রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের ক্যাজরবিল সেতুর পাশেই বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। খননযন্ত্র দিয়ে তোলা সেই বালু লম্বা পাইপের মাধ্যমে ফেলা হচ্ছে সেতু লাগোয়া তিনটি স্থানে। এতে ঝুঁকিতে পড়ছে সেতু ও সেতুর এপ্রোচ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের সহায়তায় আইন লঙ্ঘন করে সেতুর কাছ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছে গর্জনিয়ার পূর্ব বোমাংখিল গ্রামের বাসিন্দা নিরুপম শর্মা মিতু। তার বাবার নাম মৃত হিমাংশু শর্মা।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০–এর ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ।
তবে এই আইন অমান্য করে গর্জনিয়ার ক্যাজরবিল সেতুর পাশ থেকে তোলা হচ্ছে বালু। খননযন্ত্র বসিয়ে সেতুর দু পাশেই বালু স্তুপ করে এর পর বিক্রি করা হয়।
গত রোববার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর নিচে উত্তর পাশে বাল্কহেড ভাসছে। এর ওপর বালু তোলার যন্ত্র (ডিজেলচালিত অগভীর নলকূপের মোটর) বসানো হয়েছে। যন্ত্র থেকে পাইপ নদে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পাইপ দিয়ে নদ থেকে বালু তোলা হচ্ছে। বালু তোলার কাজে নিয়োজিত এক কর্মী বলেন ‘মিতু শর্মা বালু ইজারা সিন্ডিকেটে আছে। তাই তার আদেশে বালু তোলা হচ্ছে।’
ক্যাজরবিল গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এমনিতেই বাঁকখালী নদীর ভাঙনে ক্যাজরবিল জামে মসজিদ ও কবরস্থান নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। বর্তমানে সেতুর পাশেই অবৈধ বালু উত্তোলন চলমান আছে। এ কারণে সেতু ঝুঁকিতে পড়ছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এমরানুল হক বলেন, এভাবে অপরিকল্পিতভাবে বালু বিক্রির ফলে ক্যাজরবিল সেতু ঝঁকির মধ্যে পড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারি প্রকৌশলি খন্দকার আলী রেজা বলেন- নিয়মবহির্ভূতভাবে সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন- বালু বহালের বৈধ ইজারাদার হলেও সেতুর পাশ থেকে বালু তোলার কোন সুযোগ নেই। শীঘ্রই সহকারি কমিশনারের (ভূমি) মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
চাটগাঁর চোখ/ এম এ