বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

তালিকা হালনাগাদ ২০ জানুয়ারি শুরু

১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ নতুন ভোটার

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

দেশে নতুন ভোটার হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২। ফলে মোট ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিলেন ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ জন, নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ জন এবং হিজড়া ভোটার ছিলেন ৮৪৮ জন।
২০২৪ সালের ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত হালনাগাদে ভোটার সংখ্যা বেড়ে হয় ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এই সময়ে এক বছরে ভোটার বেড়েছিল ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৩ জন। তবে নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করার সময় বহু ভোটার নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। এ বছর ভোটার সংখ্যা আরও বেড়ে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলেই ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকে। তবে নির্বাচন কমিশন প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকা নিয়ে দাবি-আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তির পর ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই চূড়ান্ত তালিকার ভিত্তিতেই জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ আগামী ২০ জানুয়ারি শুরু এবং আগামী ২ মার্চ ভোটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার তালিকাকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে বর্তমান কমিশন।
ভুল এড়াতে অনলাইনে নতুন ভোটারের আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম তাদের ভোটার করা হবে। আর ২০২৫ সালে ভোটার হবার উপযুক্ত হবেন তারা ভোট দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স জারি হতে পারে, তবে সেটা আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোটারের বয়স নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত হলে সময়মতো ব্যবস্থা নিবে কমিশন। পুরো ভোটার তালিকা যাচাই হবে।’
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, চলমান হালনাগাদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা হচ্ছে। আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হলে, নতুন ভোটারদের জন্য নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেই দেশের ভোটারদের পরবর্তী জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হবে।
এনইউ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর