সন্দ্বীপ চৌমুহনী বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাঁই তুলার গোডাউন এবং একটি বসতঘর।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আশেপাশের ৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০লক্ষ টাকা।
সোমবার বিকেল ৪টা নাগাত শাহ আলমের তুলার গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে সন্দ্বীপ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, যেইভাবে আগুন লেগেছে ফায়ার সার্ভিস সময় মতো না আসলে সব দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যেতো। তুলার গোডাউনের মালিক শাহ আলম এর বাড়ি নোয়াখালীতে। সে এইখানে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসছে। দোকানের মালিক সন্দ্বীপ পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড বাসিন্দা জয়নাল সওদাগর। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা হলে জানা যায়, এই আগুনের সূত্রপাত সিগারেটের আগুন থেকে।
এই তুলার গোডাউনের পিছনে নিয়মিত জুয়ার আসর বসতো বলেও জানা যায়। এদিকে, তুলার গোডাউনের পাশের ঘরে ভাড়া থাকতেন দেলোয়ার। রিক্সা চালিয়ে সংসার চলে যাচ্ছিলো দেলোয়ারের। টাকা জমিয়ে কয়েকদিন আগে কিস্তিতে কিনেছেন ফ্রিজ। তিলে তিলে বানানো সব আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে ছাঁই চোখের নিমিষেই। আগুন যখন লেগেছে দেলোয়ারের স্ত্রী আসমা আক্তার রুমা ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে চারিদিকে চিৎকার শুনে উঠে দেখে তার ঘরে আগুন জ্বলছে। দ্রুত সন্তানদের নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যান তিনি। এমন ভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিলেন, আসমা আক্তার রুমা।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে বাকরুদ্ধ রুমা। সবকিছু হারিয়ে পথে বসে গেলো পরিবারটি। সরকার থেকে আর্থিক সহায়তা দাবি দেলোয়ারের। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আশেপাশের প্রায় ৫টি দোকানে তারাহুরোয় অনেক মালামাল খোয়া গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সন্দ্বীপ থানা পুলিশ।
