চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার কেওয়া কাঠাল(ফান্ডানুস টেকটোরিয়াস) এর দেখা মিলেছে।
সন্দ্বীপের পশ্চিম দিকে মুছাপুর ও আজিমপুর বেড়িবাঁধের সাগর ঘেঁষে চর এলাকায় প্রায় ৪০০০ স্কয়ার ফিটের কেওয়া কাঠালের বাগানের সন্ধান মিলেছে। বাগানে সারি সারি কেওয়া কাঠাল গাছে ধরে আছে।
বর্ষাকালে এই ফল পেকে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে। এই ফল সাধারণত বাংলাদেশের সুন্দরবনে দেখা যায়। বিশেষ করে লবনাক্ত মাটিতে এই কাঠাল জন্মায়।
এই ফল পাকলে সুগন্ধ ছড়ায় এবং এটি হালকা মিষ্টি স্বাদের হয়। কেওয়া কাঠালের বৈজ্ঞানিক নাম ফান্ডানুস টেকটোরিয়াস। এটি পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার একটি জনপ্রিয় ফল।
কেওয়া কাঠাল অনেক রোগের উপসম হিসেবে কাজ করে। গুগুলের তথ্য মতে, ফান্ডানুস টেকটোরিয়াস (কেওয়া কাঠাল) জ্বর কমাতে সাহায্য করে , ত্বকের ক্যানসার এর ঔষধ হিসেবে কাজ করে, মাথাব্যথা এবং বাতের ব্যথা উপশম করে, কানের ব্যথার চিকিৎসা ও শিশুদের জন্য রেচক হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি বুকের ব্যথা কমায়, যেসব নারী সবেমাত্র জন্ম দিয়েছেন এবং এখনও দুর্বল তাদের সুস্থতা ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।
সন্দ্বীপের মাটিতে এই ফলের সন্ধান খুঁজে পাই বিরল প্রজাতির ফুল ও ফলের সন্ধান খুঁজে বেরানো দ্বীপের নাগরিক বাবু দ্বিপরাজ।
তিনি বলেন, পশ্চিম বেড়িবাঁধে ঘুরে বেড়ানোর সময় হঠাৎ বড় দুইটি অদ্ভুত বাগান দেখতে পাই। বাগানে ঢুকার পর দেখি সারি সারি কেওয়া কাঠাল। ভেষজ এবং ফল হিসেবে এই ফল বাজারজাত করা যেতে পারে। অনেক তরুণ উদ্যেক্তার এই ফল চাষের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
সন্দ্বীপের ইউনেস্কো পুরষ্কার প্রাপ্ত লেখক সাজিদ মোহন বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের গাইডলাইন ফেলে আমরা চাষ করবো। যেহেতু কেওয়া কাঠাল একটি ভেষজ উদ্ভিদ এবং এটি সুস্বাদু। এতে ভালো ব্যবসার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। সাগর বেষ্টিত সন্দ্বীপে নোনা মাটি চতুর্দিকে। এইখানে ফান্ডানুস টেকটোরিয়াস ( কেওয়া কাঠাল) ফলনের এর অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি অধিদপ্তর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলে কেওয়া কাঠাল ফলনে মাইল ফলক হতে পারে।
বিষয়টি খবর পেয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফ হাসান বাগান পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্যে নতুন একটি ফল। এটি সাধারণত সুন্দরবনে দেখা যায়। আমি সুন্দরবন কৃষি অফিসে কথা বলে দেখছি।
পরীক্ষামূলকভাবে কেওয়া কাঠাল গাছের কাটিং রোপং করবেন সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ রাব্বী ও সমাজকর্মী বাবু দ্বীপরাজ।
প্রেস ক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ রাব্বী বলেন, কেওয়া কাঠাল মানবদেহের জন্যে উপকারী ফল। ক্যান্সারের মতো রোগের ঔষধ হিসেবে কজ করে এই ফল। কেওয়া কাঠাল গাছ যেহেতু নোনা পানির তাই সাগর বেষ্টিত সন্দ্বীপে একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। গাছের কাটিং সংগ্রহ করেছি আমি। এটি রোপন করবো।