শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের কয়েক’শ শিক্ষার্থী ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তারা এসব ভাঙচুর করেন। এই ঘটনায় ছাত্র নিহতের গুজবও ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা ছাত্রবেশে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ছালেহ উদ্দিন বিকেল চারটার দিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে এই হামলা। এতে কোটি টাকার মালামাল লুটপাট হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে, মামলা হবে।
এর আগে বেলা একটার দিকে সেখানে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। এর মধ্যে কলেজের ভেতরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের কয়েকজন আটকা পড়েন। পরে তাঁদের ব্যাপক মারধর করা হয়। দুপুরে অন্তত তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজের ভেতর থেকে বের করতে দেখা গেছে।
তবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। দুইজন নিহত হওয়ার অপপ্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি। সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এর আগে গতকাল রোববার ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জের ধরে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গতকাল মাহবুবুর রহমান কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আমরা এর প্রতিশোধ নিতে এসেছি। মোল্লা কলেজে ঢুকে যা পেয়েছি, তা নিয়ে এসেছি।’
হামলার পর মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে গিয়ে ভাঙচুরের চিত্র দেখা গেছে। কলেজটির ১০তলা ভবনের সব তলায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আসবাব।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের কলেজে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এরপর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। কলেজের টাকাপয়সাও লুট করা হয়েছে।
এনইউ/জই