সচিবালয়ে ছাত্র–জনতার ধাওয়া খেয়ে পোশাক খুলে, মাফ চেয়ে পালিয়েছে আন্দোলনরত আনসার সদস্যরা। অনেককে ইউনিফর্ম খুলে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত আনসার সদস্যরা সচিবালয়ের ফটক না ছাড়ায় ভেতরে আটকা পড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টা। সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমও সচিবালয়ে আটকা পড়েন।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়। পরে তারা লাঠিসোঁঠা ও মিছিল নিয়ে সবিচালয়ের দিকে আসে।
প্রথমে আনসার সদস্যরা কিছু ছাত্রকে মারধর করে। এ সময় অন্ততক ৩৯ জন আহত হয়।
পরে বিপুল সংখ্যক ছাত্র–জনতা এগিয়ে এসে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয়ের মধ্যে সংষর্ষ বাঁধে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসে। এক পর্যায়ে ছাত্র–জনতার কাছে টিকতে না পেরে আনসার সদস্যরা পালিয়ে যায়।
রাত ১০টার দিকে ছাত্র–জনতার ধাওয়া খেয়ে সচিবালয় এলাকা থেকে পালিয়ে যায় আনসার সদস্যরা।
দেশের এ পরিস্হিতিতে দাবি আদায়ের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।
এমএ/ জই