আশ্বাস আমদানি দুটোই আছে, বাজারে পেঁয়াজের দামের প্রকৃত অবস্হা কি?নগরের কয়েটা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এখনো জোর জবরদস্তির মূল্য হ্রাস।অভিযানের খবরে দামে টান,চলে গেলে দোকানীরা ২০০’র ওপরে চলে যান।দামও একেক বাজারে একেক রকম।যে যেভাবে পারে।গত দুই দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে পেঁয়াজ এসেছে ২২৬ টন। এগুলো চীন ও পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়েছে।
এসব পেঁয়াজ খালাসের জন্য ইতোমধ্যে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে। এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় করতে পারবেন আমদানিকারকরা।
জানা গেছে সোমবার পাকিস্তান থেকে ৫৮ টন এবং এর আগের দিন চীন থেকে ১৬৮ টন পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
এ দুই চালানের আমদানিকারক আবেদন করে সনদও পেয়েছেন। তারা যে কোনো সময় পেঁয়াজ খালাস করতে পারবেন।
চট্টগ্রাম বন্দরে মূলত চীন, পাকিস্তান, মিসর ও তুরস্ক থেকে সাগর পথে পেঁয়াজ আসে।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর শুক্রবার বিকাল থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। শুক্রবার সকালের ১১০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজের দাম এক দিনের মধ্যে বেড়ে ২২০ টাকা পর্যন্ত হয়।
পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জসহ কয়েকটি বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের অভিযান দল।
অভিযানে গিয়ে তারা ‘পেঁয়াজ নেই’ লেখা দেখলেও কোনো কোনো আড়তের ভেতর পেঁয়াজের সন্ধান পেয়েছে।
সোমবার খাতুনগঞ্জে গিয়ে আড়তগুলোতে তেমন পেঁয়াজ দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় বাজারে সরবরাহ নেই।তারা জানান সীমান্ত থেকে একটা ফোনে দেশের সব জায়গায় একযোগে দাম বেড়ে যায় পেঁয়াজের।
সারাদেশেই চলছে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থির অবস্থা। এরই মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জানালেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে। কারণ দেশি পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে।
রাজধানীর সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দামটা হঠাৎ করে বেড়েছে। দাম যেভাবে লাফিয়ে বেড়েছে, এটি বাড়ার কোনো কারণ ছিলো না- সে বিষয়ে আমি একমত। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাওয়া, আমাদের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীর অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদফতর ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। তারা জরিমানা করেছে। এতে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এলেও পুরোপুরি আসেনি। তবে পেঁয়াজের দাম সহসা কমে যাবে। কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে।
ড. হাছান বলেন, ভোক্তাদের একটা ট্রেন্ড আছে, কোনো পণ্যের সংকট হচ্ছে এমন গুজব রটালেও আমরা সবাই গিয়ে এক কেজির জায়গায় পাঁচ কেজি কেনা শুরু করি। এতে ব্যবসায়ীরা আরও সুযোগ পায়। এটির ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তবে দাম সহসা কমে যাবে এবং ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসবে
এদিকে পেঁয়াজের বাজারে চলমান অস্থিরতা নিরসনে মাঠ পর্যায়ে নজরদারি বড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।