মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

সীমান্তে পরিস্থিতি দেখতে তুমব্রু তে বান্দরবানের ডিসি-এসপি

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে সহ উখিয়ার পালংখালি ও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে মিয়ানমার আরকান রাজ্যে রাতের বেলায়ও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।তবে রাতে তুমব্রুতে একটি মর্টারশেল পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।বাংলাদেশ -মিয়ানমার সীমান্তবর্তী তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি ফাত্রাঝিরি, রেজু আমতলি, গর্জবনিয়াসহ সীমান্ত লাগোয়া অনেক গ্রাম।ওপারে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বুধবার(৩১ জানুয়ারি)দুপুরে দিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,বিজিবি, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সবার্ত্মক সতর্কতার অবস্থানে রয়েছে। আজকে এখানে এসে আপাতত কোনো প্রকার ঝুঁকি দেখছি না। যে কোনো পরিস্থিতি আমরা সুন্দরভাবে মোকাবেলা করতে পারব।সামনে এসএসসি পরীক্ষা আছে। কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে দেখলাম। জরুরি মূহূর্তে প্রয়োজনে যদি কেন্দ্র স্থানান্তর করার বিষয় থাকে, সেক্ষেত্রে বিকল্প কেন্দ্র কী হতে পারে সেগুলো বিবেচনা নিয়েছি। জনসাধারণের মধ্যে কোনো ধরনের আতঙ্ক যেন না থাকে সে ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানায়।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন,সহকারী পুলিশ সুপার মো:আমজাদ হোসেন,সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট রাজেস কুমার বিশ্বাস,
নাইক্ষ্যংছড়ি নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা, ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহাফুজুর রহমান প্রমুখ।

তিনি আরো বলেন, সীমান্তের ওপারে গতকাল মঙ্গলবার ১৮ টি মর্টারশেলের আওয়াজ শুনেছেন স্থানীয়রা। এ কারণে অনেকে আতঙ্কে থাকলেও ভয়ের কোন কারণ নেই। কেননা সীমান্তে ৩৪ বিজিবির জোয়ানরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এছাড়া পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক খবরাখবর রাখছেন।
তবে গত সোমবার ১টি মর্টার শেলের আঘাতে মাটি গর্ত হয়ে গেছে বলে জানালেন তুমব্রু পশ্চিম কুলের অধিবাসী আবদুর রহিম প্রকাশ বাহাদুল্লাহ।বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ঘুমধুম ত্যাগ দেন।উল্লেখ্য ৩১ শে জানুয়ারি বুধবার ও সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি ও মর্টারশেলের বিকট শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর