মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

পূর্ব-পশ্চিম সবার সাথে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

‘বিএনপি-জামাত দেশকে বিপদে ফেলার জন্য সব সময় চেষ্টা করেছে। তবে শকুনের দোয়ায় যেমন কখনো গরু মরে না, তেমনি বিএনপি’র অশুভ কামনায়ও বাংলাদেশের অশুভ কোনো কিছু হবে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হবার পর মঙ্গলবার(১৬ জানুয়ারি) সকালে প্রথম চট্টগ্রামে এলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন,ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রামআওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, পূর্ব-পশ্চিম সবার সাথে আমাদের যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে, তাকে আরো গভীর করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

এরপর চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে বিমানবন্দরের বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল সম্বর্ধনা জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন,বিএনপি-জামাত চাচ্ছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে, মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে, দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হবে, তারপর তারা ক্ষমতায় আসবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী  সাংবাদিকদেরকে  বলেন, এবারের নির্বাচন যে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে গ্রহণ করেছে, সেটির প্রমাণ হচ্ছে- বহু নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই, আইআরআই, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সার্ক, ওআইসি ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে এসেছে। তারা সবাই একযোগে মতপ্রকাশ করেছে যে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম সহিংসতা হয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অবজারভার তথ্য-উপাত্তের জন্য নির্বাচন কমিশনে গেছেন’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের বিদেশি বন্ধুদের আমাদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনে গিয়েছেন। আমি আজকে কাগজে দেখলাম, নির্বাচন কমিশন যে তথ্য উপাত্ত দিয়েছে, এতে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। দেখুন, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশিরভাগ নিবন্ধিত দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আপনারা জানেন, যেদিন নির্বাচন হয়, সেদিন প্রচন্ড শীত ও কুয়াশা ছিল। সেই কারণে ভোটের হার প্রায় ৪২ শতাংশ, যদি কুয়াশা এবং শীত না থাকতো, তাহলে আরো বেশি ভোট কাস্ট হত।’ তিনি বলেন, আপনারা জানেন এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও প্রতিহত করার জন্য বিএনপি যেভাবে আগুন সন্ত্রাস করেছে, পাঁচ তারিখ রাতেও যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে, এতে করে মানুষকে ভয় লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ ভয় পায়নি।
মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে গেছে।

বৃহত্তর চট্টগ্রামের কক্সবাজারে ১৪ লাখ রোহিঙ্গা আছে, নতুন পররাষ্ট্র হিসেবে তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আপনি কি উদ্যোগ নেবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেখুন, আমরা সবসময় কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমরা তাদের সাথে আরও এনগেজমেন্ট বাড়াচ্ছি, আমি ন্যাম সামিটে (জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন) যাচ্ছি, সেখানে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা কূটনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর