মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

নেতাকে কোপানোর জের, আবার সংঘর্ষে চবি ছাত্রলীগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির এক নেতাকে কোপানোর জেরে আবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার রাত সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে জড়ানো এ দুটি পক্ষ হলো সিক্সটি নাইন ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)। এ দু্টি পক্ষের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে তিন পুলিশসদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৯ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছেন।এর আগে গত বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রলীগের আরেক উপপক্ষ ‘বিজয়ের’ দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই সমাঝোতায় আসেনি। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসলেও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর রেশ ধরে গতকাল রাত সোয়া নয়টার দিকে সিক্সটি নাইনের অনুসারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মাশরুর অনিককে কুপিয়ে জখম করেন সিএফসির কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ঝুপড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এটি জানাজানি হওয়ার পর সিক্সটি নাইনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।

পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে আর সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। এ দুটি হল পাশাপাশি । সংঘর্ষের সময় দু্ই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

সিক্সটি নাইনের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, তাঁদের একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ নিয়ে উত্তেজনা হচ্ছে।

জানতে চেয়ে সিএফসি উপপক্ষের নেতা সাবেক সহসভাপতি মির্জা খবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে ওই পক্ষের আরেক নেতা সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসেন  বলেন, তাঁদের দুই জুনিয়রকে মারধর করা হয়েছে্। পরে তাঁরা এটি প্রতিহত করছেন।

মাশরুর অনিককে কুপিয়ে জখম করার বিষয়ে জানতে চাইলে রমজান হোসেন বলেন, জুনিয়রকে মারতে গিয়ে ওই নেতা ব্যাথা পেয়েছে। তাঁরা কাউকে মারেননি।

জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদারসহ প্রক্টরিয়াল বডির আরও তিন সদস্যর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমানে কমিটি নেই। চাঁদাবাজির অভিযোগ, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও সাংবাদিক মারধরের ঘটনার পর গত বছর ২৪ এপ্রিল এ কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্র। এ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ বিভক্ত । এর মধ্যে একটি পক্ষ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। এ দুটি পক্ষ আবার ১১ টি উপপক্ষে বিভক্ত। এর মধ্যে বিজয় ও সিএফসি মহিবুল হাসানের আর বাকি নয়টি উপপক্ষ আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর