মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

তিন বছর পর সেই তিমির কঙ্কাল যাচ্ছে গবেষনাগারে

আজ (২৫ জানুয়ারি) পুরোপুরি খনন কাজ শেষ করে তিমির কঙ্কালটি তুলে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে বোরির বিজ্ঞানীরা সেই তিমির কঙ্কালের খোঁজে কক্সবাজার হিমছড়ি সৈকতে খনন কাজ শুরু করেন, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত  ৯০ শতাংশ খনন কাজ শেষ করা হয়েছে।
প্রায় তিন বছর আগে সৈকতের বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়েছিল মরা তিমি মাছটি।

তিন বছর পর শিক্ষা ও গবেষণায় কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বোরি) তিমির কঙ্কালটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।
কঙ্কালটি উত্তোলনের পর বোরিতে প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বোরির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আলাদা আলাদা হাড়গুলো বিশেজ্ঞদের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে কঙ্কালের পরিপূর্ণ রূপ দেওয়া হবে।
এটি গবেষনার কাজে ব্যবহৃত হবে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল সামুদ্রিক জোয়ারের সঙ্গে ৪৪ ফুট লম্বা এই মরা তিমিটি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে।
এরপর বনকর্মীরা তিমিটি সৈকতের বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলে। এর আগের দিন ৯ এপ্রিল একই সৈকতের চার কিলোমিটার উত্তরে দরিয়ানগরে আরও একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ৪৮ ফুট লম্বা সেই তিমিটিও বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়।

বোরির বিজ্ঞানীরা তিমি দুটির নমুনা সংগ্রহ করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে (এনআইবি) পরীক্ষার জন্য পাঠায়। প্রতিবেদনে তিমি দুটি ব্রাইড’স হুয়েল বা বলিনো পেট্রা ইডেনি প্রজাতির বলে চিহ্নিত হয়েছে। ৯ এপ্রিল ভেসে আসা তিমিটি নারী লিঙ্গের এবং ১০ এপ্রিল ভেসে আসে তিমিটি পুরুষ লিঙ্গের বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, গবেষণার উদ্দেশ্যে তিমির কঙ্কাল বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর