ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে তিন পার্বত্য জেলা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিন আগে টানা ৪ দিনের সরকারি ছুটি গেলো। এমন ছুটিতে পাহাড়ে পর্যটকের ঢল নামে। অথচ আমরা সুযোগটা হারালাম। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পাহাড়ে নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে। ফলে ব্যবসা না থাকায় আমাদের খরচ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি লোকসানে অনেকের ব্যবসা বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে।
তারা বলেন, পূজাকেন্দ্রিক ছুটিতে প্রতিবছর পর্যটকে মুখরিত থাকে পাহাড় ঝর্ণা আর হ্রদের শহর রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। তবে এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। সবসময় পর্যটকে ভরপুর থাকা সাজেকসহ বেশিরভাগ পর্যটনস্পট এখন জনমানব শূন্য। ফলে আগেভাগেই রাঙামাটি শহরের ৬৫টি হোটেল-মোটেল, ১৭টি ইকো রিসোর্ট এবং কাপ্তাই ও সাজেকে ১৩২টি কটেজের যেসব রুম বুকিং দিয়েছিলেন পর্যটকরা তারা সেগুলো বাতিল করেছেন। সম্প্রতি রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকেই বাতিল হয়েছে বেশিরভাগ বুকিং। এমনকি পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যারা অবস্থান করছিলেন তারাই ফিরে গেছেন। এতে ছুটি ঘিরে ব্যবসায়ীদের নেয়া প্রস্তুতি কোনো কাজেই আসেনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি এক মাসের বেশি সময় ধরে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে অশান্ত পাহাড়। তাতেই পার্বত্য এলাকার পর্যটন খাত বিপাকে পড়ে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, অক্টোবরের এই ক’দিনে পার্বত্য জেলার পর্যটনখাতে প্রায় ৪০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাই তারা শীঘ্রই পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, হোটেল রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, পর্যটকবাহী যানবাহনসহ বিভিন্ন খাতে কোটি-কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে । কিন্ত করোনা ভাইরাস, ভয়াবহ বন্যা, পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটন স্পটগুলোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অথচ তাদের নিয়মিত সুদ, হোল্ডিং ট্যাক্স, লাইসেন্স ফি, ভ্যাট ও আয়কর প্রদান করতে হলেও তারা ব্যবসা থেকে আয় করতে পারছেন না। এই অবস্থায় তারা কী করবেন, সেটাই এখন তাদের বোধগম্য হচ্ছে না বলে জানান। এই অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করতে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এনইউ/জই