শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চোরাই মোবাইলের বাংলাদেশ ভারত সিন্ডিকেট

সংবাদ বিশ্লেষণ

চোরাই মোবাইলের বাংলাদেশ ভারত সিন্ডিকেট। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি।  চট্টগ্রামের চার মোবাইল ব্যবসায়ী প্রতি সপ্তাহে একেকজন ২-৩শ সেট বাংলাদেশে আনেন। বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় চোরাই মোবাইলের খুব চাহিদা। সেখানে চড়া দামে এ দেশের চোরাই মোবাইলগুলো বিক্রি হয়ে যায়। তাছাড়া পাচার করতেও তেমন কাঠখড় পোড়াতে হয় না কারবারিদের। চুরি করা সেলফোনের ছবি ও বিশদ বিবরণ একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আপলোড করে চোরাচালানকারীরা।এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-বাংলাদেশ-ভারত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে চোরাই মোবাইলের রমরমা ব্যবসা। ভারতে ছিনতাই বা চুরি হওয়া মোবাইল আসছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ থেকে একই কায়দায় মোবাইল সেট যাচ্ছে ভারতে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার উভয় পাশে একের পর এক চোরাই মোবাইল উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নামার পরই পুলিশের হাতে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলকাতা পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সর্বশেষ গত ২৪ এপ্রিল কলকাতার সরকারপুল এলাকা থেকে চুরি হওয়া একটি আইফোন নগরীর জলসা মার্কেট থেকে উদ্ধার করেছে সিএমপির ডিবি পুলিশ। ৬ জুলাই ফোনটি মালিক দিপান্বিতা সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহে এদের একেকজন ২০০/৩০০ চোরাই মোবাইল ফোন কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে পাচার করেন। একইভাবে বাংলাদেশ থেকে চোরাই মোবাইল চলে যায় ভারত, নেপাল, ভূটান ও মালদ্বীপে। আমরা পুরো চক্রটিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।
ভারত থেকে যেভাবে ও যে কারণে আসছে মোবাইল : নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় চোরাই মোবাইলের খুব চাহিদা। সেখানে চড়া দামে এ দেশের চোরাই মোবাইলগুলো বিক্রি হয়ে যায়। তাছাড়া পাচার করতেও তেমন কাঠখড় পোড়াতে হয় না কারবারিদের। চুরি করা সেলফোনের ছবি ও বিশদ বিবরণ একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আপলোড করে চোরাচালানকারীরা। এই গ্রুপে বাংলাদেশি ও কয়েকজন নেপালিও রয়েছে। চুরি হওয়া ফোনগুলো কেউ পছন্দ করেলে, সেগুলো প্যাকেট করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এখানেই শেষ নয়। ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন বাংলাদেশে পাচারের মূল কারণটিও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ জানিয়েছেন, অপরাধীরা সেলফোনগুলো ভারতের বাইরে উদ্ধার হওয়া মোবাইল সেট হাতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারী দিপান্বিতা। ইনসেটে এসআই রবিউল সিএমপি ডিবির (বন্দর ও পশ্চিম) এসআই রবিউল ইসলাম আজাদীকে জানান, দিপান্বিতার হারানো ফোনটি উদ্ধার করতে গিয়ে এই চক্রের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছি। চট্টগ্রামের চারজন মোবাইল ব্যবসায়ী পুরো সিন্ডিকেটটির নেতৃত্ব দেন। প্রতি বিক্রি করে। এর ফলে চোরাই সেলফোনের আইএমইআই নম্বর মুছে ফেলার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হয় না, যার ভিত্তিতে পুলিশ তাদের শনাক্ত করতে পারে না। একবার ফোন অন্য দেশে চলে গেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আইএমইআই নম্বর দিয়ে বেশি কিছু করতে পারে না। বাংলাদেশের মতো ভারতেও অবৈধভাবে আইএমইআই নম্বর মুছে ফেলে এমন সব সেবাদাতার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক পুলিশি অভিযানের ফলে অপরাধীরা সীমান্তের এপারে সেলফোন পাঠানো শুরু করেছে। এসব চোরাই মোবাইল কিনে কেউ ভারতসহ যেকোনো দেশে ভ্রমণে গেলে সেই দেশের আইনশৃক্সখলা বাহিনীর হাতে সহজে ধরা পড়তে পারেন।
একই কায়দায় যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকেও : চট্টগ্রামসহ সারা দেশে চুরি-ছিনতাই হওয়া মোবাইল সেট কেনাবেচায় ‘ভালো দাম পেতে পাচার হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইদানীং নেপাল, ভূটান ও মালদ্বীপেও যাচ্ছে চোরাই ফোন। সেখানে এসব চোরাই পণ্যের রমরমা বাণিজ্য গড়ে উঠেছে। বর্তমানে এমন ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাই বা ছিনতাই হওয়া নামিদামি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন এজেন্ট বা চক্রের সহায়তায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব কেনাবেচা এবং বিদেশে পাচারের ক্ষেত্রে মাধ্যম বা এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, চোরাই মোবাইল কেনাবেচার সময় চার্জার দেওয়া হয় না। এমনকি পুরাতন চোরাই মোবাইলের ব্যাটারি ও ক্যাচিং বদলে দেওয়া হয়। এতে করে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন।
যেভাবে উদ্ধার হলো দিপান্বিতার মোবাইল : কলকাতার বাসিন্দা দিপান্বিতা সরকার গত ২৫ এপ্রিল স্থানীয় মহেশতলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, তার আইফোনটি হারানো গেছে। মোবাইল হারানোর কিছুদিন পরে তার কাছে একটি ইমেইল যায়, হারানো মোবাইলটি চট্টগ্রাম শহরে চালু হয়েছে। তখন তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক অফিশিয়াল পেজে যোগাযোগ করে তার জিডি ও মোবাইলটি চালু করার লোকেশন পাঠান । ডিবি বন্দর-পশ্চিমের এসআই রবিউল বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন আইএমইআই নম্বর দিয়ে ফোনটি পাওয়া না যাওয়ায় শুরু থেকে টেকনোলজি ব্যবহার ও ম্যানুয়ালি নানা কৌশলে কাজ করে ৪ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়, যারা ভারত থেকে চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে এনে রেয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুমন্ডি লেনে খুচরা দোকানদারদের কাছে পৌঁছে দেন। তারা একেকজন সপ্তাহে ২০০-৩০০ চোরাই ফোন নিয়ে আসেন এবং মোবাইল মার্কেটগুলোতে সাপ্লাই দেন। তাদের একজন আবার জলসা মার্কেটের ব্যবসায়ী। ফোনটির লোকেশনও দেখাচ্ছিল জলসা মার্কেট। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোর আগেই তিনি ফোনটি লোক মারফত পাঠিয়ে দিয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন । তাকেসহ সিন্ডিকেটের বাকি তিনজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান এসআই রবিউল।

শুরু হচ্ছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রক্রিয়া। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- বে টার্মিনালে বিদেশি বিনিয়োগের বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করে শর্তাবলী ঠিক করে দেওয়ার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বহুল প্রত্যাশার এই বন্দর নির্মাণের মূল বাধাগুলোও কেটে যাচ্ছে। নামমাত্র মূল্যে সরকারি খাস জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার পাশাপাশি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) বিদেশি বিনিয়োগে চারটি টার্মিনাল নির্মাণের ব্যাপারেও দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। প্রকল্পটির জটিল ও দেশের জন্য নতুন ধাঁচের কাজ ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ এবং চ্যানেল খননের খরচ যোগাতে প্রয়োজনীয় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার সংস্থান হয়েছে। পুরো প্রকল্পের বাস্তবায়ন এখন সময়ের ব্যাপার বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি বিদেশি আরো একটি সংস্থা এই বন্দরে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
বন্দর সূত্র জানায়, পিপিপিতে নির্মাণাধীন চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় প্রকল্প বে টার্মিনাল নির্মাণ কার্যক্রমের
প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর হচ্ছে। নামমাত্র মূল্যে প্রয়োজনীয় জায়গার সংস্থান হওয়ার পর প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমে গতি আসতে শুরু করেছে। বন্দরের চেয়ে অন্তত পাঁচ গুণ বড় বে টার্মিনাল নির্মাণের শুরুতে ব্রেক ওয়াটার ও চ্যানেল তৈরি করতে হবে । দক্ষিণ হালিশহরের উপকূলীয় এলাকার একটি চর ঘিরে চ্যানেল এবং ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ করে বন্দরসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়। বাংলাদেশের জন্য ব্যাপারটি নতুন। মাতারবাড়িতে বন্দর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রথম বড় ধরনের ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের অভিজ্ঞতা লাভ করে বাংলাদেশ। বে টার্মিনাল নির্মাণের ক্ষেত্রে সাগরে বড় একটি বাঁধ নির্মাণ করে স্রোত ঠেকিয়ে চ্যানেল নির্মাণ করা হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অন্তত ৮ ফুট উঁচু করে এই ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ করা হবে। এই চ্যানেলেই তৈরি হবে চারটি টার্মিনাল । বিশ্বে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ব্রেক ওয়াটার নির্মিত হয়। চট্টগ্রামে কী ধরনের ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ করতে হবে ইতোমধ্যে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের মাধ্যমেই বে টার্মিনালের অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে। চ্যানেল ও জেটিসহ আনুষাঙ্গিক কাজগুলো ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের আগে করা যাবে না। কিন্তু ব্রেক ওয়াটার ও চ্যানেল তৈরির জন্য প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার সংস্থান প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল । এই টার্মিনালে বিনিয়োগের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আগ্রহ প্রকাশ করলেও তারা মূল অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করতে চায়; ব্রেক ওয়াটার বা চ্যানেল তৈরিতে নয়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপারটি ঝুলে ছিল। ইতোমধ্যে দুবাই পোর্ট, আবুধাবি পোর্ট কিংবা সিঙ্গাপুর পোর্টের মতো প্রতিষ্ঠান বে টার্মিনালের স্বতন্ত্র টার্মিনাল নির্মাণে বিপুল অর্থ বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলেও তারা ব্রেক ওয়াটার বা চ্যানেল তৈরিতে বিনিয়োগ করবে না বলে জানায়। অর্থাৎ বিদেশি বন্দরগুলো নিরাপদ চ্যানেল পেলেই কেবল তাতে বন্দরের অবকাঠামো এবং ইকুইপমেন্টসহ আনুষাঙ্গিক খাতে বিনিয়োগ করে বন্দর পরিচালনা করবে। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায় থেকে কোনো বিনিয়োগে যাবে না।
পরে বিশ্বব্যাংক এগিয়ে আসে। সম্ভাবনাময় প্রকল্পটিতে অর্থায়নে রাজি হয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংক ৬৫০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই টাকা বে টার্মিনালের ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার এবং চ্যানেল তৈরিতে ব্যবহার করা হবে। বিশেষজ্ঞ সূত্রগুলো বলেছে, বে টার্মিনালে মোট চারটি জেটিসহ আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এর প্রথম দুটি টার্মিনাল নির্মাণে প্রতিটির জন্য ১৫০ কোটি ডলার করে মোট ৩শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল (সিঙ্গাপুর পোর্ট) এবং আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড বা দুবাই পোর্ট। এছাড়া আবুধাবি পোর্টস ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগে একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে। বে টার্মিনালের চতুর্থ টার্মিনালটিকে লিকুইড টার্মিনাল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এখানে জ্বালানি তেল খালাস এবং মজুদসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার ব্যাপারে কথাবার্তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক গতকাল আজাদীকে বলেন, বিশ্বব্যাংক এগিয়ে আসায় বে টার্মিনাল বাস্তবায়ন প্রকল্পে নতুন মাত্রা যোগ হতে যাচ্ছে। ব্রেক ওয়াটার এবং চ্যানেল তৈরির সমুদয় অর্থ বিশ্বব্যাংক দেবে। এছাড়া বিদেশি যেসব বন্দর এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় ঠিক করার জন্য আমাদের পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

তৃতীয় ধাপের আবেদন শুরু কাল। দৈনিক পূর্বকোনের শিরোনাম এটি। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে তৃতীয় ধাপের আবেদন শুরু হচ্ছে কাল মঙ্গলবার থেকে। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- তৃতীয় ধাপে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা বুধবার পর্যন্ত ঐ আবেদন করতে পারবেন। তৃতীয় ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশিত হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। একাদশে ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। এরপর ৩০ জুলাই থেকে একাদশের ক্লাস শুরু হবে।
যেসব শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত আবেদন করেনি বা আবেদন করেও পছন্দমত কলেজে নির্বাচিত না হওয়ায় নিশ্চায়ন করেনি কিংবা ভর্তির জন্য কোন কলেজে মনোনীত হয়নি, তারা তৃতীয় ধাপে
আবেদন করতে পারবে। তবে কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের সময় অবশ্যই কলেজের মান, শিক্ষার পরিবেশ, যাতায়াত ব্যবস্থা, দূরত্ব ও ব্যয় বিবেচনা করে পছন্দক্রম দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জাহেদুল হক।
তিনি পূর্বকোণকে বলেন, কলেজে ভর্তির আবেদন করার সময় শিক্ষার্থীদের কিছু বিষয় অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। খুব সতর্কতার সাথে যাতে শিক্ষার্থীরা কলেজের পছন্দক্রম নির্ধারণ করে। আবেদন করার সময় শিক্ষার্থীরা যেন তাড়াহুড়ো না করে। কলেজের পছন্দক্রম নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । অনলাইনে আবেদন করার আগে পছন্দের ১০টি কলেজের তালিকা তৈরি করে
এরপর যেন আবেদন করে। আবেদনের সময় কলেজের মান, শিক্ষার পরিবেশ, যাতায়াত ব্যবস্থা, দূরত্ব ও ব্যয় বিবেচনায় রাখতে হবে। যেভাবে আবেদন করা যাবে : যঃঃp://ীর- পষধংংধফসরংংরড়হ.মড়া.নফ আবেদন করার আগে শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি জমা দিতে হবে। কোন ব্যাংকে না গিয়েও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে। তারপর পছন্দের কলেজ বাছাই করে অনলাইনে সাবমিট করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
আবেদন করার সময়সূচি : বোর্ডসূত্র জানিয়েছে, ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করে নিয়ে ১২ জুলাই ফল প্রকাশ করা হবে। ১৩ ও ১৪ জুলাই তৃ তীয় ধাপের নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত । এরপর ৩০ জুলাই থেকে একাদশের ক্লাস শুরু হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে থেকে একাদশ শ্রেণির অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হয়।

নগরে চরম জনদুর্ভোগ। দৈনিক সুপ্রভাতের  শিরোনাম এটি। কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল চট্টগ্রামে পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই অবরোধে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় বাতিলের দাবিতে ‘বাংলা রকেড’ কর্মসূচি ও সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব রথযাত্রার কারণে চট্টগ্রাম নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। রোববার (৭ জুলাই) দুপুর থেকেই রথযাত্রার অনুষ্ঠান শুরু হয়। রথযাত্রার কারণে নগরীর নিউমার্কেট, চকবাজার, প্রবর্তক, কাজির দেউড়ি, জামালখান, চেরাগী, পাহাড়, আন্দরকিল্লা মোড়, ওয়াসা ও লালদিঘীর পাড় এলাকায় তীব্র যানজট ছিল।
এদিন বিকেল চারটার দিকে ষোলশহর স্টেশন থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিকেল সোয়া তিনটায় ষোলশহর
স্টেশন এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। মিছিলের সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলেও শিক্ষার্থীরা সেটা অমান্য করেই মিছিল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। ৪টা ২০ মিনিটে মিছিলটি নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকায় আসলে সেখানেই বসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পরপর সেখানে আরও শিক্ষার্থী জড়ো হতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগরীর দুই নম্বর গেইট, জিইসি, মুরাদপুর, ষোলশহর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তীব্র গরম ও যানজটের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অনেক যাত্রীকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেও গন্তব্যের দিকে চলে যেতে দেখা গেছে। বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে মিছিল নিয়ে লালখান বাজার এলাকায় গিয়ে সড়কে বসে অবস্থান নেন। ৭টা ২০ মিনিটে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে মিছিল নিয়ে আবারও দুই নম্বর গেইট এলাকায় যান। সেখানেই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন তারা।

কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) ও শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এতে এই সড়কে প্রায়ই এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ও আগের দিন বুধবার (৩ জুলাই) কোটা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

 

নগরে চরম ১ম পৃষ্ঠার পর শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁদের মূলত চারটি দাবি রয়েছে। এগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা। পরিপত্র অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ছাড়া)। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে মূলত হাইকোর্টের এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের পর থেকে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে টানা সাড়ে পাঁচ বছর কোনো কোটা ছাড়াই নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ হয় । ২০২১ সালে ওই পরিপত্রের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হওয়ার অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেন। ৫ জুন এই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে শুরু হতে থাকে নানা আলোচনা-সমালোচনা এবং বিক্ষোভ ও আন্দোলন। গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের শুনানিতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত হয়নি । আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে।

চাটগাঁর চোখ/ এইচডি

 

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর