অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এছাড়া পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৪ জনকে কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আজ বৃহস্পতিবার মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ. এম. এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগদান করেছেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন কমিশনার পদে চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোঃ সানাউল্লাহ।
এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এই পদে যোগ্য ব্যক্তির নাম খুঁজতে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ছয় সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটির আহ্বায়ক হলেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
সার্চ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক সদস্য হলেন- বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী পদাধিকারবলে সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম।
এদিকে দায়িত্ব পেয়েই নির্বাচন নিয়ে বার্তা দিলেন সিইসি। তিনি বলেন, গত ৩টি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া নতুন কমিশনের দায়িত্ব।
সিইসি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের চাওয়া ছিল ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া। এই কমিশন সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করবে। নিত্য নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। সেসব মোকাবিলা করে কাজ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন রেফারির ভূমিকায় থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, সব দল সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কোথায় কী সমস্যা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট থেকে পরামর্শ আসবে। সবাই মিলে সব সংকট সমাধান করব। স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে উদাহরণ তৈরি করা হবে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ বিশাল চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নাসির উদ্দীন বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার শেষ করতে হবে। সংস্কার কমিশন যত তাড়াতাড়ি রিপোর্ট দেবে নির্বাচনের কাজ তত দ্রুত এগিয়ে নেওয়া যাবে। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে এ সময় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এনইউ/জই