বান্দরবানের দুর্গম নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট ও আশপাশের এলাকায় যুদ্ধবিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করেছে জান্তা বাহিনী। মিয়ানমার অংশে বিদ্রোহীদের আস্তানা লক্ষ্য করে এসব বিমান হামলা চালানো হয়। অবশ্য এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ৩৬-৩৭ নম্বর পিলার এলাকায় এসব বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা জমির আলী ও চাইছা অং তঞ্চঙ্গ্যা। তাঁরা বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে সীমান্তের চৌকিগুলো দখলে নিয়ে নেয় বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ সময় উভয় পক্ষের অনেকে হতাহত হন। এরই জেরে পিছু হটা সরকারি বাহিনী তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া চৌকিগুলো পুনরায় দখলে নিতে আজ এসব বোমা ছুঁড়েছে বলে শুনেছেন তাঁরা।
এদিকে একাধিক সূত্র জানায়, জান্তা ও আরাকান আর্মির সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রায় সময় মিয়ানমারের নাগরিকরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার এই পথে ওই দেশের ৫৬ জন তঞ্চঙ্গ্যা উপজাতি অনুপ্রবেশ করেন। এছাড়া আগে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা আটকের পর পুশব্যাক করেন।
স্থানীয়রা বলেন, পালিয়ে অনুপ্রবেশ করা ব্যক্তিরা বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংঘাতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে সেখানে। প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা এপারে পালিয়ে এসেছেন। তাঁরা সেখানে কৃষি ও জুম চাষ করে জীবন ধারণ করতেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী চাটগাঁর চোখকে বলেন, রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলেও তাদের পুনরায় পুশব্যাক করা হচ্ছে। বিজিবি জওয়ানরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। শুধু রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক নয়, সীমান্তের যাবতীয় চোরাচালান বন্ধে বিজিবি সজাগ রয়েছে।
এনইউ/জই