বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডি।
সোমবার (৮ জুলাই) রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আসামির সংখ্যা অর্ধ শতাধিক দেখানো হলেও ইতোমধ্যে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান জানান, প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এদিকে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
কমিশনের একজন যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন।
তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার ব্যাখ্যা আমরা দিয়েছি। তারপরও পুরো ঘটনাটি আরও অধিকতর তদন্ত করতে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সবগুলো পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
কমিশনের যুগ্ম সচিব ড. আব্দুল আলীম খানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুইজন সদস্য হলেন, কমিশনের পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা ও মোহাম্মদ আজিজুল হক।
এর আগে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
চচ/আর পি