রামুর বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জানুয়ারি(মঙ্গলবার) মো. আব্দুল ইয়াছির ওরফে শাহজাহান (২৩) নামে এক যুবককে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে, বুধবার সন্ধ্যায় রামুর ফতেখাঁরকুলের হাইটুপি ভূতপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার দিন রাতে ব্যবহৃত সেই সিমটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার ইয়াছির রামু উপজেলা ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পূর্ব মেরলোয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিমের ছেলে।
উল্লেখ্য,কক্সবাজারের রামুর প্রায় দেড়শ বছরের প্রাচীন কাঠের তৈরি উসাইচেন বৌদ্ধ বিহারে গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, এর মাত্র ২০ মিনিট আগে রামু ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে একটি নাম্বার থেকে ফোন করে জানানো হয় ঈদগড় বাজারে আগুন লেগেছে।
এমন খবরে স্টেশন কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়ার নেতৃত্বে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে ঈদগড়ের উদ্দেশে রওনা হয়।
কিন্তু ঈদগড় বাজারে পৌঁছে তারা বুঝতে পারেন, খবরটি ভুয়া ছিল।
এরই মধ্যে রাত ২টার দিকে রামু সদরের চেরাংঘাটা এলাকায় ওই বৌদ্ধ বিহারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে আসলে দমকল বাহিনীর সহায়তায় আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হয়। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিহারটির দোতলায় উঠার সিঁড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
জাতীয় নির্বাচনের আগের এমন নাশকতার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচিত হয়।
ঘটনার পর দিন শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মংকিউ রাখাইন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে রামু থানায় মামলা করেন।
ইয়াছির নিজেই বিহারে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আগে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু তাহের দেওয়ান।