উপজেলা নির্বাচন করার সময়টা চলে এসেছে। সামনে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে। এরপর রোজা। রোজার মধ্যে তো নির্বাচন করা সম্ভব না। ঈদের পরপরই যাতে নির্বাচন হয়, সেভাবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করব।
মঙ্গলবার(২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে কথা বলার সময় এমনটাই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা এবং মার্চে রোজার কথা চিন্তা করে একেবারে ঈদের পরে উপজেলা পরিষদ ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রোজার শেষ দিকে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার।
তফসিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোজায় ঈদের কিছুদিন আগে হতে পারে তফসিল ঘোষণা। নির্বাচনী প্রচার এবং নির্বাচন ঈদের পরে হবে।
নির্বাচন ব্যালট পেপারে অথবা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আবার ব্যালট ইভিএম দুটোর সমন্বয় থাকতে পারে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ইভিএম কি পরিমাণ ব্যবহারযোগ্য সে হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি। এটা পেলে হয়তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব। ”
দেশে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ১০ মার্চ। পাঁচ ধাপের ওই ভোট শেষ হয় গত জুন মাসে।
আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শুরু হয় প্রথম সভার দিন থেকে। পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করেন। মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এদিকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি।
শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা না যাওয়ার ঘোষনা পুণর্ব্যক্ত করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন কখনো অবাধ সুষ্ঠু হবেনা।
মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণ হবে না’ বলেই তারা মনে করেন। ফলে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তারা আগে থেকেই নিয়ে রেখেছেন।
আওয়ামী লীগের জরুরি কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের যে ভোট হতে যাচ্ছে, সেখানে নৌকা প্রতীক দেবে না দলটি, সেক্ষেত্রে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপির করণীয় কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, দেখুন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে সিদ্ধান্ত তা হচ্ছে- শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না। কারণ, তার অধীনে কোনো নির্বাচন কখনো অবাধ সুষ্ঠু হয় না।
আমরা বরাবরই বলেছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন কখনো শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু হবে না। সুতরাং তার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না… সেই সিদ্ধান্ত আমাদের আগেই নেওয়া আছে। বিএনপি এখনও সেই সিদ্ধান্তেই অটুট রয়েছে।