বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে চলছে তুমুল সংঘর্ষ।মিয়ানমারের আরকান আর্মি-সরকারি বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দারা এখনো আতঙ্কে দিন পার করছেন।সন্ধ্যা হলে ভয়ে-আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।গত কয়দিনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে লোকালয়ে আশ্রয় নেওয়ার সময় স্হানীয়রা ৯ মিয়ানমার নাগরিক কে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ নিকট সোর্পদ্দ করেন।গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশপাড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাক করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়। সন্ধ্যার পর থেকে প্রচন্ড গোলাগুলির কারনে দোকান পাট বন্ধ করে নিরাপদ স্হানে ছুটে যান।বুধবার সকালে ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ।সীমান্তের সার্বিক বিষয়ের উপর খোঁজ খবর নেন।
বুধবার(৩১জানুয়ারী)দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে এসে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
তবে এ কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ সত্যতা নিশ্চিত করেন।তিনি আরো বলেন পরিস্থিতি খারাপ হলে সীমান্তের কাছাকাছি লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
তুমব্রু বাসিন্দা মাহামুদুল হাসান বলেন মিয়ানমারের ওপারের পরিস্থিতি ভয়াবহ।মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টার শেলের অংশ বিশেষ পাওয়া যাচ্ছে।
বাইশপাড়ি সীমান্তের বাসিন্দা নুরুল আলম মাঠে কাজ করতে যেতে পারছে না চারদিন।ভয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি হত দরিদ্রমাঝে কম্বল বিতরন করেন।উল্লেখ্য, গত ৮-১০ দিন থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে কী কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে তা এখনও জানা যায়নি। মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত বর্তমানে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ক’দিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় ভারি অস্ত্র থেকে ছোড়া গুলি এবং মর্টারশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে আগুনের ধোঁয়া। এর আগে, ২০২২ সালেও মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষ হয়। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা ও মর্টারশেল বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ে। অবশ্য মিয়ানমার সেনারা এই ঘটনার দায় চাপায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর।