মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রামে কড়া বার্তা দিয়ে গেলন সিইসি

সুষ্ঠু নির্বাচন অুষ্ঠানে প্রার্থী ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কড়া বার্তা দিয়ে গেলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি)।মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১৬ আসনের প্রার্থী ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আদালাদা ভাবে মতবিনিময় করেন।পরে তিনি সাংবাদিকদের  বলেন আমরা বলেছি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি যেকোনোভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ভাবে তুলে আনতে হবে। এ বার্তা আমরা সবাইকে দিয়েছি। তারাও অনুধাবন করতে পেরেছেন।
ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ফুটে উঠবে মিডিয়ার মাধ্যমে। মিডিয়া কর্মীরা ভোট কেন্দ্রের ভেতরে গিয়েও ছবি তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে মিডিয়া কর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের কেন্দ্রে প্রবেশে প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে না, সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন। তারা ছবি তুলতে পারবেন এবং সত্য মিথ্যা জনগণকে তাৎক্ষণিক জানিয়ে দিতে পারবেন।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন একটা অ্যাপ তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে দুই ঘণ্টা পরপর কত ভোট পড়েছে মানুষ সেটি মোবাইল ফোনে জানতে পারবে।
সিইসি সকালে নগরীর ষোলশহর এলাকায় এলজিইডি মিলনায়তনে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রাম জেলার ১৬ আসনের প্রার্থীদের সাথে। দুপুরে আইস ফ্যাক্টরি রোডের পিটিআই মিলনায়তনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রসঙ্গে হাবিবুল আওয়াল বলেন, “প্রার্থীদের জানিয়েছেন কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে ভালো আছে। কোনো কোনো প্রার্থী অভিযোগ করেছেন তাদের বিরোধী প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন যে, ভোট দিয়ে কী হবে? আবার কেউ কেউ বলছেন ভোট যেখানে দেন, জায়গা মত চলে যাবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা শুনেছি, এর মধ্যে আমরা জেনে গেছি এটা ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার কিংবা ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত।
আমরা আশ্বস্ত করেছি ভোট যেখানেই দেন, সেটা আরেক জায়গায় চলে যাবার সম্ভাবনা নেই, সেটা একশ পার্সেন্ট নিশ্চিত। আগের রাতে ভোট নিয়ে যেসব কথা হয়েছে, সেগুলো ৯৯ নয় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে পারি, সেটা কোনো অবস্থাতেই হবে না।
ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাযাবে জানিয়ে সিইসি আরও বলেন, প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট সকলে ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করে এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সগুলো খালি কিনা সেটা দেখে নিয়ে বাক্সগুলো বন্ধ করা হয় এবং পোলিং এজেন্টরা যদি সর্বক্ষণ সেখানে উপস্থিত থেকে ভোট প্রক্রিয়াটা পর্যবেক্ষণ করেন সেক্ষেত্রে ব্যালট পেপার ১০ মাস আগে গেলেও অবৈধ ব্যালট পেপার বক্সে ঢোকানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
পাশাপাশি ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে গণনা ও ঘোষণা পর্যন্ত পোলিং এজেন্টরা সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে দেখবেন গণনা সঠিকভাবে হয়েছে কিনা। যদি গণনা সঠিকভাবে হয়ে যায়, তাহলে নিশ্চিতভাবে ভোট অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়ে গেল।পেশীশক্তির যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আমরা মাঠ প্রশাসনেকে বলে দিয়েছি ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিতে। তারা না করলে আমরা অবগত হলে ঢাকা থেকে বন্ধ করে দিতে পারব, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে যে একটা অনাস্থ বা অবিশ্বাস, যাতে তা দূরীভূত হয়।
প্রশাসনের কর্মকর্তার সঙ্গেড় মতবিনিময়েও ওসি, এসপি, ইউএনওদের বক্তব্যেও ভোটের পরিবেশ ভালো থাকার তথ্য এসেছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কেউ যাতে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে সেটা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। …আমরা কঠোর বার্তা দিয়েছি এ জিনিসটা টলারেট করা যাবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সহিংসতা কম-বেশি হচ্ছে, সেটাতে আমরা থেমে নেই। শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারটা শুধু ডেলিগেইট করে দেয়া আছে রিটানিং কর্মকর্তা ও পুলিশের কাছে। তারা যদি ব্যবস্থা নিতে না পারেন, আমাদের কাছে রেফার করতে বলেছি।
অনেক ঘটনায় আমরা অনেককেই গ্রেপ্তার করেছি। তারপরও যদি কোনো ঘটনা ঘটে, আমরা চট করে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারি না। তিনি গুরুতর অসদাচরণ করেছেন এবং সে লক্ষ্যে যদি সাক্ষ্যসাবুদ আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয়, আমরা যদি তা বিশ্বাস করি, তাহলে কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূর-ই আলম মিনা, ও জেলা প্রশাসকরা।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর