শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্দোলন থেকে না সরলে হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকি

সংবাদ বিশ্লেষণ

আন্দোলন থেকে না সরলে হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকি। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নাট্যকলা বিভাগের তালাত মাহমুদ রাফি নামে এক শিক্ষার্থীকে ফোন করে হত্যার হুমকি দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মী। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় তার বাবার কাছে ফোন দিয়ে এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আন্দোলন থেকে সরে না আসলে তাকে হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলা বা অ্যাম্বুল্যান্সে করে লাশ পাঠানোর হুমকি দেয় তার পরিবারকে। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নাট্যকলা বিভাগের তালাত মাহমুদ রাফি নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হুমকি দেওয়া হৃদয় আহমেদ রিজভীও চবি নাট্যকলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপের কর্মী। তালাত মাহমুদ রাফি আজাদীকে জানান, আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করার কারণে কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টায় তার বাবার কাছে ফোন দিয়ে এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করে তাকে হত্যার হুমকি দেয় । আন্দোলন থেকে সরে না আসলে তাকে হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলা বা অ্যাম্বুল্যান্সে করে লাশ পাঠানোর হুমকি দেয় তার পরিবারকে। তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, এই মুহূর্তে আমি নিরাপত্তার অভাবে ভুগছি। জানতে পেরেছি, হুমকি দেওয়া ব্যক্তি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার সন্ধা সাতটায় রাফি আজাদীকে বলেন, এ ঘটনায় আমি এখনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করিনি। তবে আমার পরিবার নরসিংদীতে এবং আমি এখানে ডায়েরি করার ইচ্ছা আছে। এছাড়া সোমবার আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এ ব্যাপারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হুমকিদাতা চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সিএফসি গ্রুপের কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানত হলে থাকেন। হৃদয় এই হলে ৩১৩ নম্বর কক্ষে থাকেন বলে জানা গেছে।
হুমকির বিষয়ে জানতে হৃদয়ের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া পাওয়া যায়নি। সিএফসি গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি মির্জা খবির সাদাফ বলেন, এই নামে কাউকে আমি চিনি না। তার সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম জড়াবেন না। তবে এই গ্রুপের একাধিকজন হৃদয় সিএফসির কর্মী বলে নিশ্চিত করেছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই শিক্ষার্থীকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

শুরু হচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্পের সমীক্ষা। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। অবশেষে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপন প্রকল্পের সমীক্ষা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হচ্ছে। আগামী দিন কয়েকের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের সার্ভেসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- প্রকল্প অনুমোদনের প্রায় দুই বছর পর অবশেষে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপন প্রকল্পের সমীক্ষা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হচ্ছে। আগামী দিন কয়েকের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের সার্ভেসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। এই সমীক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমেই চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্প ‘উপরে নাকি পাতালে’ হবে সেটা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি প্রকল্পটির বিভিন্ন দিক উঠে আসবে। ৭০ কোটির বেশি টাকা খরচে পরিচালিত এই সম্ভাব্যতা যাছাইয়ের কার্যক্রম দুই বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শুরু করতে দেরি হওয়ায় মেয়াদ ইতোমধ্যে এক বছর বাড়ানো হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সার্ভে শুরু করার আগে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সিডিএ চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট নিরসনসহ সার্বিক জীবনযাত্রার গতিশীলতা নিশ্চিত করতে ঢাকার পর চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল বাস্তবায়নের জন্য শুরুতে সম্ভাব্যতা যাছাইয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়। ‘ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রোরেল ট্রানজিট কনস্ট্রাকশন অব চিটাগাং মেট্রোপলিটন এরিয়া’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন লাভ করে। মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি পরীক্ষায় খরচ ধরা হয় ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা প্রদান করবে। বাকি টাকা প্রকল্প সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) প্রদান করবে ৫৭ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মূল কাজ মাস্টারপ্ল্যান এবং প্রাক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা খরচ ধরা হয় ৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া পরামর্শক সেবা ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আউটসোর্সিংয়ে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া কারিগরি পরামর্শককে ১ কোটি টাকা, পরিবহন পরামর্শককে এক কোটি টাকা ও গাড়ি ভাড়া বাবদ ২ কোটি ২৫ লাখ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের এই প্রকল্পের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ বছর। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। কথা ছিল। ২০২৪ সালের শেষদিকে সম্ভাব্যতা যাছাই শেষে চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ভবিষ্যত নির্ধারন করা হবে ।
সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগুলেও প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে শুরুতে বেশ জটিলতা তৈরি হয়। এতে করে শুরুটা আর শুরু করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর গত হয়েছে। নতুন করে প্রকল্প মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। অবশেষে সব ঝামেলা চুকিয়ে চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ভাগ্য নির্ধারণে সম্ভাব্যতা যাছাইয়ের কাজ পুরোদমে শুরু করা হচ্ছে।
কাজ শুরু করার আগে গতকাল কোইকাসহ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে মাঠ পর্যায়ে সার্ভেসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে সিডিএ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন।
এ সময় চলমান মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং উপ-প্রধান শহর পরিকল্পনাবিদ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু ঈসা আনছারী ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইঞ্জিনিয়ার জহির আহম্মেদ, কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এমআরটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মীর মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ইয়োসিন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলহো চুং, জুনহেং জো ও সাঙ্গায়ো লি আলোচনার শুরুতে সিডিএর বাস্তবায়নাধীন মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প এবং কোইকার অর্থায়নে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির (ডিটিসিএ) বাস্তবায়নাধীন মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের তথ্য উপস্থাপন এবং আলোচনা করা হয়।
সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, চট্টগ্রামকে পরিকল্পিতভাবে বসবাসযোগ্য করার লক্ষ্যে আগামী ৫০ থেকে ১০০ বছরের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তাই মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য শুধুমাত্র বিদ্যমান শহরকে মাথায় রেখে এগুলে হবে না, বৃহত্তর চট্টগ্রাম তথা উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
তিনি মেট্রোরেলের পাশাপাশি সার্কুলার ট্রেনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প যদি আন্ডারগ্রাউন্ড হয় তবে পরিবেশগত দিক যেমন বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও পাহাড়ি ঢল হলে কিভাবে সেটি মোকাবেলা করা হবে সেটা পরিকল্পনায় থাকতে হবে। তিনি সার্ভে কার্যক্রমসহ সব ধরণের কার্যক্রমে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস প্রদান করেন।
সূত্র বলেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যানজট হ্রাস এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে । পরিবেশবান্ধব মেট্রো সিস্টেম চালু করার মাধ্যমে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গতিশীলতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। মেট্রোরেল হলে চট্টগ্রামের চেহারা পাল্টে যাবে বলে মন্তব্য করে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এটি নগরীর রাস্তায় পরিবহনের চাপ বহুলাংশে কমিয়ে আনবে। মানুষের সময় বাঁচবে। যা চট্টগ্রাম তথা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরণের ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সম্ভাব্যতা যাছাইয়ের পরই চট্টগ্রামের মেট্রো রেল মাটির উপরে নাকি নিচে হবে সেটি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি প্রকল্পের ভবিষ্যত, খরচের পরিমান এবং অর্থায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে উঠে আসবে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। তবে শুরু করতেই দেরি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোরেলের প্রাথমিক কাজই এক বছর দেরিতে শুরু হতে যাচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

৫ খাতে উন্নয়ন হবে ওয়াসার। দৈনিক পূর্বকোনের শিরোনাম এটি। প্রকল্পের ৫ খাতে সহায়তা দেবে জাইকা। খাতগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবসায়িক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা ক্ষমতা শক্তিশালী করা, পানি শোধনাগারগুলোর পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতা উন্নত করা, রাজস্ব বহির্ভূত পানির হার কমানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও তার গ্রাহকদের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করা এবং প্রচারের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য ওয়াসাসহ স্থানীয় সরকারের সাথে চট্টগ্রাম ওয়াসার জ্ঞান ও ডাটা শেয়ার করা। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- চট্টগ্রাম ওয়াসার ৫ খাতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। এ নিয়ে তৈরিকৃত প্রকল্পের কাজ গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। জাপানের জাইকা এ প্রকল্পের অর্থায়ন করছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম ওয়াসার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ঘটবে।

এ প্রসঙ্গে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম পূর্বকোণকে বলেন, ‘প্রকল্পের ৫ খাতে সহায়তা দেবে জাইকা। খাতগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবসায়িক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা ক্ষমতা শক্তিশালী করা, পানি শোধনাগারগুলোর পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতা উন্নত করা, রাজস্ব বহির্ভূত পানির হার কমানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও তার গ্রাহকদের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করা এবং প্রচারের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য ওয়াসাসহ স্থানীয় সরকারের সাথে চট্টগ্রাম ওয়াসার জ্ঞান ও ডাটা শেয়ার করা। প্রকল্পটি টোকিও ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট ইন্টারন্যাশনাল, নিপ্পন কোয়েই এবং আর্নেস্ট ইয়াং যৌথভাবে পরিচালনা করবে। চার বছর মেয়াদি কারিগরি সহায়তা প্রকল্পটি চট্টগ্রাম ওয়াসার সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নকে লক্ষ্য রেখে পরিচালিত হবে।’

এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু নিয়ে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ‘দি প্রোজেক্ট ফর ইমপ্রোভমেন্ট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাসিটি অফ চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যুয়ারেজ অথরিটি’ শীর্ষক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াই জাইকার বিশেষজ্ঞবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ওয়াসার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, প্রকল্প পরিচালক ও ওয়াসার উপ-ব্যবস্থানা পরিচালক (অর্থ) লাল হোসেন, ওয়াসার উপ- ব্যবস্থানা পরিচালক (প্রকৌশল) বিষ্ণ কুমার সরকার, ওয়াসার ভারপ্রাপ্ত উপ ব্যবস্থানা পরিচালক (প্রশাসন) শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা রুমন দে, প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, মাহবুবুল আলমসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

কোনো ব্যারিকেড নয়, সবার জন্য ওপেন আমার দরজা। দৈনিক সুপ্রভাতের শিরোনাম এটি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আমার অফিস ও উপ-কমিশনারদের (ডিসি) অফিসের দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। যে কেউ যেকোনো সময় সাক্ষাৎ করতে পারবেন। আমি কমিশনার থাকাকালীন ওপেন হাউজ-ডে থানায় হবে না। থানার বাইরে যেকোনো স্থানে হবে। মানুষ সব সময় থানায় আসে, এখন থানার পুলিশ মানুষের কাছে যাবে। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করে পুলিশের কাছ থেকে সাংবাদিকদের তথ্য প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি দিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম । সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সভায় তিনি বলেন, কেউ কোনো তথ্য প্রকাশ না করলে আমাকে সরাসরি ফোন করবেন। আমি আপনাদের তথ্য জানাব। আমার অফিস থাকবে সবার জন্য ওপেন। আমার দরজায় কোনো ব্যারিকেড থাকবে না । যোগদানের চারদিন পর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন সিএমপি কমিশনার। সাইফুল ইসলাম বলেন, দায়িত্ব নিয়েই আমি আপনাদের কাছ থেকে শুনতে বসেছি আজকে । প্রতি তিন মাস পরপর আমি আপনাদের সঙ্গে বসতে চাই।
ওই সময় আপনারা আমাকে প্রশ্ন করবেন। আমি সবগুলো প্রশ্নের এক এক করে উত্তর দেব। থানার ওসিদের সতর্ক করে তিনি বলেন, কোনো থানার ওসি অপকর্ম করবে, সে দায় আমি নেব না। দুষ্টু গোয়ালের চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। আমি যে জেলায় কাজ করি, সেখানকার বাসিন্দা হয়ে যাই। চট্টগ্রামের সবকিছুই আমি চিনি। কোন দিন কোন থানায় যাব, সেটা আমি ছাড়া কেউ জানবে না । কোনো প্রটোকল, গার্ড ছাড়াই বিভিন্ন থানায় আমি পরিদর্শনে যাব।

নগরীতে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, কমিউনিটি ও বিট পুলিশের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিষয়ে আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি। বিতর্কিত কেউ এখানে থাকবে না। এখন থেকে কোনো থানায় ওপেন ড়ে-হাউস অনুষ্ঠিত হবে না। প্রতিটি থানায় চারটি করে ওয়ার্ড আছে। এলাকার লোকজন থানায় এসে কেন কথা বলবে। পুলিশ তাদের কাছে যাবে। তারা তাদের কথা পুলিশের কাছে বলবে। চট্টগ্রাম নগরীর কিশোর অপরাধ ও সাইবার অপরাধসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলাপ করেন সাংবাদিকরা।শিশু নিখোঁজের কথা বলে গুজব সৃষ্টি করা হচ্ছে দাবি করে কমিশনার বলেন, অনেকে প্রেম করে বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে, আবার কেউ মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে, অনেকে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে যাচ্ছে; তাদের অধিকাংশই আবার ঘরে চলে এসেছে।

অভিভাবকদের বলব, যাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার আগে তার ছেলে কোথায়, কী কারণে গেছে- এসব বিষয়ে খবর নেন। ফেইসবুকে সারা দেশের মত চট্টগ্রামেও শিশু নিখোঁজের খবরের বিষয়টিকে গুজব অ্যাখ্যা দেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) আব্দুল মান্নান মিয়া। তিনি বলেন, ফেইসবুকে কয়েকটি গ্রুপে এসব তথ্য ছড়িয়েছে। একটি তথ্যই সবার প্রচার করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে তারা সেগুলোর বিষয়ে সংশোধনী দিয়েছে। তারা বলে গেছে, থানায় সাধারণ ডায়েরি ছাড়া কেউ এ ধরনের কিছু আর প্রচার করবে না।

সিএমপির নতুন কমিশনার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৯৫ সালে স্নাতকোত্তর করে ২০০১ সালে ২০তম বিসিএসের মাধ্যমে এএসপি হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। এর আগে তিনি এমআরটি পুলিশের ডিআইজি, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও সিএমপির উপ- কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এ মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মাসুদ আহাম্মদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী।

চাটগাঁর চোখ/ এইচডি

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর