ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের বড়াতাকিয়া এলাকায় বেপরোয়া গতির মিনি পিকআপের ধাক্কায় মীরা রানী ভৌমিক (৫৫) নামের এক স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরো দুই জন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী অংশের বড়তাকিয়া জাহেদিয়া দাখিল মাদরাসার সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মিনি পিকআপের চালক কে আটক করেছে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ।
নিহত মীরা রানী ভৌমিক উপজেলার খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পাঠদান করতেন। উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া এলাকার ওজিত কুমার নাথের স্ত্রী তিনি। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের অরুপ নাথ (১৮) ও একই ইউনিয়নের সম্পন নাথ (৭০)। অরুপ নাথ নিজামপুর সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, স্কুলের ক্লাস শেষে তিনি শহরের বাসায় যাওয়ার জন্য মহাসড়কের পাশে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় পেছন দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির একটি মিনি পিকআপ তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। তিনি বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন।
দীর্ঘ ১৯ বছর আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন তিনি। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মহাসড়কের বড়তাকিয়া এলাকায় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যাত্রীকে বেপরোয়াগতির একটি মিনি মিনি পিকআপ পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে উপজেলার খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মীরা রানী ভৌমিক মারা যান। এসময় আরো দু’জন আহত হয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
ঘাতক মিনি পিকআপটি জব্দ ও চালক আবদুল আলীমকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
চাটগাঁর চোখ/এমএ/এআই