সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকটনিক্স ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) বেতন পাবেন।
এ লক্ষ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য শর্তানুযায়ী হালনাগাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা সব তথ্য যাচাই করে পাঠাবেন। তবে ভুল বা অসত্য তথ্যের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানরা দায়ী থাকবেন।
বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ইএফটিতে এমপিওর টাকা পাঠানোর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্ত জনবলের এনআইডি, পে-কোড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি তথ্য এমপিও সিস্টেমে হালনাগাদ থাকতে হবে।
এই তথ্য এমপিও সিস্টেমে হালনাগাদ করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য অনলাইন ফরম শীঘ্রই উন্মুক্ত করা হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এই ফরমের মাধ্যমে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট জনবলের সঠিক তথ্য পাঠাবেন এবং পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় হার্ড কপি ডকুমেন্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক পরিচালকের (কলেজের ক্ষেত্রে) দপ্তরে জমা দেবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত তথ্য ও হার্ড কপি ডকুমেন্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (স্কুলের ক্ষেত্রে) এবং আঞ্চলিক পরিচালক (কলেজের ক্ষেত্রে) গণ-যাচাই করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে অনলাইনে অগ্রায়ন করবেন।
এমন পরিস্থিতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও এমপিওভুক্ত জনবলের নিচের তথ্য নিয়ে প্রস্তুত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
সফল এমপিওভুক্ত জনবলের এনআইডি অবশ্যই থাকতে হবে। এনআইডি অনুযায়ী নাম ও জন্ম তারিখ এবং এনআইডির ফটোকপি সংগ্রহ করা হবে। সব এমপিওভুক্ত জনবলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হবে, এই মোবাইল নম্বর অবশ্যই এমপিওভুক্ত জনবলের নিজস্ব এনআইডি দিয়ে রেজিস্টার্ডকৃত হতে হবে।
সব এমপিওভুক্ত জনবল বর্তমানে যে ব্যাংকের যে অ্যাকাউন্ট থেকে এমপিওর টাকা উত্তোলন করেন সেই অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর (১৩-১৭ ডিজিট) সংগ্রহ করা হবে, এই ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই এমপিওভুক্ত জনবলের নিজস্ব এনআইডি দিয়ে রেজিস্টার্ড করা হতে হবে।
এনইউ/জই