আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি, রাত পোহালেই শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।শনিবার সকাল থেকে সকল কেন্দ্রে পৌঁছানো হচ্ছে ভোটের সরঞ্জামাদি। কড়া নিরাপত্তায় ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।
প্রায় সব কেন্দ্রে বিকেল থেকেই অবস্থান নেয়া শুরু করেছে কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনি কর্মকর্তারা,সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।
চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে অন্তত ৬ টি আসনে ভোটের দিন সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ভোটাররা। ওই আসন গুলোতে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে শক্তিশালী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহি প্রার্থী।
নগরের ডবলমুরি-পাহাড়তলী, বন্দর-পতেঙ্গা এ দুটি আসনসহ জেলার সন্দ্বী, পটিয়া,বাঁশখালি, সাতকানিয়া-লোহাগড়ায় ইতোমধ্যেই প্রায় শ’খানেক সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় এক প্রার্থীর ভাইসহ আহত হয়েছে অনেকেই।
এসব আসনের প্রার্থীরা অধ্যাবদি একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে সুষ্টু ভোট নিয়ে সংসয় প্রকাশ করে যাচ্ছেন নিজেরাই।
বাকি ১০ টির ৮ টিতে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ের ব্যাপারে প্রায়ই নির্ভার।
দুটিতে সমঝোতার ভিত্তিতে লাঙ্গল প্রতীকের বিপক্ষে নৌকা না থাকলেও রয়েছে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এ দিকে নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনরত বিএনপিসহ জোটের শরীকরা মরিয়া হয়ে উঠেছে নির্বাচন ঠেকাতে,নির্বাচন বর্জনের অনুরোধ জানাচ্ছে জনসাধারণকে।
কোথাও কোথাও অতীতের মত ভোট কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটছে।
ইসি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে সংঘাত- বিরোধীতা মাথায় রেখেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। ভোটের আগে পরে ১৩ দিন নিয়োজিত থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আনসারের পাঁচ লাখ ১৬ হাজার সদস্য, কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ সদস্য, পুলিশের (র্যাবসহ) থাকবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন সদস্য। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে সাত লাখ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনীও।
মহানগরের ৩ টিসহ চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ২ হাজার ২২টি ভোটকেন্দ্রের ১৩ হাজার ৭৪১টি ভোটকক্ষে মোট ৬৩ লাখ ৯৬৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।