বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

ক্ষণে ক্ষণে ওপারের বিকট শব্দে কাঁপছে এপার

মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির নিকুছড়ির ওপারে ১৫ মর্টাশেলের বিকট শব্দে কেপেঁছে এপারের বাংলাদেশী পাহাড়ি জনপদ।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ৪২ ও ৪৩ সীমান্ত পিলারের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে এ বিস্ফোরণের শব্দ আসে বলে জানান শফিক আহমদ ও গুরা মিয়া নামের দুই কাঠুরিয়া।
তারা এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিদিনকার এ দুজন বুধবার সকালে সীমান্তের এ পয়েন্টে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে লাকড়ি কুঁড়াতে যাচ্ছিলেন। গন্তব্যস্থলে পৌঁছার আগেই আধঘণ্টার সময়ের মধ্যে ১৫ টি বড়সড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ভয় পেয়ে ফিরে আসে এলাকা থেক। তাদের ধারণা, বিস্ফোরণের শব্দ মর্টারশেলের। যা দু’দল মুখোমুখি হলে পরস্পরকে ঘায়েল করতে ব্যবহার করে যুদ্ধরতরা।
সূত্র আরো জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন সংঘাতে স্বশস্ত্র যুদ্ধরত আরকান আর্মি ও অপর বিদ্রোহী আরসার মধ্যে সংঘর্ষে এ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায় নি।
তবে বিকেলে কোন আওয়াজ তারা শুনেনি।

এদিকে সীমান্তের ৪৮-৪৯ নম্বর পিলারের ওপারে বেন্ডুলা বাজার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় আরকান আর্মির দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডারদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে সীমান্ত চোরাকারবারীদের তথ্য সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র নিশ্চিত করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা আরো বলেন, বৈঠকে রোববার সীমান্ত চোরাকারবার বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেন কর্মকর্তারা। তবে অন্যান্য চোরাচারলান চালু থাকবে। এছাড়া সীমান্তে তাদের দখলে থাকা চৌকি গুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেন তারা যেগুলো এখন অনেকটা জরাজীর্ণ। যাতে জান্তা বাহিনীর যুদ্ধ বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করলে তারা নিরাপদ থাকতে পারে। নির্দেশনাটি দেয়া হয়েছে আরকান আর্মির অধিনস্থদের।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তের অর্ধশতাধিক চৌকি এখন আরাকান আর্মির দখলে। এ ছাড়া গত মাসে আরকান রাজ্যের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলী জেলে মংডুসহ আরকানের গুরুত্বপুর্ণ শহরগুলো দখলে নিয়ে নেয় বিদ্রোহীরা। বর্তমানে আরকান আর্মি বাংলাদেশ সীমান্তের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কারণে চোরাকারবার এখন তাদের হাত ধরেই চলছে বলে অভিযোগ সীমান্তবাসীর। তবে এ বিষয়ে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবির দায়িত্বশীল করো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এমএ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর