পদ্মায় ফেরি ডুবি: কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
বুধবার ভোরে মানিক গঞ্জের পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদুরে ডুবে যায় রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি।
৯ টি পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরির হুমায়ুন কবির নামের একজন সহকারি চালক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেলেও কেউ মারা গিয়েছেন এমন খবর পাওয়া যায়নি এখনও।
ফেরি দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও এ নিয়ে দু’ রকমের বক্তব্য শোনা যাচ্ছে।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া অনেক যাত্রী বলছেন ফেরির তলা দিয়ে পানি উঠছিল অনেক আগে থেকেই, যা সংশ্লিষ্টদের কেউ জানতোনা বা জানায়নি। সে কারনেই ফেরিতে ফাটল সৃষ্টি হয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেটে গিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী পাটুরিয়া ঘাটের গাড়ির কাউন্টারে কর্মরত শহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল বেলা লোকজনের শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি ফেরি ডুবে যাচ্ছে। তখন ট্রলার নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করি।
পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ট্রলারের চালক মামুন বলেন, আমরা সবাই পন্টুনের পাশেই চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ করেই দেখি ফেরি ডুবে যাচ্ছে তখন বেশ কয়টি ট্রলার নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরির কাছে যাই। আমাদের একেকটি ট্রলারে করে দুই থেকে সাত/আটজন করে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসি।
ফরিদপুর অঞ্চলের নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিক বলেন, আমরা প্রত্যক্ষদর্শীর মাধ্যমে জানতে পারি ভোরের দিকে নোঙর করা ফেরি থেকে প্রচণ্ডরকমের শব্দ বের হয়। শব্দের পর থেকেই ফেরিতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সম্পূর্ণ ফেরিটি ৫ নম্বর ঘাটের কিছু দূরে ৩০/৩৫ মিনিট সময় নিয়ে পানির নিচে ডুবে যায়। ফেরির ভেতরে থাকা ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ফেরির একজন শুকানি হুমায়ুন কবীর এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। ফেরিটি উদ্ধারের জন্য এরই মধ্যে উদ্ধারকারি জাহাজ হামজা চলে এসেছে। যেখানে ফেরিটি ডুবে আছে সেখানে ৪১ মিটারের মতো পানি রয়েছে।
ফেরিটি পুরোনো; ওভারলোডের কারণে অতিরিক্ত চাপেই ফেরির নিচের কোনো একটি অংশ ফেটে গিয়ে পানি ঢুকে এটি ডুবে যায় বলে ধারণা করছেন অনেকেই।