চকরিয়ায় এক তরুণীকে ‘গ্যাং রেপের’ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় মহেশখালীর শাপলাপুর এলাকা থেকে ৩ জনকে এবং আগেরদিন সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের নিজ নিজ বাড়ি থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীমউদ্দিন। আজ মঙ্গলবার আটককৃতরা হলেন- বদরখালীর মো. আবছার উদ্দিনের ছেলে সজীব, বশির আহমদের ছেলে ছোটন, জিয়াবুলের ছেলে তাজুল। এর আগে সোমবারে আটককৃতরা হলেন বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আবদুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭) ও কলেজপাড়া এলাকার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩)।
এদিকে ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে এখনো এজাহার দায়ের করা হয়নি জানিয়ে পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্তদের আটকে পুলিশকে সহায়তাকারী স্থানীয় যুবদল নেতা বুলবুল আহমদ জানান, আজ সকালে গোপন সূত্রে তিনি খবর পান ওই তিনজন শাপলাপুরের একটি মৎস্য ঘেরে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সেখান থেকেই তাদের আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালীর সংযোগস্থল বদরখালী ব্রীজ সংলগ্ন প্যারাবনে ‘গ্যাং রেপের’ অভিযোগ তোলেন এক তরুণী। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মহেশখালীর নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
ধর্ষণের শিকার ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। স্বজনেরা জানান, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনো আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি কিশোরী।
চকরিয়া থানার ওসি মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, কিশোরীর পরিবার মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মামলার পর আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। পাশাপাশি ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে কিশোরীকে আদালতে নেওয়া হবে।
এনইউ/জই