চাহিদার বিপরীতে পণ্যের পর্যাপ্ত মওজুত থাকুক বা নাই থাকুক, রমজান আসলেই দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। বিষয়টি যেন এক চিরাচরিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।
আর এই অশুভ কাজের জন্য বরাবরই শক্তিশালী ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটকে দায়ি করে আসছে সরকার। ভোক্তাদের অভিযোগতো আছেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে মওজুতের কোন কমতি নেই সকল নিত্যপণ্যের। অন্যদিকে নিত্যপণ্যবাহী ১১ টি জাহাজ সাগরে ভাসছে বন্দরে ভিড়াবার অপেক্ষায়। তথাপিও আসন্ন রমাজনকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত মুল্যবৃদ্ধির শংকামুক্ত হতে পারছেনা সরকার কিংবা সাধারণ ভোক্তা।
যে কারনে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে সরকার।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, রমজানের আগে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লক্ষ টন চিনি বাংলাদেশে পাঠানো নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে দিল্লি সফরকারী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে।
শুক্রবার দুপুরে ভারতের রাজ্যসভার লিডার অব দ্য হাউস এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা প্রত্যাহার এবং বিশেষ করে রমজান মাসে পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে নয়াদিল্লিকে অনুরোধ জানিয়ছেন তিনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। সে কাজেই ভারতের সহযোগিতা চান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।