শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাগল-পুত্রে ফেঁসে যাওয়া মতিউরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মতিউরের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ’ অনুসন্ধান করছে দুদক।

‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ এবং ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের শুনানি করে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ দেন।

মতিউর রহমানের ‘অবৈধ সম্পদের’ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য গঠিত অনুসন্ধান দলের প্রধান দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এদিন আদালতে ওই আবেদন করেন।
সেখানে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে “দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ওভারইনভয়েসিং-এর মাধ্যমে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ” অনুসন্ধানের জন্য দুদকের এই তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
“বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আবশ্যক।”

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানকে ইতোমধ্যে এনবিআর থেকে সরিয়ে রোববারই অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
১৯৯৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়া এ কর্মকর্তা পড়ালেখা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেসব দুদক তদন্তও করেছে।

সম্প্রতি বেসরকারি এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “চারবার দুদক তদন্ত করে দেখেছে, আমি কোনো দুর্নীতি করিনি।”

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর