মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানীর সিদ্ধান্ত

নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর উর্ধ্বমুল্য ঠেকানোই এখন নতুন সরকারের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে আসন্ন রমজান মাসে অতিসাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নানা ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। রমজানে অতিরিক্ত চাহিদার বিপরীতে মওজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে জরুরী ভিত্তিতে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

যে কারনে রোজা শুরুর আগেই ভারত থেকে দেড় লাখ টন পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটো।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশটির মন্ত্রী জার্মানিতে অবস্থান করছেন। এ কারণে মিটিংয়ের তারিখ পিছিয়ে গেছে। তবে, রোজার আগেই ভারত থেকে পরিশোধিত এক লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আনা হবে।

রোজায় কোনো পণ্যের ঘাটতি হবেনা এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তেল ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া খেজুরের দাম নির্ধারনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পণ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে। বাজারে কোনো পণ্যের কমতি নেই। নানা ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে কারসাজি বা মজুতদারি কমে আসছে।
আহসানুল ইসলাম বলেন, রমজানকে ঘিরে নিত্যপণ্যের পরিবহণ খরচ ও চাঁদাবাাজি ঠেকাতে কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে নিত্যপণ্যের পরিবহণে ভাড়াও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর