সেন্টমার্টিন থেকে নিখোঁজের চারদিন পর কক্সবাজারে উদ্ধার হলেন বিসিএস ক্যাডার মাহমুদা।
গত বৃহস্পতিবার( ৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মাহমুদাকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানিয়েছেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে ৭১ জনের পর্যটকের একটি দল টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যায়।তাদের সাথে মাহমুদা আক্তার হ্যাপিও ছিলেন। তারা দ্বীপের হোটেল সি ভিউসহ কয়েকটি রিসোর্টে উঠেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে মাহমুদা আক্তার হ্যাপি বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে রিসোর্ট থেকে বের হন। বিকেল পর্যন্ত তিনি রিসোর্টে ফিরেননি। পরে রিসোর্টের সঙ্গীরা মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বন্ধুর সঙ্গে আছেন বলে তথ্য দেন। কিন্তু এর ঘন্টাখানেক পর তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে নিখোঁজ নারী পর্যটকের সঙ্গে রিসোর্টের কক্ষে অবস্থানকারী বান্ধবী সুমা খানম টেকনাফ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন।
ওসমান গনি জানান, এর সূত্র ধরে হ্যাপির ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি ট্র্যাকিং করে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার এআর কটেজ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার মাহমুদার বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ঐদিন হ্যাপি সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৈকতে গোসল করতে নেমেছিলেন। পানিতে ভেসে গেলে কিছু জেলে তাকে উদ্ধার করে শাহপরীর দ্বীপ নিয়ে যায়। পড়ে সেখান থেকে একটি টমটম যোগে টেকনাফ হয়ে কক্সবাজার চলে আসেন।
মাহমুদা আক্তার হ্যাপি ৪১ তম বিসিএস ক্যাডারেরর সুপারিশপ্রাপ্ত। তাকে বনবিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা।
ছাত্রী হিসেবে মেধাবী ছিলেন হ্যাপি। বিসিএস ক্যাডারে প্রশাসনে তার ইচ্ছা থাকলেও সেখানে না হয়ে বন বিভাগে হওয়ায় তিনি ভেঙে পড়েছেন। তাই কক্সবাজার শহরে ফিরে তিনি কটেজে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে। শুক্রবার সকালে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পরিবারের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে।