মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী দেশটির ১১ রোহিঙ্গকে রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে অপর ১১ রোহিঙ্গাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার।
৯ ফেব্রুয়ারি রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশের পর বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েক সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম উখিয়া থাদনায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। সে মামলা অধিকতর তদন্ত ও কেনো অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করছিলো তা জানার জন্য আটকদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানী শেষে ২২ জনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একজন অসুস্থ থাকায় তাকে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়নি।
আসামিরা হলেন- উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের মো. হোসেন আহমদ (৩০), একই ক্যাম্পের মো. রফিক (২৩), আয়াতুল্লাহ (৩০), ৯ নম্বর ক্যাম্পের মো. জুনাইদ (১৯), একই ক্যাম্পের মো. হারুন (২৩), মো. কায়সার (১৯), মো. সাবের (১৯), ১০ নম্বর ক্যাম্পের ওসামা (১৯), একই ক্যাম্পের ওমর ফারুক (১৯), মো. সাদেক (১৯), হারুন অর রশিদ (২৪), ইয়াসিন আরাফাত (১৯), মো. ইসমাইল (১৯), মো. রহিম (১৯), ১১ নম্বর ক্যাম্পের নজু মোল্লা (৩৮), ১৫ নম্বর ক্যাম্পের সৈয়দ উল্লাহ (১৯), একই ক্যাম্পের হাফেজ আহমেদ (১৯), ২০ নম্বর ক্যাম্পের মো. জোবায়ের (১৯), কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুল্লাহ (২০), একই এলাকার ৩ নম্বর ক্যাম্পের এনামুল হাসান (২২), ২ ক্যাম্পের মো. রফিক (২৪), একই ক্যাম্পের সৈয়দুল ইসলাম (২৪), ৭ নম্বর ক্যাম্পের মো. আরমান (২১)।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২টি অস্ত্র। যার মধ্যে রয়েছে এসএমজি পাঁচটি, জি-৩ রাইফেল একটি, পিস্তল দুইটি, রিভলভার চারটি। এছাড়া ১৯৮ রাউন্ড এসএমজি গুলি, ৯৮ রাউন্ড এমজি গুলি, ২৭৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১০৩ রাউন্ড জি-৩ রাইফেলের গুলি, ১৯৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ইত্যাদি।