ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
মহাসড়কের মীরসরাই অংশে ঢাকামুখী লেনের পশ্চিম পাশে মীরসরাই সদর থেকে ফেনীর লালপোল পর্যন্ত হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়ে আছে।
উল্টোপথে ত্রাণবাহী, স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা নিয়োজিত গাড়ী যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে আছে কার্ভাডভ্যান, মালবাহী লরি, ট্রাক, তেলবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রো সহ হাজার হাজার গাড়ি।
বৃহস্পতিবার হতে মহাসড়কের ফেনীর লালপোল অংশে শুক্রবার সকাল থেকে ফেনীর খাইয়ারা রাস্তার মাথায় তীব্র পানির স্রোত বইছে।
ফলে ফেনী- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত অপর দিকে ফেনী মীরসরাইয়ের নয়দুয়ার (চরাকুল) এলাকা পর্যন্ত তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত সড়কে পানি দেখা গেছে।
বারইয়ারহাট এলাকায় আটকে পড়া এক কার্ভাডভ্যান চালক বলেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা রওনা হয়ে এখন পর্যন্ত এখানে আটকা আছি। কতক্ষণে কুষ্টিয়া যাবো বুঝতে পারছিনা।
কক্সবাজার থেকে লবণ নিয়ে ঢাকার উদ্দ্যশে যাওয়ার পথে মীরসরাইয়ের মিঠাছড়া এলাকায় যানজটের কবলে পড়া এ ট্রাক চালক বলেন কখন ঢাকায় পৌঁছবো বুঝতে পারছিনা। তবে খুব ভালো লাগলো মীরসরাই কিছু স্বেচ্ছাসেবী ভাই আমাদেরকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দিয়েছেন।
যাত্রী বাহী বাসের এক চালক বলেন প্রায় ২৮ ঘন্টা ঠাকুদিঘি এলাকায় আটকে আছি। এখানে কোন খাবার পাচ্ছি না। খাবারের হোটেল বন্ধ। কখন ঢাকা যাবো চিন্তায় আছি। যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে নেমে চলে গেছে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি সোহেল সরকার জানান, হঠাৎ বন্যার পানিতে অনেক স্থানে রাস্তা তলিয়ে গেছে। গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। আমরা দায়িত্ব পালন করলে তো এতবড় যানজট নিরসন হবে না।
পানি যদি কমে যায় তীব্র যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বন্যার কারণে সৃষ্ট এ দুঃসহ পরিস্হিতিতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখন এক দুঃসহ যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা মন্তব্য করেন।
এমএ/জই