মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

মন্ত্রীসভায় বাদ পড়াদের কি বার্তা দেয়া হলো?

একজন মন্ত্রীর দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ ও জনসম্পৃক্ততা। তাঁকে অবস্থান করতে হয় দলীয় ও সরকারি কর্মকান্ডের মাঝখানে।

এ কাজটি সততা ও দায়িত্বশীলতার সাথে করা অনেকের পক্ষে সবসময় সহজ হয় না। বিচ্যূত হন। ফলে ভাবমূর্তিসহ নানা সংকট তৈরি হয়।

নতুন মন্ত্রীসভায় যারা বাদ পড়লেন তাদের নিয়ে অনুমান গুঞ্জনের শেষ নেই। আবিষ্কার করার চেষ্টা হচ্ছে এই বাদ পড়া তাদের জন্য কি বার্তা বহন করছে।

Screenshot 20240112 195754 Chrome » মন্ত্রীসভায় বাদ পড়াদের কি বার্তা দেয়া হলো?

সাধারণত মন্ত্রীসভায় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজনেরা স্থান পান। কিন্তু আড়ালে থাকে কর্মকান্ড যাচাই  পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা। দেখা হয় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, জন ও নেতা কর্মী বিচ্ছিন্নতা, আশপাশে ঘিরে থাকাদের নিজস্ব বলয় ও বেপরোয়া কর্মকান্ড।
দক্ষতার সাথে উন্নয়ন সহযোগী হতে না পারা-এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে থাকে।ফলে যথাসময়ে ঘটে মূল্যায়ণ।

এ ছাড়া নবীন প্রবীনের সমন্বয়, আঞ্চলিক হিসাব নিকাশ,দীর্ঘদিন মন্ত্রীসভায় থাকাদের কম বিবেচনা,  এসব বিষয়ও এবার মন্ত্রী সভা গঠনে গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে যারা বাদ পড়েছেন তাদের বেলায় এমনটি হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।

তবে সামগ্রিকভাবে বিষয়টি যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার তাই এখানে নানা বিষয় ও ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। যারা আপাতত: নেই তারা যে আর সুযোগ পাবেন না এমনটি ভাবারও কারণ নেই। যেহেতু বিষয়টি মর্যাদার সেহেতু এনিয়ে সমর্থক অনুসারীদের মধ্যে হতাশা থাকে, আবার নতুন শান্তনাও খোঁজে তারা।

দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে কোন মন্ত্রী নেই এ নিয়ে হতাশা যেমন আছে, আছে গুঞ্জনও। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ধারণাপ্রসূত মন্তব্যও অব্যাহত রয়েছে। কখনো প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, কখনো আতাউর রহমান কায়সার কন্যা ওয়াসিকা আয়েশা খান,কখনো আবারও সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ – এরকম হাজারো  গুঞ্জন।

তবে নগর আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা বলেন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ব্যাপারে বরাবরই মনোযোগী। মনে রাখা দরকার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রামের দুই নেতা ড: হাছান মাহমুদ ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। দক্ষিণ চট্টগ্রাম নিয়ে নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব ভাবনা পরিকল্পনা আছে।

এবার মন্ত্রীসভায় ঠাঁই হয়নি যাদের তাঁরা হলেন কৃষি মন্ত্রী ড: আব্দুর রাজ্জাক,বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি,পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন,অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, মৎস্য ও প্রাণী সম্পাদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম,ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ,সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমদ,বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো শাহাবুদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং,রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন,এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর