মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি অংশের ৪৭ ও ৪৮ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী পয়েন্টে ফের গোলা বর্ষণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে পুরো এলাকা। এতে স্থানীয়দের মাটির ঘরে দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার সময় মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে পরপর ৭ রাউন্ড গোলা বর্ষণের শব্দ শোনা যায়।
স্থানীয়দের ধারণা, মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরকান আর্মি (এএ) এবং অপর বিদ্রোহী আরএসওর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এসব গোলা বর্ষণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর যায়নি।
সীমান্তের অপর কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গোলাগুলির ঘটনাটি বেন্ডুলাস্থ এএ ক্যাম্প এলাকা থেকে শোনা গেছে। সেখানে আরকান আর্মি নিজেদের এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘেরা দিচ্ছিল কাঠ দিয়ে। তারা এখন আরএসও’র গুপ্ত হামলার আতংকে রযেছে। সে কারণেই হয়ত তারা এমন গোলাবর্ষণ করেছে।
তারা আরো জানান, বতর্মানে নাইক্ষ্যংছড়ি -মিয়ানমারের যতটুকু সীমান্ত এলাকা রয়েছে তার মিয়ানমার অংশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরকান আর্মির।
এ অবস্থায় আরএসও বাহিনীও তাদের অবস্থান জানান দিতে মুখোমুখি হন অপর বিদ্রোহী আরকান আর্মির সাথে।
গোলাবর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবির দায়িত্বশীল কয়েকজন জানান, এ ঘটনা বাংলাদেশে নয়, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরের বিষয়। এর আগে বুধবার (১৬ অক্টোবর) ভোররাত ৪ টা ১০ মিনিটের সময় মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে পরপর ৯ রাউন্ড গোলার শব্দে কেঁপে উঠে বেশ কয়েকটি এলাকা।
এনইউ/জই