বিশেষ প্রতিনিধি ▪️
আনোয়ারা উপজেলার সরেঙ্গা গ্রামের ১৫ জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ৪ জানুয়ারী এফবি মা জননী নামক বোট সহ নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজ জেলেরা হলেন ১৫ জেলেরা হলেন মো. নুরুজ্জমা ওরফে কালু, আবদুল মন্নান, মহিউদ্দিন, মো. রায়হান, কালু মিয়া, আলী হোসেন, মো. রাশেল, মো. মোরশেদ, মো. বোরহান, আবুল মনসুর, আলী আহমদ, আবদুল হান্নান, জালাল উদ্দিন, আবু ছাদেক, আবদুল করিম। তাঁদের বেশিরভাগ উপজেলার সরেঙ্গা ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের বলে জানা যায়।
নিখোঁজ এর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,
ট্রলারের মাঝি নুরুজ্জমা ওরফে কালু বলেন, আনোয়ারা থেকে গত ৩ জানুয়ারি ১৫ জেলে ওবাইদুল হক মুন্না ও মিজানুর রহমানের যৌথ মালিকানাধীন এফবি মা জননী নামের ট্রলারটি নিয়ে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যান।
৪ জানুয়ারি ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে ভাসতে তারা মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকে পড়েন। সেখানে তাদের সাথে থাকা খাবার পানি ফুরিয়ে গেলে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। সাগরে ভাসতে থাকা অবস্থায় ৬ষ্ঠ দিনের মাথায় মিয়ানমারের জেলেদের একটি ট্রলার তাদের ট্রলারটিকে আকিয়াব উপকূলের অদূরে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মিয়ানমার নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মধ্যস্থতায় ট্রলারটিকে বাংলাদেশের জলসীমায় নিয়ে এসে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। বর্তমানে ট্রলারটিতে মেরামত এর কাজ চলছে বলে জানা যায়।
বোটমালিক, ওবাইদুল হক মুন্না জানান, ৪ জানুয়ারি জেলেদের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তিনি সহ সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সহায়তায় তারা উদ্ধার হয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে জেলেরা আনোয়ারা উপকূলের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. তাকিউল আহসান জানান, মিয়ানমার নৌবাহিনীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সাগরে টহলরত কোস্ট গার্ডের জাহাজ গিয়ে ট্রলারসহ জেলেদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসে। মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের জলসীমায় ট্রলারটির সন্ধান পায় রবিবার সকালে। ওই দিন বিকেলে তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় বাংলাদেশি জেলেদের জলসীমায় নিয়ে এসে কোস্ট গার্ডকে বুঝিয়ে দেয়। পরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জাহাজ ওই ১৫ জেলেকে সেন্টমার্টিন নিয়ে আসে।