আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)। এ উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন ৭ জানুয়ারি দেশের সব সরকারি, আধা—সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফলে শুক্র, শনি ও রবিবার, টানা ৩ দিনের ছুটিতে শহর ছেড়ে গ্রামে ছুটছেন কর্মীজিবী মানুষ।
বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে দুপুর থেকেই বাস, ট্রেন ও প্রাইভেট গড়ীতে করে শহর ছাড়তে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
শহরের বিআরটিসি,দামপাড়া, সিনেমাপ্যালেস একে খানের আন্তজেলা বাস ষ্টেশন এবং রেলওয়ে স্টেশনে আগের চেয়ে কয়েকগুন যাত্রীর চাপ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন ষ্টেশন ঘুরে একাধিক যাত্রীর সাথে আলাপকালে তারা বলেন, বছরের শুরুতে শীতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া হয়। এ বছর আবার ভোটও আছে। একইসঙ্গে দুই কাজ হবে। টানা তিন দিনের ছুটিতে বেড়ানোও হবে আবার ভোটও দেওয়া হবে।
নগরীর কদমতলী বাস ষ্টেশন থেকে পরিবার নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে মোজাম্মেল বলেন, এবার নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারব জেনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি। ষ্টেশনে এসে মনে হচ্ছে ঈদের মতই মানুষের ভিড়।’
চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন কলেজ ছাত্র আরেফিন। অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন,আমি এবার প্রথম ভোট দেব। এজন্য একটা আলাদা আনন্দ কাজ করছে।
বটতলী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেটগামী রেশমা বেগম জানান ‘টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে গ্রামে যাচ্ছি। লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ট্রেনের টিকিট পেয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে রেশমা বলেন, ‘ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেব। আর যদি দেখি পরিস্থিতি ভালো না, তাহলে যাব না।
এ ছাড়াও নগরের আশপাশের উপজেলাগামী গণপরিবহনেও দেখা যায় যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ।
চালকরা জানান, সপ্তাহের শেষ দিন হিসেবে বৃহস্পতিবার মানুষের চাপ একটু বেশী থাকে। তবে এবার নির্বাচন উপলক্ষে টানা ৩ দিন ছুটি পাওয়ায় গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন সবাই, তাই স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে ভোটের আগে পরে ১৩ দিন নিয়োজিত থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আনসারের পাঁচ লাখ ১৬ হাজার সদস্য, কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ সদস্য, পুলিশের (র্যাবসহ) থাকবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন সদস্য। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে সাত লাখ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনীও।