গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে আদালত দণ্ডিত করেছে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে একটি মহল।
এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়, মামলাও করেনি, মামলা করেছে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেই মামলায় তাঁর শাস্তি হয়েছে।
২ জানুয়ারি(মঙ্গলবার) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে লাভের ৫ শতাংশ তার কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে, এ যাবৎ কখনও তা দেয়া হয়নি। এটি না দেওয়ায় শ্রম আইনের ৪,৭, ৮, ১১৭ এবং ২৩৪ এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে শ্রমিক-কর্মচারীরা। গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে দুইজন শ্রমিক নেতাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং দুইজন শ্রমিক নেতাকে তিন কোটি করে ছয় কোটি টাকা ঘুষও দেয়া হয়েছিল। দু’জনকে ঘুষ দেয়ার পরও টাকা না পাওয়ায় সাধারণ শ্রমিকরা মামলা করেছেন।
সুতরাং এখানে স্পষ্টত একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এই অপরাধ সংঘটিত হবার কারণেই মামলা হয়েছে, শাস্তিও হয়েছে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এক দশকের বেশি সময় ধরে নিয়ম ভঙ্গ, কর ফাঁকি, তার কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন অনুমোদিত সংস্থা থেকে তিন হাজার কোটি টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ আছে।
পৃথিবীতে বহু নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে দেশে দেশে মামলা হয়েছে, অনেকে শাস্তি ভোগ করেছেন, কারাগারেও ছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ধরণের অনেক ঘটনা আছে, যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, পুরস্কারের অর্থ কে কত টাকা পাবেন, এনিয়েও নোবেল লরিয়েট একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন সুযোগ নাই।
NU/RY/CC
