ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ৪৩ লাখ ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ওসব কার্ডের ভবিষ্যৎ কী- তা নিয়ে উদ্বিগ্ন উপকারভোগীরা।
শনিবার (৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, হাতে লেখা ১ কোটি পরিবারের কার্ডের তথ্য জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে যাচাই করেছে টিসিবি। সেখানে দেখা গিয়েছে, একই ব্যক্তি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা থেকে কার্ড সংগ্রহ করেছেন। ফলে ৪৩ লাখ কার্ডে বিভিন্ন সমস্যা থাকায় কার্ডগুলো বাদ পড়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পরপরই ওসব কার্ডের উপকারভোগীরা হতাশ হয়ে পড়েন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ যুগে সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে এতগুলো পরিবারের কার্ড যদি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে তারা খাবেন কী? বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলেও উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়।
পরে অবশ্যই বিকালে বাতিল করা সংক্রান্ত বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, কার্ড বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়, আমার উপস্থাপিত বিষয়টি বুঝতে বা বোঝাতে ভুল হয়েছে।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এই ব্যাখ্যায় টিসিবি মুখপাত্র বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ৫৭ লাখ ফ্যামিলি কার্ড প্রস্তত হয়েছে, বাকি ৪৩ লাখ কার্ড প্রস্তত করার জন্য টিসিবি চার দফা চিঠি লিখেছে দায়িত্বরত প্রশাসনকে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশাসন কার্ডগুলো নিবন্ধন বা সংশোধন করে দিলে এই কার্ডগুলোর কাজও হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এই বিষয়গুলো উপস্থাপনে একটু ভুল হচ্ছে। ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল নয় বরং সংযোজন, বিয়োজন ও পরিমার্জন করে বাকিগুলোর কাজ করা হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতে অনেকেই হয়তো জানেন না প্রশাসনের রদ বদল হয়েছে, তাদেরকে চিঠি লেখা হয়েছে যেন কার্ডগুলোর দ্রুত ব্যবস্থা করা হয়।
সকালে টিসিবি মুখপাত্র সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ১ কোটি পরিবারের মধ্যে ৫৭ লাখ পরিবারের কার্ড হয়েছে। ৪৩ লাখ এখনো সম্পাদন করা যায়নি যেগুলোর জায়গা আমরা চাচ্ছি পূরণ হয়ে যাক। আমাদের পূর্বের হাতের লেখা ১ কোটি কার্ড দিয়েই এখনো কার্যক্রম চলমান। নতুন ফ্যামিলি কার্ড জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে চালু করা হবে।
এনইউ/জই