শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত ৩, নিখোঁজ ২

মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণের পৃথক ঘটনায় ৩ জন আহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।

আহতরা হলেন, আলী হোছেন (৩৫), মো. আরিফ উল্লাহ (৩২) ও রাশেদুল ইসলাম (২৪)। এদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম দোছড়ি ইউনিয়নে কুলাছি গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আশারতলী এবং দোছড়ি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরী। তবে তিনি নিখোঁজের বিষয়টি জানেন না জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী এবং দোছড়ি মিয়ানমার সীমান্তের ৪৭-৪৮ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় কাঁটাতারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গরু আনতে গেলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয় দুই বাংলাদেশী যুবক। খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শামশুল আলম জানান, মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছে আলী হোছেন এবং আরিফ উল্লাহ। তারা মিয়ানমার সীমান্তে গরু আনতে গিয়েছিল।

নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আলি হোছেন ও আরিফ উল্লাহ নামে দুজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাশরুরুল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে সীমান্তের ঘটনা এটি বিজিবি দেখছে।

১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল এস এম কফির উদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও
তিনি মোবাইল নেটওয়ার্কে না থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে সীমান্তে বসবাসকারী একাধিক গ্রামবাসী বলেন, বর্তমানে মিয়ানমার সংঘাতের জেরে সেখানকার বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। বিশেষ করে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিম রাখাইনে আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ অংশে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর দখলে থাকা ২৭১ সীমান্ত চৌকি দখলে নেন স্বশস্ত্র বিদ্রোহী আরকান আর্মি। তারা মন্ডু জেলা শহরও দখল করে সম্প্রতি।

অপর দিকে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে বার্মা তথা মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে স্বশস্ত্র সংগ্রামরত রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গনাইজেশন ( আরএসও)
অনেকটা কোনঠাসা হয়ে তাদের তৎপরতা চালাচ্ছে মিয়ানমার সীমান্তেই। তবে এ দু’পক্ষই পরস্পরের সাথে বৈরী অবস্থানে।

এই কারণে আরএসওকে দমন করতে আরকান আর্মি গোষ্ঠি বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো লাইনের কিছু কিছু পয়েন্টে স্থল মাইন বসায় বিগত ৩ মাস ধরে। এছাড়া  উভয় পক্ষের মধ্যে নিয়মিত মর্টারশেল বা ক্ষুদ্র অস্ত্রের গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।

এনইউ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর