মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

টেকনাফে বিপুল পরিমাণ অকটেন জব্দ, ৩ জন গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬৩৮ লিটার অকটেনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এরপর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধভাবে জ্বালানী তেল (অকটেন) পাচারের অভিযোগে তিনজনকে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।উদ্ধারকৃত অকটেন এর মূল্য ৮৪ হাজার টাকা বলে র‌্যাব জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃত হলেন টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া গ্রামের মৌলভী আব্দুর রহমান এর ছেলে হাবিবুর রহমান (২২),টেকনাফের নাইট্যংপাড়ার মৃত মীর মোহাম্মদ এর ছেলে জাফর আলম (২২)ও দক্ষিণ লেংগুরবিল গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে নুর হোসেন (৪০)।গ্রেফতারকৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

টেকনাফে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধভাবে জ্বালানী তেল (অকটেন) পাচারের অভিযোগে তিন ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান,সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের আভিযানিক দল অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে কতিপয় পাচারকারী জ্বালানী তৈল অকটেনসহ টেকনাফ পৌরসভা এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনজন ব্যক্তি তাদের হেফাজতে থাকা অকটেন ভর্তি প্লাস্টিকের ড্রাম রেখে পালানোর চেষ্টাকালে পালানোর সময় তিনজনকেই আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আটককৃত তিন ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত চোরাকারবারীরা তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃতদের হেফাজত থেকে ১১টি ড্রামে সর্বমোট ৬৩৮ লিটার অকটেন (যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮৪ হাজার টাকা) জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়,আটককৃত চোরাকারবারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই চোরাকারবারের সাথে জড়িত। তারা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানী তৈল অকটেনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো। পরবর্তীতে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে জ্বালানী তৈল পাচার করে থাকে। অদ্য অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের লক্ষ্যে জ্বালানী তৈল অকটেন উক্ত স্থানে মজুদ করেছিল এবং একপর্যায়ে উপরোল্লিখিত আলামতসহ র‌্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর