সমুদ্রে বাংলাদেশী জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও তার দাম আকাশচুম্বী। বাজারে বড় ইলিশের দাম ২০০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা এবং ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে। ফলে আস্ত ইলিশ কেনা সাধারণ মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে।
এতদিন মাছ কেনার ইচ্ছা থাকলেও অর্থাভাবে তা কিনে খেতে পারেন না বহু মানুষ। তবে এবার দেশের কেটে ইলিশ মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজশাহীর সাহেববাজর মাছপট্টিতে টুকরো মাছ বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এতে আপত্তি ব্যবসায়ীদের একাংশের। তাদের দাবি, কেটে বিক্রি করলে তাদের লোকসান হচ্ছে। এই অবস্থায় সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম মাছ বিক্রি করা হচ্ছে রাজশাহীর বাজারে, যার দাম প্রায় ৪০০ টাকা। এই দামও নিম্ন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বলে দাবি ক্রেতাদের।
জানা গেছে, উদ্বোধন উপলক্ষে একটি মাছ কেটে রাখা হয়। যদিও সেই মাছ বিক্রি হতে অনেক দেরি হয়। এদিন এই মাছ বাজারে ছোট ইলিশ গড়ে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এই দামে বিক্রি হয়েছে। তবে যে ইলিশ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলির ওজন ৫০০ গ্রাম বা তার কম। আর সেগুলি ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ২৫০ গ্রাম বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ টাকায়। কিন্তু, এভাবে মাছ বিক্রি করায় সন্তুষ্ট নন ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য, মাছ কেটেই নষ্ট হচ্ছে। কেউ নিচ্ছে না। তবে অনেকের বক্তব্য, কাটা ইলিশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। সবাই কিনে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
তারা আরো জানান, মাছ কেটে বিক্রি করলে সেক্ষেত্রে কেউ লেজ আবার কেউ মাথা নিতে চান না। সবাই ভালো ভালো টুকরো নিতে চান। ফলে কাটা মাছ বিক্রিতে সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলি বলেন, প্রচার না হওয়ার কারণে ক্রেতা আসছেন না। তবে কোনও ক্রেতা এসে কাটা মাছ না পেলে তাঁদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এনইউ/জই