মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

আজ ফেরত পাঠানো হচ্ছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩৩০ সদস্যকে

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের জেরে এদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি ৩৩০ জন মিয়ানমারের কাহছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।বর্তমানে উখিয়ার ইনানীর নৌবাহিনীর জেটি সংলগ্ন একটি তাবুতে রাখা হয়।সেখানে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিজিবি-পুলিশ-র্য্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজিবি সুত্রে জানা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি ৩০২জন, বিজিপি পরিবারের সদস্য ৪জন,দুইজন সেনা সদস্য, ১৮জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪জন বেসামরিক নাগরিক।

IMG 20240215 WA0001 » আজ ফেরত পাঠানো হচ্ছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩৩০ সদস্যকে

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ছয়টায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছয়টি গাড়িতে করে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের ইনানী সৈকতে আনা হয়েছে।এরপর টেকনাফ হ্নীলায় রাখা বাকি বিজিপি সদস্যদের আনা হচ্ছে। বিজিবিপি সদস্যদের বহন করা গাড়ির সামনে পেছনে বিজিবির দুটি গাড়ি রয়েছে। তাদের হস্তান্তরের লক্ষ্যে ইনানী সৈকতসহ সীমান্ত এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৬৬ জনকে ছয়টি গাড়িতে করে ইনানীতে আনা হয়েছে। বাকী ১৬৪ জন হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়
থেকে আনা হবে।

সেন্টমার্টিন টেকনাফ রুটের পর্যটকবাহী দুটি জাহাজে করে তাদের গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা মিয়ানমারের জাহাজকে নিয়ে যাওয়া হবে। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের নিতে আসা জাহাজটি রাত একটার দিকে মিয়ানমার সিটু বন্দর থেকে বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছে।
বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তরের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং মিয়ানমারের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের আরকান রাজ্য দখল নিতে দেশটির জান্তা বাহিনীর বিভিন্ন ব্যারাকে হামলা চালায় বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরকান আর্মি (এএ)। বিদ্রোহীদের গুলির মুখে টিকে থাকতে না পেরে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিজিপি), সেনা, ইমিগ্রেশনসহ সরকারি বাহিনীর ৩৩০ নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর