালে নগরীর অক্সিজেন ও কুয়াইশের মধ্যবর্তী এলাকায় প্রায় ১৭০০ প্লট নিয়ে অনন্যা আবাসিক এলাকা গড়ে তুলে সিডিএ। এরপর আর কোন আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি এই সংস্থা। সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ ‘অনন্যা আবাসিক দ্বিতীয় পর্যায়’ একটি প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেন। তবে অর্থ জটিলতায় পরে প্রকল্পটি আর বাস্তবায়ন হয়নি।
চাটগাঁর চোখ/ এইচডি